ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা, ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ
Published: 13th, February 2025 GMT
গাইবান্ধায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আব্দুল্যাহ আল-মামুন মন্ডলকে (৩০) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে উপজেলার ধাপেরহাট বন্দরের জামদানি সড়ক মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী নিহতের লাশ নিয়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের ধাপেরহাট বন্দরে সন্ধ্যা ৬টা থেকে অবস্থান নিয়ে অবরোধ করে রেখেছে। এতে মহাসড়কে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
নিহত আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন মন্ডল (৩০) উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের খামারপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান মন্ডলের ছেলে ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ধাপেরহাট ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া বর্তমানে তিনি বিপিএলের সিলেটের নেট ফাস্ট বোলার ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আব্দুল্যাহ আল-মামুন মন্ডলকে ওই এলাকায় দেখা যায়। এর পর পরই এক দল দুর্বৃত্ত দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
খবর পেয়ে তার স্বজনরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে। দ্রুত তাকে পার্শ্ববর্তী রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়া হচ্ছিল। পথে তার মৃত্যু হয়। পরে তার লাশ নিয়ে এলাকাবাসী ধাপেরহাটে অবস্থান নিয়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
নিহতের পিতা আব্দুল মান্নান মন্ডল জানান, গত কয়েক বছর থেকে আব্দুল্যাহ আল-মামুন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল না। মামুন দীর্ঘদিন থেকে ক্রিকেট খেলা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। সে গত বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সিলেট থেকে বাড়ি এসেছিল। তিনি এই হত্যার বিচার চান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রাত ৮টায় ঘটনাস্থল থেকে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজ উদ্দিন খন্দকার জানান, মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য এলাকাবাসীকে অনুরোধ করা হচ্ছে। এছাড়া দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত ও আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
ঢাকা/মাসুম/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল য হ আল ম ম ন অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
‘ধর্ষণ’ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারের মন্তব্যের নিন্দা প্রধান উপদেষ্টার
‘ধর্ষণ’ শব্দ পরিহার নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর করা মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। রবিবার (১৬ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ধর্ষণ শব্দটি পরিহার নিয়ে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর করা মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। আট বছর বয়সী বা ৮০ বছর বয়সী, যার সঙ্গেই হোক না কেন—ধর্ষণ ধর্ষণই। এমন জঘন্য অপরাধকে অবশ্যই যথাযথভাবে উল্লেখ করতে হবে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের সহিংসতা সহ্য করবে না অন্তর্বর্তী সরকার।
উল্লেখ্য, শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সংবাদকর্মীদের সংবাদ প্রতিবেদনে ‘ধর্ষণ’ শব্দটির পরিবর্তে ‘নারী নির্যাতন’ শব্দটি ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
ঢাকা/হাসান/রাজীব