হঠাৎ ভেসে উঠে ‘চাচা, হাসু আপা কোথায়?’
Published: 13th, February 2025 GMT
সিলেটের গোলাপগঞ্জে কুশিয়ারা শপিং কমপ্লেক্স নামের একটি বিপণিবিতানের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে হঠাৎ ভেসে উঠে ‘চাচা, হাসু আপা কোথায়? মুদির কাছে পালিয়ে গেছে’ লেখা। গতকাল বুধবার রাতে এমন লেখা ভেসে উঠার পর অনেকে ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেয়। পরে তা ভাইরাল হয়। এ ঘটনার পর আজ বৃহস্পতিবার থানায় মামলা হয়।
ভিডিওতে দেখা গেছে, কুশিয়ারা শপিং কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় নিরাময় ডেন্টাল কেয়ার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল সাইনবোর্ডে ‘চাচা, হাসু আপা কোথায়? মুদির কাছে পালিয়ে গেছে’ লেখা ভেসে উঠে। আজ সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে সুইচ বন্ধ করে দেন নিরাময় ডেন্টাল কেয়ারের পরিচালক ডা.
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্লা ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের বরাত দিয়ে বলেন, ডিজিটাল সাইনবোর্ডটি হ্যাক করে ওই লেখা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে বিপণিবিতানের কেউ জড়িত নন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড জ ট ল স ইনব
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েল-হামাস চুক্তি আবারও সঠিক পথে
গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার ইসরায়েলের তিন জিম্মিকে মুক্তি দেবে তারা। ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি মানছে না– এমন অভিযোগে দেশটির জিম্মিদের মুক্তি দিতে নারাজ ছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার ইসরায়েলি তিন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা খলিল আল-হাইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য কায়রো পৌঁছানোর এক দিন পর এই বিবৃতি এলো।
বৃহস্পতিবার কায়রোতে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠকের পর হামাস জানিয়েছে, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা চুক্তি বাস্তবায়নের পথে যে কোনো বাধা দূর করার আশ্বাস দিয়েছেন। এ বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মিসর ও কাতারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মধ্যস্থতাকারীরা দু’পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে এনেছেন এবং উভয় পক্ষ চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ইসরায়েল মঙ্গলবার জানিয়েছিল, শনিবারের মধ্যে হামাস জিম্মিদের মুক্তি না দিলে যুদ্ধবিরতি শেষ হবে। হামাস দাবি করেছে, ইসরায়েল চুক্তির শর্তভঙ্গ করেছে এবং পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দেয়নি। তবে ইসরায়েল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
রয়টার্স জানায়, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ বুধবার গাজার বিষয়ে তাদের দেশের ‘ঐক্যবদ্ধ’ অবস্থানের ওপর জোর দিয়েছেন।
গাজায় দখলদার দেশটির হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ১৪ জনের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। এখনও অনেক ভুক্তভোগী ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। এ নিয়ে ফিলিস্তিনি উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ২৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হাতে নিহত হয়েছেন শতাধিক ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো সরাসরি হামলায় প্রাণ গেছে ৯২ জনের।