হুমায়ুন ফরীদির জীবনে কত গল্প...
Published: 13th, February 2025 GMT
২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি আজকের দিনে অগণিত ভক্তকে কাঁদিয়ে অনন্তকালে যাত্রা করেন কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি। আজ প্রিয় অভিনেতার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। অভিনেতার প্রতিটি কথা, বাক্য, জীবনদর্শন এখনো গেঁথে আছে ভক্তদের হৃদয়ে। সেটে সবাইকে কৌতুকে মাতিয়ে রাখতেন। থাকতেন সবার মধ্যমণি হয়ে।
জীবনে অনেক পাগলামি করেছেন হুমায়ুন ফরীদি। দেশ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাবার নিয়ে মজাচ্ছলে গল্প বলেছেন ভক্তদের কাছে। কই মাছের গল্প দিয়ে সাক্ষাৎকারটি শুরু করেন অভিনেতা। গল্পটা অনেকটা এ রকম, হুমায়ুন ফরীদি সিনেমা নিয়ে তখন দারুণ ব্যস্ত। সেটে একদিন বাবুর্চি অভিনেতার কাছে জানতে চাইলেন, তিনি কী খাবেন দুপুরে? হুমায়ুন ফরীদি উত্তরে বলেছিলেন, তোমরা যা দাও, তখন বাবুর্চি বলে উঠলেন, আপনি কখনো কিছু বলেন না, আপনি কিছু বলেন, আমরা সেটা বানাই। তখন হুমায়ুন ফরীদি বাবুর্চিকে বলেন, ‘ভাই কই মাছ খাওয়াইও যদি পারো।’ এর পর থেকে সিনেমার শুটিং থাকলে হুমায়ুন ফরীদির জন্য কই মাছ থাকতই। শুধু সিনেমাতেই নয়, নাটকেও কই মাছই পরিবেশন করা হতো প্রিয় অভিনয়শিল্পীর জন্য।
ঝাল পছন্দ হুমায়ুন ফরীদির। এমনকি অবাক তথ্যও দিয়েছিলেন শিল্পী। তিনি বলেন, বিদেশে গেলেও আমার পকেটে কাঁচা মরিচ থাকে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার সময়ে বন্ধুর বোন খাবার নিয়ে গিয়েছিল, বন্ধু গোসলের পর খাবেন, তার আগেই বন্ধুদের নিয়ে হুমায়ুন ফরীদি সেই খাবার খেয়ে সাবাড় করে খালি বক্স রেখে এসেছিলেন বন্ধুর রুমে। এমনকি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে ঈদে কোরবানির জন্য কেনা স্যারের গরুও চুরি করেছেন বন্ধুরা মিলে। সেই গরু সাভার থেকে কসাই এনে ২০ জনের জন্য ১৫ কেজি রান্না করা হয়েছিল, বাকিটা স্যারকে দিয়েছিলাম। সার তো হতভম্ব। ঈদের দিন সকালেই নতুন গরু কিনেছিলেন তিনি।
টেলিভিশন নাটকের দৃশ্যে সুবর্ণা ও হুমায়ুন ফরীদি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
নববর্ষে জাবিতে গাজার মানচিত্র এঁকে গণহত্যার অভিনব প্রতিবাদ
বর্ষবরণের দিনে নানা উৎসবে মেতেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। এরই মাঝে ফিলিস্তিনে চলমান ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে গাজার প্রতীকী মানচিত্র এঁকে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাবির একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সামনের মাঠে তারা এ মানচিত্র অঙ্কন করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, টিএসসির সামনের মাঠে অঙ্কিত এ মানচিত্রে ব্যবহার করা হয়েছে নিমার্ণাধীন ভবনের পরিত্যক্ত কংক্রিট। সীমানা চিহ্নিত করা হয়েছে সাদা রঙে। এছাড়া লাল রঙে চিহ্নিত করা হয়েছে সেইসব অঞ্চল, যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে। মানচিত্রের মাঝখানে স্থাপন করা হয়েছে ফিলিস্তিনের পতাকা। এছাড়া শান্তির প্রতীক হিসেবে রোপণ করা হয়েছে একটি জলপাই গাছ।
আরো পড়ুন:
জাবিতে বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত
জাবিতে চালু হলো ইলেকট্রিক কার্ট, কমবে দুর্ভোগ
দুপুর সাড়ে ১২টায় এই প্রতীকী মানচিত্রের উদ্বোধন ও ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদসহ প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
এ সময় প্রতিবাদ কর্মসূচির অন্যতম উদ্যোক্তা ৪৮তম ব্যাচের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার। আজ আমরা যেমন আনন্দের সঙ্গে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপন করেছি, তেমনি গাজায় চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এবং সেখানকার মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে এই মানচিত্র নির্মাণ করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের সামাজিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ আমরা চালিয়ে যাবো।”
উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, “এই আয়োজন আমাদের শিক্ষার্থীদের মানবিক বোধ, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং রাজনৈতিক সচেতনতার অনন্য দৃষ্টান্ত। একটি রাষ্ট্রের নিরীহ জনগণের ওপর যখন নির্বিচারে হামলা চলছে, তখন একজন শিক্ষার্থী হিসেবে নীরব থাকা নয়, বরং প্রতিবাদ জানানোই দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক। এই প্রতীকী মানচিত্র নির্মাণের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা ন্যায় ও মানবতার পক্ষে তাদের স্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেছে।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী