রিজভীর বক্তব্য দুরভিসন্ধিমূলক: জামায়াত
Published: 13th, February 2025 GMT
‘জামায়াত সব সময় মুনাফেকি করেছে, মুনাফেকি ছাড়া কিছুই করেনি’ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এমন বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটি বলেছে, ফ্যাসিবাদ মুক্ত পরিবেশে দেশকে যখন ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা, সেই মুহূর্তে রিজভীর এই বক্তব্য জাতীয় ঐক্যবিরোধী এবং দুরভিসন্ধিমূলক।
বৃহস্পতিবার জামায়াতে ইসলামীর প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দের সই করা বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ১২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার এক স্মরণ সভায় রিজভী ‘আমরা জামায়াতকে সমর্থন করিনি। বিএনপির উদারতার কারণে তারা বাংলাদেশে প্রথম রাজনীতি করার সুযোগ পায়। কিন্তু সব সময় এই দলটি মুনাফেকি করেছে। মুনাফেকি ছাড়া তারা কিছু করেনি।’ মর্মে যেসব মন্তব্য করেছেন, তা আপত্তিকর, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা তার এই বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এতে বলা হয়, রিজভী জামায়াতের বিরুদ্ধে এসব কথা উচ্চারণ করে আসলে কী অর্জন করতে চান, তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। ফ্যাসিবাদ মুক্ত পরিবেশে দেশকে যখন ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা, সেই মুহূর্তে তার এই বক্তব্য জাতীয় ঐক্যবিরোধী এবং দুরভিসন্ধিমূলক। দেশবাসী মনে করে, এ ধরনের বক্তব্য সৌজন্যতা ও রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে রাজনীতি করে। আমরা কখনো কারও সঙ্গে মোনাফেকি করেনি। জামায়াত দেশের মানুষের অধিকার, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আপসহীনভাবে লড়াই করে যাচ্ছে। তার এইসব কথার কোনো ভিত্তি নেই।
জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি ভারতের আধিপত্যবাদ ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। জামায়াতের এই ভূমিকা গোটা জাতি গ্রহণ করেছে। আর এ কারণেই সম্ভবত জনাব রিজভীর গাত্রদাহ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ও অপবাদ আরোপের রাজনীতি থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম র জন ত ত র এই ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বিমান ধরছে বাংলাদেশ
সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নটা শুনে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত খানিকটা হাসলেন। এরপর স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে জানিয়ে দিলেন তাদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া। প্রশ্নটা ছিল, ‘‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আপনাদের লক্ষ্য কী?’’ এই প্রশ্নের জবাবে শান্তর সাহসিকতা সবাইকে মুগ্ধ ও বিস্মিত করেছে।
বিশাল স্বপ্ন ও আশা নিয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। স্টাফসহ পুরো দলই আজ একসাথে উড়াল দিচ্ছে। সঙ্গে আছেন দুই অতিরিক্ত পেসার হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদ।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তো বটেই, আইসিসির বৈশ্বিক আসরে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সর্বোচ্চ সাফল্য সেমিফাইনাল খেলা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ২০১৭ সালের আসরে নিউ জিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াকে টপকে সেরা চারে খেলেছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার বাংলাদেশ।
সেই আসরের পর নানা জটিলতায় আর কোনো চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হয়নি। আগের আসরের সেমিফাইনালে খেলার সুখ স্মৃতি নিয়েই এবার পাকিস্তানে উড়াল দিচ্ছে বাংলাদেশ।
আইসিসির সর্বশেষ কয়েকটি ইভেন্টে বাংলাদেশের অবস্থা ছিল যাচ্ছেতাই। কোন আসরেই সুখকর কিছু করতে পারেনি লাল-সবুজের সারথীরা। তাই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও আশায় বুক বাঁধতে পারছেন না সমর্থকরা। কারণ প্রতিটা দলই শক্তিশালী। তবে অধিনায়ক শান্ত শুনিয়ে গেলেন বিরাট আশার কথা।
সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, “আমার কাছে এমন কিছু (চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য ঠিক করায় বাড়তি চাপ) মনে হয় না। এখানে যে ৮টা দল আছে, সবাই চ্যাম্পিয়ন হওয়া ডিজার্ভ করে। ৮টা দলই কোয়ালিটি দল। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের দলের ওই (চ্যাম্পিয়ন হওয়ার) সামর্থ্য আছে।”
বাংলাদেশ দলপতি আরো জানালেন, দলের সবাই শিরোপা জিততে আত্মবিশ্বাসী, “বাড়তি চাপ আমার মনে হয় না কেউ অনুভব করবে। কারণ সবাই এটাই চাচ্ছে। সবাই মনেপ্রাণে এটা চায় এবং বিশ্বাস করে আমাদের সেই সামর্থ্য আছে। আমাদের রিজিকে আল্লাহ কী লিখে রেখেছেন, জানি না। আমরা মেহনত করছি, সততার সঙ্গে কাজ করছি। প্রত্যেকটা ক্রিকেটার বিশ্বাস করি যে, আমাদের যে লক্ষ্য, সেখানে পৌঁছাতে পারব।”
আত্মবিশ্বাসের কারণ হিসেবে শান্ত সামনে আনলেন আট বছর আগের আসরের সুখস্মৃতি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সোনালী সময়ের কথা মনে করিয়ে দিয়ে শান্ত আরো যোগ করেন, “সবশেষ যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটা খেলেছি, ভালো একটা স্মৃতি ছিল। সেমিফাইনাল খেলেছিলাম। অবশ্যই এটা বাড়তি অনুপ্রেরণা দেবে আমাদের। এ ছাড়া দেশের মানুষের প্রত্যাশা, পরিবারের প্রত্যাশা, ক্রিকেটারদের প্রত্যাশা তো আছেই। সব মিলিয়ে বিশ্বাস করছি যে, ভালো অবস্থানে যাওয়া সম্ভব।”
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এবারের আসরে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ প্রতিবেশী দেশ ভারত। রোহিতদের বিপক্ষে মাঠে নামার মধ্য দিয়ে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মিশন শুরু করে বাংলাদেশ। পরে রাওয়ালপিন্ডিতে ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউ জিল্যান্ড ও ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাগতিক পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে তারা।
ঢাকা/রিয়াদ