বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘শরীয়াহ্ অ্যাডভাইজরি কমিটি'র সভায় ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক ইস্যুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) শরীয়াহ্ অ্যাডভাইজরি কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্পের বিপরীতে পঞ্চম বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ সুকুক ইস্যুর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘শরীয়াহ্ অ্যাডভাইজরি কমিটি'র প্রথম সভা বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আরো পড়ুন:

সাবেক গভর্নরসহ ২৫ জনের নামে লকার খুঁজে পায়নি দুদক

বাংলাদেশ ব্যাংকে দুদক টিম

কমিটির সভাপতি ডেপুটি গভর্নর ড.

মো. কবির আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সব সদস্যের সম্মতিতে আলোচ্য প্রকল্পটির বিপরীতে ইসতিসনা অ্যান্ড আইজারাহ পদ্ধতিতে তিন হাজার কোটি টাকার ৭ বছর মেয়াদি সুকুক ইস্যুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আলোচ্য সুকুকটি সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বিপরীতে ইস্যু করা হবে তাই সুকুকটির নামকরণ সিআইবিআরআর-২ সোস্যাল ইমপেক্ট সুকুক করা হয়েছে।

বাস্তবায়নকারী সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিআইডি) এর মাধ্যমে প্রকল্পটির আওতায় বাংলাদেশের ৮টি বিভাগের ৫৮টি উপজেলায় ৮২টি সেতু নির্মাণের কাজ চলমান আছে। যার মোট দৈর্ঘ্য ১৭ হাজার ৬৯৭ মিটার, ৩৮ হাজার ৮০০ মিটার সংযোগ সড়ক ও ৪ হাজার ২৩০ মিটার নদী শাসনের কাজ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও প্রকল্প এলাকার আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষি ও অকৃষি পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সহজ ও ব্যয় হ্রাস এবং স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কর্মসংস্থানের সুযোগ নিশ্চিত হবে।

ঢাকা/এনএফ/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

ফরহাদ মজহারের বক্তব্য বিএনপি ও দেশের মানুষের হৃদয়ে আঘাত করেছে: বিএনপি নেতা এ্যানি

বিএনপিকে নিয়ে কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহারের বক্তব্য বিএনপিসহ ‘সারা দেশের মানুষের হৃদয়ে আঘাত’ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।

আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার আন্দোলনে গুম ও শহীদ’ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে এ কথা বলেন শহীদ উদ্দীন চৌধুরী। ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’। এ আয়োজনে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থেকে বক্তব্য দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ফরহাদ মজহার সাহেব গতকাল বিএনপি সম্পর্কে যে কথা বলেছেন, এটা বিএনপি নয় শুধু, সারা বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে আঘাত করেছে। তাঁর বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে, এ দেশে তাঁর ‘নমিনেটেড’ (মনোনীত) লোক শুধু আন্দোলন করেছে, আর কেউ আন্দোলন করেনি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমি মনে করি, যারা এই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, করেছিল, ফরহাদ মজহারের বক্তব্যে তারা সুযোগ পাচ্ছে। এ সুযোগ আমরা দেব না, ইনশা আল্লাহ। আমার বিশ্বাস, যারা শহীদ পরিবারের তারা কোনো দিনও এ সুযোগ দেবে না। কারণ, তারা প্রায়োরিটি বেসিসে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে) বিচার চেয়েছে।’

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘আমি আজকে অভয় দিতে চাই, এ সরকার শিগগিরই একটি নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে এবং এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আর সে সরকারের নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল।’ তিনি বলেন, ‘আমি সরকারকে অনুরোধ করব, বিগত ১৫-১৬ বছরে যাঁরা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দুটি পক্ষ তৈরি করবেন না।’

উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার যশোর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আয়োজনে এক আলোচনা সভায় ফরহাদ মজহার বলেন, ‘আমাদের কথা শোনা যখন থেকে বন্ধ করে দিয়েছে বিএনপি, তখন থেকে পতন শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত যারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি, আজ হোক, কাল হোক তারা হারিয়ে যাবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ