বাংলাদেশ বেতারকে শক্তিশালী করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বেতার প্রাঙ্গণে বিশ্ব বেতার দিবস-২০২৫ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ বেতারকে ঐতিহ্যবাহী গণমাধ্যম উল্লেখ করে সচিব বলেন, “বেতার তথ্য, বিনোদন ও সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে মানুষের অতি প্রয়োজনীয় সঙ্গী হয়ে উঠেছে। জনগণের সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা অর্জনের অন্যতম উৎস হচ্ছে বাংলাদেশ বেতার।”

আরো পড়ুন:

সাংবাদিক বেলাল হত্যার পুনঃতদন্ত করে হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি

‘সাংবাদিক সমাজ ভালো কাজে জনমত গঠনে ভূমিকা রাখবে’

ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরাসহ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেতারের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “দুর্যোগের সময় যখন অন্যান্য যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তখন বেতারের মাধ্যমেই মানুষ জরুরি বার্তা পেয়ে থাকে।”

বেতারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সরকার বেতারের কর্মপরিধি ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে। বেতারের পদসোপান সৃষ্টিতেও ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

মাহবুবা ফারজানা বলেন, “বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও অনুষ্ঠান প্রচারের পাশাপাশি অপপ্রচার প্রতিরোধে বেতারের কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষ সবসময় যেন বেতার শুনতে পায়, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের কাজ করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে বেতারকে নিউ মিডিয়ার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে।”

এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য তিনি বেতারের কর্মকর্তা, কলাকুশলী, শিল্পীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রশিক্ষণ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

‘বেতার ও জলবায়ু পরিবর্তন' প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বেতার দিবসের আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড.

মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম এবং ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. সুসান ভায়েজ।

বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক এ এস এম জাহীদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বেতারের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অনুষ্ঠান) মু. আনোয়ার হোসেন মৃধা।

আলোচনা সভার শুরুতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণমূলক ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এরপর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ফারহান ফাইয়াজের পিতা শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং গণঅভ্যুত্থানে আহত মাসুদুর রহমানকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।

বিশ্ব বেতার দিবসের এই অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থাসমূহের প্রধানসহ বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিল্পী ও কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ত র র কর অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

সুরে-গানে-তালে বৈশাখকে বরণ করল রাবি

বাংলা বছরের প্রথম দিনকে স্বাগত জানাতে বাঙালি মেতে উঠেছে নানা আয়োজনে। বাঙালি জাতিসত্তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার অন্যতম দিনটিকে কেন্দ্র করে সর্বত্রই বইছে উৎসবের আমেজ। জাতি-গোত্র-বর্ণ সব ভেদাভেদ ভুলে সকলে একযোগে দিনটি উদযাপন করেছে।

বৈশাখের আগমনকে নতুন সুরে, গানে, তালে বরণ করে নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় চারুকলা চত্বরে মুক্তমঞ্চে বর্ষবরণের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব। পরে বেলা ১০টায় চারুকলা চত্বর থেকে শুরু হওয়া বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।

আরো পড়ুন:

নববর্ষে থাকবে রাবি অধ্যাপকের ৩০০ ফুটের স্ক্রলচিত্র প্রদর্শনী

রাবি শিক্ষার্থীদের বিজু উৎসব উদযাপন

শোভাযাত্রায় উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনও নিজ নিজ কর্মসূচির মাধ্যমে বর্ষবরণ উদযাপন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, লোক প্রশাসন বিভাগ, ফলিত গণিত বিভাগ, মার্কেটিং বিভাগসহ একাধিক বিভাগ নতুন বছরকে বরণ করে নিতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

এবারের আয়োজনে ছিলো নানা ধরনের ব্যানার আর ফেস্টুন। শোভাযাত্রায় ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান, বাঙালির ঐতিহ্য, কৃষ্টি-কালচার তুলে ধরতে তৈরি করা হচ্ছে বিভিন্ন মোটিফ। তবে আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার আয়োজনের ব্যাপ্তি কিছুটা কমেছে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা কেউ শখের হাড়ির ভাস্কর্য, আবার কেউ বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে রঙ তুলিতে ফুটিয়ে তুলেছেন। কেউ ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে এঁকেছেন নানা চিত্র। মাঠজুড়ে বিরাজ করছে বাঁশের ফালি দিয়ে শখের হাঁড়ি ও পালকি। আবার কেউ কেউ মধ্যপ্রাচ্যের মানবতার বিপর্যয়কে প্রতীকী করে শলাকা দিয়ে মিসাইল বোমা ও ড্রোন বানিয়েছেন।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ফারিহা সাঈদ নিশা বলেন, “এটা আমার জীবনের প্রথম বৈশাখ পালন। আগে কখনো এত বড় করে পালন করা হয়নি। সবার সঙ্গে অনেক আনন্দ করলাম, অনেক ভালো লাগলো। বৈশাখের আনন্দ সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ুক, এই কামনা করছি।”

রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বকুল বলেন, “শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে নতুন বর্ষকে আমরা বরণ করে নিলাম। আমার শিক্ষার্থীরা গত এক সপ্তাহ ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে ব্যানার ফেস্টুন তৈরি করেছে। সেসব নিয়ে সবাই উল্লাসে মেতেছে আজ। নববর্ষে এমন আয়োজন করতে সত্যি খুশি লাগছে। এর জন্য আমার শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তারা অনেক পরিশ্রম করেছে।”

বর্ষবরণের কর্মসূচিতে ক্যাম্পাস জুড়ে বিভিন্ন বিভাগ ও সংগঠনের উদ্যোগে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের প্রশিক্ষণ-কর্মসংস্থান কার্যক্রম শুরু
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ২১জন শহীদ পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান
  • অধিকার আদায়ে সড়ক অবরোধের সংস্কৃতি
  • নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে অস্পষ্টতা কতটা কাটল
  • বেরোবির জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত শিক্ষার্থীদের মাঝে চেক হস্তান্তর
  • গণঅভ্যুত্থানে হত্যা: ফেনী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
  • গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি ড্রোন শো’র মাধ্যমে শ্রদ্ধা
  • সুরে-গানে-তালে বৈশাখকে বরণ করল রাবি