ডেভিল হান্ট অপারেশনে সিদ্ধিরগঞ্জে ২ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন আলী বেপারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে তাকে মিজমিজি দক্ষিণপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গত ২১ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাকে গুলিতে আহত ফজলুর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় স্বপন আলী ৬১ নম্বর আসামি।

বৃহস্পতিবার বিকেলে গ্রেপ্তার স্বপন আলীকে উক্ত মামলায় যুবলীগের সক্রিয় কর্মী পরিচয় আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। 

স্বপন আলীর পরিবার জানায়, সে ২০১৩ সাল থেকে ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছে। করোনা মহামারির পর স্বপন আলী আর রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। কখনো আওয়ামী লীগ কিংবা যুবলীগের রাজনীতির কর্মিত দূরের কথা সমর্থকও ছিলেন না। স্বপন আলী স্থানীয়ভাবে জমি-জমার ব্যবসা করতেন। 

এই ব্যবসার বিরোধে কেউ তাঁকে হয়রানি করার জন্য মামলার আসামি বানিয়ে দিয়েছেন বলে পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। তাঁরা আশা করেন পুলিশ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে স্বপন আলীকে মিথ্যা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিবেন। আদালতের কাছেও তাঁরা ন্যায় বিচার দাবি করেছেন।

২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, স্বপন আলী দীর্ঘদিন আমাদের সাথে আন্দোলন সংগ্রামে ছিল। সে ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছিল। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর পর সে আর রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল না।

তাঁকে কখনো আওয়ামী লীগ কিংবা যুবলীগ করতে আমরা দেখিনি। কেউ হয়তো তাঁকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই ঘটনায় ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করলে এর রহস্য বের হয়ে আসবে বলে জাহাঙ্গীর আলম জানান।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গুলিতে আহত ফজলুর রহমান ভূঁইয়া বাদী হয়ে দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহতাব জানান, গ্রেপ্তারকৃত স্বপন যুবদল নেতা বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো। তবে তাকে মামলার সূত্রধরে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছি।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ য বদল য বদল ন র য়ণগঞ জ ত র কর র র জন য বদল

এছাড়াও পড়ুন:

পটুয়াখালী আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ঘিরে জামায়াতপন্থী ১১ আইনজীবীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা

পটুয়াখালী আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হামলার অভিযোগে জেলা জামায়াতের আমিরসহ জামায়াতপন্থী ১১ আইনজীবীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে পটুয়াখালী সদর থানায় মামলাটি করেন পটুয়াখালী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য ও জেলা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মো. মিজানুর রহমান।

মামলার আসামিরা হলেন জামায়াতপন্থী আইনজীবী পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. রুহুল আমিন সিকদার, পটুয়াখালী জেলা জামায়াতে আমির আইনজীবী নাজমুল আহসান, জামায়াতের ল ইয়ার্স কাউন্সিলের পটুয়াখালী জেলা শাখার সেক্রেটারি মো. আবু সাঈদ খান শামীম, আইনজীবী মো. আনোয়ার হোসেন, মো. মহিউদ্দিন, মো. নজরুল ইসলাম পাটোয়ারী, মো. তাওহীদুর রহমান, মো. মোর্শেদুজ্জামান সাজন, মোহাম্মদ আলী, গাজী মো. হুমায়ূন কবির ও অধ্যাপক কায়সারী। মামলায় ১০ থেকে ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় বিএনপিপন্থী ৩৭ জন আইনজীবীকে এ মামলায় সাক্ষী দেখানো হয়েছে।  

এজাহারে বলা হয়েছে, ১১ ফেব্রুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতির ২০২৫-২৬ কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন উপলক্ষে মনোনয়ন ফরম ক্রয় এবং জমা দেওয়ার দিন ছিল। ফরম ক্রয়-বিক্রয় শুরু হলে জেলা জামায়াতের আমির নাজমুল আহসান দলীয় আইনজীবী ও বহিরাগতদের নিয়ে বিভিন্ন পদে ছয়টি মনোনয়ন ফরম ক্রয় করে জমা দেন। ফরম বিক্রয়ের সময় শেষ হওয়ার পর আবার ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবী পরিষদের সক্রিয় সদস্য মো. মহিউদ্দিনকে সঙ্গে নিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে ফরম ক্রয়ের কথা জানান। এ সময় সাধারণ ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্যরা ফরম ক্রয়-বিক্রয়ে দ্বিমত জানালে জামায়াতের জেলা আমির আইনজীবী মো. নাজমুল আহসানের নির্দেশে এজাহারভুক্ত আসামিরা বাদী ও সাক্ষীদের মারধর করে মারাত্মক জখম করেন। হামলার সময় বাদী ও সাক্ষীদের মুঠোফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনপটুয়াখালীতে জামায়াতপন্থী আইনজীবীর মামলায় জামিন পেলেন বিএনপিপন্থী ১১ আইনজীবী৬ ঘণ্টা আগে

এ বিষয়ে মামলার প্রধান আসামি জেলা জামায়াতের আমির মো. নাজমুল আহসান বলেন, ‘গত ১১ ফেব্রুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ে কে কাকে হামলা ও মারধর করেছে, তার ভিডিও চিত্র দেশবাসী দেখেছেন, এখানে লুকানোর কিছু নাই। অপরাধীদের অপরাধ ঢাকার জন্য বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন, যা ভিত্তিহীন।’

এর আগে ওই ঘটনায় বুধবার রাতে বিএনপিপন্থী ১১ আইনজীবীর নাম উল্লেখ করে মামলা হয়। হামলার শিকার পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. রুহুল আমিন সিকদার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এতে বহিরাগত আরও ৩৫ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে এজাহারভুক্ত বিএনপিপন্থী ১১ আইনজীবী পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে আপসের শর্তে জামিন পান।

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, ১১ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় প্রথমে জামায়াতপন্থী আইনজীবী একটি মামলা করেন। এক দিন পর বিএনপিপন্থী আইনজীবী একটি মামলা করেন। দুই মামলায় সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুনপটুয়াখালী আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ঘিরে হামলার অভিযোগে বিএনপিপন্থী ১১ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ