হিমাগারের অন্যায্য ও অযৌক্তিক ভাড়া বন্ধের দাবিতে সমাবেশ
Published: 13th, February 2025 GMT
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলায় হিমাগারের অন্যায্য ও অযৌক্তিক ভাড়া বন্ধের দাবিতে সমাবেশ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ এলাকায় পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কে আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতি লিমিটেডের ব্যানারে দেড় ঘণ্টাব্যাপী এ সমাবেশ করা হয়।
পরে তাঁরা আলু ফেলে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন। অবরোধ চলাকালে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনএ) ফজলে এলাহী ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারী আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা দুপুর ১২টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন।
আলুচাষিরা বলেন, কয়েক বছর ধরে হিমাগারে আলু সংরক্ষণে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা। এতে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পুঁজি হারিয়েছেন। গত দুই বছরে আলু চাষ করা থেকে অনেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। চলতি মৌসুমে উৎপাদনের জন্য বীজ, আলু ও সার বেশি দামে কিনতে হয়েছে। যে জমি ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা প্রতি বিঘা ইজারা নেওয়া গেছে, এবার সেই জমি ২৫ হাজারের বেশি টাকা দিয়ে ইজারা নিতে হয়েছে। গত বছর প্রতি কেজি আলুর হিমাগার ভাড়া ছিল ৩ থেকে ৫ টাকা। একলাফে এবার সেটা আট টাকা করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এবার আলুর উৎপাদন বেশি হয়েছে, তাই হিমাগারমালিকেরা আলু সংরক্ষণে ভাড়া বাড়ানোর পাঁয়তারা করছেন।
আলুচাষি ও ব্যবসায়ীদের দাবিগুলোর মধ্যে আছে—হিমাগারে প্রতি বস্তা আলুর বিপরীতে ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণ ও অহেতুক হয়রানি বন্ধ করা, আলু শুকানোর জন্য শেড চার্জ ফ্রি বা নামমাত্র করা, আলু সংরক্ষণের জন্য হিমাগারমালিকেরা যে ঋণ করেন, তা ব্যাংকের সুদের হারের চেয়ে ২ শতাংশের বেশি নির্ধারণ না করা এবং সংরক্ষিত আলু পচে গেলে কিংবা হিমাগার কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে নষ্ট হলে বাজার অনুযায়ী সংরক্ষণকারীকে মূল্য পরিশোধ করা।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বীরগঞ্জ উপজেলা আলুচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক হরি বাবু, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি জেমিয়ন রায় প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনএ ফজলে এলাহী বলেন, এলাকার কৃষকেরা তাঁদের কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছিলেন। অনেকেই ঋণ করে, যথেষ্ট পরিশ্রম করে আলু চাষ করেছেন। বিষয়টি জানার পরে তৎক্ষণাৎ জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়েছে। জাতীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টার পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে সমাধানের লক্ষ্যে হিমাগারমালিক, আলুচাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ও ব যবস য় আল চ ষ অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
সৌদি ক্রিকেট লিগ কি আইপিএলকে টেক্কা দিতে পারবে?
ফুটবল, গলফ, ফর্মুলা ওয়ান এবং টেনিসের মতো ব্যয়বহুল এবং অভিজাত খেলাধুলায় বিশাল বিনয়োগ করেছে সৌদি আরব। এবার মরুর বুজের দেশটি চোখ দিয়েছে ক্রিকেটে। তারা বিশাল বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে একটি গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগের জন্য, যা একটি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটর প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব নিল ম্যাক্সওয়েলর মাঠা থেকে এসেছে।
দ্য এজে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত লিগটি টেনিসের গ্র্যান্ড স্ল্যামগুলোর মতো হবে, যেখানে আটটি দল বছরে চারটি ভিন্ন স্থানে ম্যাচ খেলবে।
এসআরজি স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্টস, সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) এর স্পোর্টস শাখা, প্রস্তাবিত লিগটি সমর্থন করছে। যা সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার নিল ম্যাক্সওয়েলের একটি চিন্তা-ভাবনা। এই সাবেক ক্রিকেটার আবার রতমান অজি কাপ্তান প্যাট কামিন্সের ম্যানেজার।
আরো পড়ুন:
সৌদি আরবে ২১ হাজার অবৈধ প্রবাসীকে গ্রেপ্তার
রিয়াদে মহান শহীদ দিবস পালিত
এসআরজি এই লিগটি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সঙ্গে আলোচনা চলছে। এই লিগটি আবার অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাথে যৌথভাবে তৈরি হচ্ছে, যার একজন সাবেক বোর্ড সদস্য ম্যাক্সওয়েল।
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে, সৌদি সোভেরেন ওয়েলথ ফান্ড লিগে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৬০০০ কোটি টাকা) পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। এখন এটি দেখার বিষয় যে, নতুন এই লিগটি কীভাবে ভীষণ ব্যস্ত ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে জায়গা করে। যেখানে ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) দুই মাস ধরে একাধিক কার্যক্রমে জায়গা দখল করে রাখে।
আইপিএল ছাড়াও, বিগ ব্যাশ লিগ (অস্ট্রেলিয়া), দ্য হান্ড্রেড (ইংল্যান্ড) এবং এসএটি-টোয়েন্টি (দক্ষিণ আফ্রিকা) সহ অন্যান্য লিগ রয়েছে যা ক্যালেন্ডারের বেশ বড় অংশ দখল করে থাকে।
তবে, প্রস্তাবিত সৌদি সমর্থিত লিগ দাবি করেছে যে, এটি বিদ্যমান লিগগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতার বদলে তাদের পরিপূরক হতে চায়। এটি বিশেষত ছোট দেশগুলোর জন্য একটি বিকল্প রাজস্ব উৎস তৈরি করার উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে। বর্তমান আর্থিক মডেলের মূলত ‘বিগ থ্রি’, ভারতের, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডকে বেশি সুবিধা দেয়।
তবে, লিগটির ভবিষ্যত নির্ভর করছে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহের উপর। যিনি বিসিসিআই এর সেক্রেটারি ছিলেন। এছাড়া বিসিসিয়াইকে তাদের ক্রিকেটারদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে, যাতে তারা বিদেশী টী-টোয়েন্টি লিগে অংশগ্রহণ করতে পারে।
ঢাকা/নাভিদ