Prothomalo:
2025-03-16@10:07:15 GMT

হুমায়ুন ফরীদির জীবনে কত গল্প...

Published: 13th, February 2025 GMT

২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি আজকের দিনে অগণিত ভক্তকে কাঁদিয়ে অনন্তকালে যাত্রা করেন কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি। আজ প্রিয় অভিনেতার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। অভিনেতার প্রতিটি কথা, বাক্য, জীবনদর্শন এখনো গেঁথে আছে ভক্তদের হৃদয়ে। সেটে সবাইকে কৌতুকে মাতিয়ে রাখতেন। থাকতেন সবার মধ্যমণি হয়ে।
জীবনে অনেক পাগলামি করেছেন হুমায়ুন ফরীদি। দেশ টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাবার নিয়ে মজাচ্ছলে গল্প বলেছেন ভক্তদের কাছে। কই মাছের গল্প দিয়ে সাক্ষাৎকারটি শুরু করেন অভিনেতা। গল্পটা অনেকটা এ রকম, হুমায়ুন ফরীদি সিনেমা নিয়ে তখন দারুণ ব্যস্ত। সেটে একদিন বাবুর্চি অভিনেতার কাছে জানতে চাইলেন, তিনি কী খাবেন দুপুরে? হুমায়ুন ফরীদি উত্তরে বলেছিলেন, তোমরা যা দাও, তখন বাবুর্চি বলে উঠলেন, আপনি কখনো কিছু বলেন না, আপনি কিছু বলেন, আমরা সেটা বানাই। তখন হুমায়ুন ফরীদি বাবুর্চিকে বলেন, ‘ভাই কই মাছ খাওয়াইও যদি পারো।’ এর পর থেকে সিনেমার শুটিং থাকলে হুমায়ুন ফরীদির জন্য কই মাছ থাকতই। শুধু সিনেমাতেই নয়, নাটকেও কই মাছই পরিবেশন করা হতো প্রিয় অভিনয়শিল্পীর জন্য।

আরও পড়ুনহুমায়ুন ফরীদি বলেছিলেন, যখন কাউকে ভালোবাসবে, একবুক সমুদ্র নিয়ে ভালোবাসবে১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ঝাল পছন্দ হুমায়ুন ফরীদির। এমনকি অবাক তথ্যও দিয়েছিলেন শিল্পী। তিনি বলেন, বিদেশে গেলেও আমার পকেটে কাঁচা মরিচ থাকে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার সময়ে বন্ধুর বোন খাবার নিয়ে গিয়েছিল, বন্ধু গোসলের পর খাবেন, তার আগেই বন্ধুদের নিয়ে হুমায়ুন ফরীদি সেই খাবার খেয়ে সাবাড় করে খালি বক্স রেখে এসেছিলেন বন্ধুর রুমে। এমনকি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে ঈদে কোরবানির জন্য কেনা স্যারের গরুও চুরি করেছেন বন্ধুরা মিলে। সেই গরু সাভার থেকে কসাই এনে ২০ জনের জন্য ১৫ কেজি রান্না করা হয়েছিল, বাকিটা স্যারকে দিয়েছিলাম। সার তো হতভম্ব। ঈদের দিন সকালেই নতুন গরু কিনেছিলেন তিনি।

টেলিভিশন নাটকের দৃশ্যে সুবর্ণা ও হুমায়ুন ফরীদি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

হলে হলে জাবি ছাত্রদলের ইফতার

রমজানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বিভিন্ন বিভাগ, ব্যাচ, জেলা সংগঠন, সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনগুলো দলবদ্ধ ইফতার আয়োজন ভিন্নরকম এক আমেজ সৃষ্টি করে। বড় পরিসরে আয়োজিত গণইফতারও চোখে পড়ার মতো। মিলেমিশে এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয় সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির মেলবন্ধন।

গত ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে গণইফতার মাহফিলের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে গতকাল শুক্রবার (১৪ মার্চ) গণইফতারের আয়োজন করে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের জাবি শাখা। এছাড়া রবিবার (১৬ মার্চ) গণইফতারের ঘোষণা দিয়েছে শাখা ছাত্রশিবির।

তবে রমজানের আমেজ ছড়িয়ে দিতে জাবি শাখা ছাত্রদলও ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে। তারা পর্যায়ক্রমে ক্যাম্পাসের প্রতিটি হলে ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা ও ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ইফতার ও দোয়া মাহফিল’ শিরোনামে আয়োজন করছে হচ্ছে ইফতার ও দোয়া মাহফিল।

আরো পড়ুন:

পরীক্ষায় পরিকল্পিতভাবে নাম্বার কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ জাবি শিক্ষার্থীর

লাকি আক্তারের গ্রেপ্তার দাবিতে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট হল সংখ্যা ২১ টি। এরমধ্যে ছেলেদের ১১টি, মেয়েদের ১০টি। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, আল বেরুনী হল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল, কাজী নজরুল ইসলাম হলসহ মোট ৮টি হলে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। 

রবিবার (১৬ মার্চ) ছাত্রী হলগুলোর সম্মিলিতভাবে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তীতে বাকী হলগুলোতেও পর্যায়ক্রমে ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। 

শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিক বলেন, “পতিত স্বৈরাচার আমলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পবিত্র রমজান মাসে মিলেমিশে আনন্দঘন পরিবেশে ইফতারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল। সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে হলের সিনিয়র-জুনিয়রদের সঙ্গে বসে ইফতার করার ফলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে  সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হচ্ছে। জাবি ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করার মধ্য দিয়ে ইতিবাচক রাজনীতি ধারা তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, “ছাত্রদলের জাবি শাখার উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে প্রত্যেকটি হলে ধারাবাহিক ইফতর কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে আমরা আটটি ছেলেদের হলে ইফতার আয়োজন সম্পন্ন করেছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সম্পর্ক আরো উন্নয়নের চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি।”

তিনি বলেন, “প্রত্যেকটি হলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ছাত্রদল নেতাকর্মীদের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ইফতারে অংশগ্রহণ করেছে। বাকি হলগুলোর ইফতার আমরা ২০ রমজানের মধ্যে সম্পন্ন করবো। এছাড়াও আমরা নারী শিক্ষার্থীদের সন্মানে আগামীকাল রবিবার ইফতারের আয়োজন করতে যাচ্ছি।”

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • হলে হলে জাবি ছাত্রদলের ইফতার
  • হবিগঞ্জের সুতাং নদে মাইক্রোপ্লাস্টিক