নির্বাচনের জন্য সংস্কার লাগবে, সংস্কার শেষ করার জন্যও নির্বাচন লাগবে: জোনায়েদ সাকি
Published: 13th, February 2025 GMT
নির্বাচন ও সংস্কারের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, ‘অনেকে এখন বলছেন সংস্কারের আগে কোনো নির্বাচন নয়। নির্বাচন নিজেই একটা সংস্কার। আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই। নির্বাচনের জন্য সংস্কার লাগবে, আবার সংস্কার শেষ করার জন্যও নির্বাচন লাগবে। দুটির মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। যাঁরা সংস্কার বোঝেন না, তাঁরাই এ কথা বলেন।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় গণসংলাপে’ তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়ন গণসংহতি আন্দোলন এই সংলাপের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘জনগণের সমর্থন ছাড়া সংস্কার করা যায় না। নির্বাচনের আগে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য যে আইনি সংস্কার দরকার, সেটা নির্বাচনের আগে করতে হবে। আর সংবিধান সংস্কার নির্বাচনের পরে হবে। এ বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি করে যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে।’
গণসংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ওষুধের দাম হতে হবে যৌক্তিক
দেশে জনসংখ্যার তুলনায় ওষুধের দোকান বেশি। তবে ওষুধ সহজপ্রাপ্য করতে দাম নির্ধারণ যৌক্তিকভাবে করতে হবে। অত্যাবশ্যক ওষুধের তালিকা হালনাগাদ করার পাশাপাশি সরকারের একমাত্র ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডকে শক্তিশালী করা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থা বিষয়ক এক নীতি কর্মশালায় এ কথা বলা হয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও ইউএসসি ফোরাম যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে। আয়োজনে আর্থিক সহায়তা দেয় ইউনিসেফ। কর্মশালায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, গবেষক, ওষুধবিজ্ঞানী, জনস্বাস্থ্যবিদ ও এনজিও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয় দেশে অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, ইউনানি ও আয়ুর্বেদি—সব মিলিয়ে ওষুধ কোম্পানি আছে ৯০৫টি। এর মধ্যে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ কোম্পানি আছে ৩০৫টি, চালু ২২৯টি। দেশের ওষুধের বাজার ৪০ হাজার কোটি টাকার।
কর্মশালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে ধরা হয় ১০ হাজার মানুষের জন্য আড়াইটি ওষুধের দোকান বা ফার্মেসি যথেষ্ট। কিন্তু বাংলাদেশে ১০ হাজার মানুষের জন্য ওষুধের দোকান আছে ১৬টির বেশি। দেশের মানুষের চিকিৎসা ব্যয়ের বড় অংশ চলে যায় ওষুধের পেছনে।
শুরুতে আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশের মানুষের কাছে ওষুধ সহজপ্রাপ্য কতটা, ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থা, ওষুধের মূল্য নির্ধারণ ও ওষুধের মূল্য এবং সরকারি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা বিষয়ে আলোচনার জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সভায় উপস্থিত একাধিক আলোচক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনে অত্যাবশ্যক ওষুধের তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। পাশাপাশি সরকারের একমাত্র ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
কর্মশালায় বক্তব্য দেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান। ঢাকা, ১৩ ফেব্রুয়ারি