রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) ম্যানেজমেন্ট বিজনেস সোসাইটির (এমবিএস) উদ্যোগে প্রথমবারের মতো পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আতিয়ার রহমান।

পিঠা উৎসবে স্থানীয় পাহাড়ি নানা পদের বাহারী পিঠা, গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠার প্রদর্শনী ও বিক্রি করা হয়। পাহাড়ি পিঠার মধ্যে সান্নে পিঠা, বড়া পিঠা, বিনি হোগা এবং অন্যান্য পিঠা ও খাদ্যের মধ্যে ছিল বড়ই হোরবো, হুরো হোরবু, পাজন তোন, মটর, সেমাই, চিকেন রোল, পাটি সাফটা, জাপানিজ সুসি, পুডিং, চটপটি, হৃদয় হরণ পিঠা, পুলি পিঠা, ফুল ঝুড়ি পিঠা, নারিকেল সুন্দরী পিঠা, মোলিনা পিঠা, ডিম সুন্দরী পিঠা এবং সুজির হালুয়া ইত্যাদি।

পিঠা উৎসবে উদ্বোধনী বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর বলেন, ‘‘যারা খারাপ কাজের মধ্যে রয়েছে, তাদের ভালো কাজের মধ্যে আসতে হবে। যারা পরীক্ষায় বার বার ইম্প্রুভমেন্ট দেয়; এটাও একটা খারাপ কাজ। এ সমস্ত খারাপ কাজ থেকে বের হওয়ার জন্য পিঠা উৎসবের মতো পাঠক্রম বহিঃ কাজের পাশাপাশি পড়াশুনা ঠিক রাখতে হবে।’’    

আরো পড়ুন:

নিজস্ব ক্যাম্পাসের দাবিতে নরসিংদী টেক্সটাইল কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থান

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটি স্থগিত, আন্দোলন প্রত্যাহার  

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘প্রতিদিন পুরো ক্যাম্পাসকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব সকলের। একটি ক্লিন ক্যম্পাস গড়ে তোলার জন্য সবার দায়িত্ববোধের মাধ্যমে কাজ করতে হবে।’’ বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে, বেঞ্চে যারা লিখে, তাদের এগুলো না করার আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাবিপ্রবির ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের ডিন ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সূচনা আখতার, সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ধীমান শর্মা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাদ্দাম হোসেন, ম্যানেজমেন্ট বিজনেস সোসাইটির (এমবিএস) সহ-সভাপতি ফাহিমুল আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক মো.

সোলেমান বাদশা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রায় ১০টি স্টলে নানা ধরণের পিঠার পসরা সাজিয়ে প্রদর্শনী ও বিক্রি করেছে। পিঠা উৎসব ঘিরে বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 
 

ঢাকা/শংকর/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পূর্ণসেবা ও নতুন শিষ্যত্ব দিয়ে ভাঙল সাধুর হাট

সাধুসঙ্গ, রাখালসেবা, অধিবাস, পূর্ণসেবাসহ নানা রীতি ও অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে সাঙ্গ হলো ফকির লালন শাহ স্মরণোৎসব। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অষ্টপ্রহরব্যাপী গুরুকার্যের মাধ্যমে শুরু হয় সাধুসঙ্গ। সর্বশেষ শক্রবার দুপুরে লালন ভক্ত সাধু-গুরুদের পূর্ণসেবার মাধ্যমে উৎসব শেষ হয়েছে। সকালে বাল্যসেবায় পায়েস ও মুড়ি দেওয়া হয় ফকির বাউল ভক্তদের। দুপুরে পূর্ণসেবায় ছিল ভাত, ডাল, সবজি, মাছ ও দই। এর পর লালন মতে দীক্ষিতদের খেলাফত (শিষ্যত্ব) প্রদান করেন তাদের নিজ নিজ গুরুরা। 

দোল পূর্ণিমা তিথিতে প্রতি বছর ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে তিন দিনব্যাপী সাড়ম্বরে উদযাপিত হয় ফকির লালন শাহর স্মরণোৎসব। সাধু-গুরু, লালন ভক্তদের সরব উপস্থিতি, গান ও গ্রামীণ মেলায় জমজমাট হয়ে ওঠে আখড়াবাড়ি প্রাঙ্গন। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় লালন একাডেমি এ উৎসবের আয়োজন করে। এবার রমজানের কারণে এক দিনই লালন স্মরণোৎসব হয়েছে। ছিল না সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গ্রামীণ মেলার আয়োজন। ফলে উৎসবে লালন ভক্ত বাদে অন্য লোকজনের উপস্থিতিও ছিল কম।   

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে লালন একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভার মাধ্যমে উৎসবের উদ্বোধন করেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। ওই দিন রাত ১১টার দিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আখড়াবাড়িতে খণ্ড খণ্ড দলে ভাগ হয়ে আসর বসিয়েছেন বাউল সাধুরা। একতারা বাজিয়ে গানে গানে তারা স্মরণ করছেন ফকির লালন শাহকে। এ সময় তেমন ভিড় চোখে পড়েনি। 

উৎসবে আগত ফকির রাজ্জাক শাহ বলেন, ‘সাঁইজি (ফকির লালন) পূর্ণিমা তিথিতে সাধুসঙ্গ করতেন। সেই ধারাবাহিকতায় আমরাও এমন আয়োজন চালিয়ে যাচ্ছি। অষ্টপ্রহরব্যাপী গুরুকার্য, রাখালসেবা, অধিবাস, বাল্যসেবা ও পূর্ণসেবার মাধ্যমে সাধুসঙ্গ অনুষ্ঠিত হয়। এবার সাধুসঙ্গে আসল বাউলরা অংশ নেওয়ায় কোনো ভিড় বা ঠেলাঠেলি ছিল না। এতে খুশি আমরা।’

ফকির হৃদয় শাহ বলেন, ‘আমরা চাই পারস্পরিক উৎসবে আসা সবার মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হোক। প্রেমের জায়গা গভীর হোক ও ঘৃণা দূর হোক। দোল পূর্ণিমা তিথিতে লালন শাহ তাই করতেন।’

আখড়াবাড়ির ভারপ্রাপ্ত খাদেম মশিউর রহমান বলেন, দুপুরে পূর্ণসেবার মাধ্যমে শেষ হয়েছে সাধুসঙ্গ। এবারও লালন ভক্ত অনুসারীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল আখড়াবাড়ি। আসছে ১ কার্তিক ফকির লালনের তিরোধান দিবসে আবার মিলনমেলায় শরিক হবেন লালন ভক্ত ও প্রেমীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সম্প্রীতির ইফতার
  • হামজা চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি ফেরা নিয়ে উৎসবের আমেজ
  • মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নান উৎসব উদযাপন ফ্রন্ট’র নতুন কমিটির আত্মপ্রকাশ
  • বাঙালির রঙের উৎসব দোল পূর্ণিমা
  • চাঁদপুরে দোল উৎসবের সময় মন্দিরে ঢিল, এক পুণ্যার্থী আহত
  • হোলি উৎসবে বন্ধ হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি
  • প্রথমবার কানে যাচ্ছেন আলিয়া
  • সিয়াম চমক, বুবলীর ঝলক
  • পূর্ণসেবা ও নতুন শিষ্যত্ব দিয়ে ভাঙল সাধুর হাট
  • দিবার ঈদ কালেকশনে যা থাকছে