পদত্যাগ করলেন নিউরোসায়েন্সেসের পরিচালক দ্বীন মোহাম্মদ
Published: 13th, February 2025 GMT
চিকিৎসকদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ।
বুধবার স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল চেয়ে চিঠি দিয়েছেন হাসপাতালটির প্রতিষ্ঠাতা এ পরিচালক। আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা তার পদত্যাগ গ্রহণ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
ওই চিঠিতে অধ্যাপক ডা.
এক চিকিৎসককে নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ফিরিয়ে আনাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের প্রতিবাদের মধ্যে বুধবার সেখানে মারধরের ঘটনা ঘটে। সহকর্মীকে মারধরের কারণে কর্মবিরতি শুরু করেন চিকিৎসকদের একটি অংশ। এর প্রতিবাদে পরিচালক ডা. দ্বীন মোহাম্মদের পদত্যাগও দাবি করেন তারা।
এ ঘটনার মধ্যে বৃহ্স্পতিবার দায়িত্ব ছাড়তে চেয়ে নিয়োগ বাতিলের চিঠি দেন ২০১৪ সাল থেকে এ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালকের পদে থাকা অধ্যাপক দ্বীন মোহাম্মদ।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলেন, প্রায় চার মাসে আগে নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে কর্মরত আওয়ামী লীগের চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাচিপপন্থি অধ্যাপক ডা. গুরুদাস মন্ডলকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি করা হয়। সম্প্রতি তাকে আবার হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়। এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। বুধবার ক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা হাসপাতালের পরিচালক দ্বীন মোহাম্মদের কক্ষে যান। সেখানে বিষয়টি নিয়ে কিছুটা হট্টগোল হয়। পরে চিকিৎসকরা বের হয়ে ৪০২ নম্বর এসে বৈঠক করার সময় হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী এবং আউটসোর্সিংয়ের কিছু কর্মচারী তাদের ওপর হামলা করে।
হামলার শিকার চিকিৎসকদের অভিযোগ, পরিচালকের নির্দেশে এ হামলা করা হয়েছে। পরে ওই ঘটনার জন্য পরিচালকের পদত্যাগ দাবি করেন চিকিৎসকরা। পাশাপাশি চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার সকাল ১০টার দিকে কর্মবিরতি শুরু করেন চিকিৎসকরা। পরে দুপুরের দিকে আউটডোর এবং জরুরি বিভাগে কার্যক্রম শুরু হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক পদত য গ চ ক ৎসকদ র চ ক ৎসকর পদত য গ
এছাড়াও পড়ুন:
পিকনিকের খাবার খেয়ে অসুস্থ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ ৪৫ জন
রাজশাহীতে পিকনিকের খাবার খেয়ে একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক মিলিয়ে ৪৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা পর্যন্ত চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তারা ভর্তি হয়েছেন।
চিকিৎসকরা বলছেন, ফুড পয়জনিংয়ের কারণে তারা অসুস্থ হয়েছেন।
আরো পড়ুন:
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের হাসপাতাল চালুর দাবিতে সড়ক অবরোধ
নিজ গোপনাঙ্গ ‘কাটলেন’ যুবক, যা জানালেন চিকিৎসক
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, জেলার চারঘাট উপজেলা সদরের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থানাপাড়া সোয়ালোজ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে গত রবিবার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ ১৮০ জন গোদাগাড়ী উপজেলার সাফিনা পার্কে পিকনিকে যান। তাদের মধ্যে ৪৭ জন ছিল ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বাকিরা অভিভাবক এবং তাদের আত্মীয়।
পিকনিকের জন্য বিদ্যালয়েই খাবার রান্না করা হয়। সেখানে প্যাকেট করে খাবার নিয়ে যাওয়া হয়। সাফিনা পার্কে পৌঁছানোর পর দুপুর ২টার দিকে দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়। সন্ধ্যায় পিকনিক থেকে বাড়ি ফেরার পর থেকেই অনেকের ডায়রিয়া ও বমি শুরু হয়।
গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়া শুরু করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৪৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রপালী খাতুন বলেন, “পিকনিকের খাবার খাওয়ার পর রাত থেকেই আমার দুই মেয়ের ডায়রিয়া শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার থেকে অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়। এখন দুই মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। স্যালাইন চলছে। ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছি।”
থানাপাড়া সোয়ালোজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমিতাভ নেওয়াজ বলেন, “খাবার রান্না করে সুন্দরভাবে পরিবেশন করা হয়েছে। কি কারণে ফুড পয়জনিং হয়েছে বুঝতে পারছি না। আমার মেয়েও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে।”
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌফিক রেজা বলেন, “ফুড পয়জনিংয়ের কারণে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শিশু বিশেষজ্ঞসহ অন্য চিকিৎসকরা তাদের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। রোগীদের অবস্থা এখন অনেকটাই ভালো। কোনো রোগীর অবস্থা খারাপ হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হবে।”
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ