নির্বাচন ও সংস্কারের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেছেন, ‘অনেকে এখন বলছেন সংস্কারের আগে কোনো নির্বাচন নয়। নির্বাচন নিজেই একটা সংস্কার। আমরা সংস্কারও চাই, নির্বাচনও চাই। নির্বাচনের জন্য সংস্কার লাগবে, আবার সংস্কার শেষ করার জন্যও নির্বাচন লাগবে। দুটির মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। যাঁরা সংস্কার বোঝেন না, তাঁরাই এ কথা বলেন।’

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠায় গণসংলাপে’ তিনি এসব কথা বলেন। উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়ন গণসংহতি আন্দোলন এই সংলাপের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘জনগণের সমর্থন ছাড়া সংস্কার করা যায় না। নির্বাচনের আগে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য যে আইনি সংস্কার দরকার, সেটা নির্বাচনের আগে করতে হবে। আর সংবিধান সংস্কার নির্বাচনের পরে হবে। এ বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি করে যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে।’

গণসংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র জন র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের খুব কাছে ইরান: জাতিসংঘ

পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে ইরান খুব বেশি দূরে নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি। তেহরানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে এ মন্তব্য করেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছে যে, পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা করছে ইরান। যদিও তেহরান কখনোই তাদের অভিযোগ স্বীকার করেনি। তেহরানের দাবি, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুরোটাই বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। এ ছাড়া ইরান বিপজ্জনকভাবে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)।

গালফ টাইমসের খবরে বলা হয়, বুধবার ফরাসি পত্রিকা লে মন্ডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গ্রোসি বলেন, এ বিষয়টি ধাঁধার মতো। তাদের কাছে খণ্ড খণ্ড (পারমাণবিক) শক্তি আছে, একদিন তারা এগুলো একত্রিত করতে পারবে। ইরানের ওই পর্যায়ে পৌঁছাতে এখনও বহু পথ বাকি থাকলেও সময়টা খুব বেশি দূরে নয়, যা আমাদের স্বীকার করতেই হবে।

ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতার বিষয়টি যাচাই করার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শুধু এটা বললেই হবে না যে, আমাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র নেই, যার ভিত্তিতে তারা আপনাকে বিশ্বাস করবে। এ ক্ষেত্রে বিষয়টি আমাদের যাচাই করতে দিতে হবে। ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার পরিকল্পনা আটকে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পরিবর্তে তিনি একটি চুক্তির মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কার্যক্রম সীমিত করার চেষ্টা করছেন। মার্কিন প্রশাসনসহ অন্যদের বরাত দিয়ে বুধবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। 

রয়টার্স জানায়, ইরানের তেল রপ্তানিকে লক্ষ্য করে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে একটি চীনা ‘টিপট’ তেল পরিশোধনাগারও রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তেহরানের ওপর চাপ বাড়াতে আবারও তার ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি চালু করেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ