ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলমের প্রত্যাহার চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেছে ঢাকা আইনজীবী সমিতি।

গতকাল বুধবার ঢাকা আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঢাকা বারের পক্ষে লিখিতভাবে এ আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সদস্য ৩১ হাজার ৩৫৯ জন। সম্প্রতি যোগদানরত ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নূরে আলম প্রতিনিয়ত জুনিয়র আইনজীবীদের মামলার শুনানিতে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন, অবিচারিকসুলভ ও অযাচিত মন্তব্য করেন।

এ বিষয় সাধারণ আইনজীবীদের মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অঙ্গনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে ৯ ফেব্রুয়ারি প্রতিনিধি পাঠিয়ে ঢাকা বারের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ওই বিচারকের সঙ্গে আলোচনার জন্য অনুরোধ করা হয়।

কিন্তু বিচারক ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করেননি। ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর পুলিশের ২ জন ঊধ্বর্তন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন পুলিশ সদস্য নিয়ে তিনি এজলাসে বসেন।

আবেদনে আরও বলা হয়েছে, ওই দিন বিচারক ঢাকা বারের কর্মকর্তাদের পুলিশ দিয়ে এজলাস থেকে বের করে দেন। এসবের জন্য বিচারক নূরে আলমকে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল থেকে প্রত্যাহার করতে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চান ঢাকা বারের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম।

বিচারকের অপসারণ চেয়ে গত মঙ্গলবার থেকে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল বর্জন করে আসছেন সাধারণ আইনজীবীরা। ওই দিনই আদালত বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা বার।

ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ স্থবির হয়ে পড়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল সংগঠনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম ও মহাসচিব মুহাম্মদ মাজাহারুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ল ইসল ম আইনজ ব

এছাড়াও পড়ুন:

মেঘনা আলমকে আটকের ঘটনায় ৩৮ নাগরিকের নিন্দা

মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন দেশের ৩৮ নাগরিক। একই সঙ্গে মেঘনা আলমকে দ্রুত ও নিঃশর্ত মুক্তি দিতে এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আইনজীবী, আইনের শিক্ষক ও মানবাধিকারকর্মী রয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের পর ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় তাঁর কোনো হদিস ছিল না। পরে ১০ এপ্রিল রাতে তাঁকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে হাজির করা হয় বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তারের সময় তাঁকে তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করতে দেওয়া হয়নি।

বিবৃতিতে ৩৮ নাগরিক বলেন, এই পদক্ষেপের বিস্তৃত প্রভাব নিয়ে তাঁরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নিপীড়নমুক্ত করার যে লক্ষ্য ছিল, তা এমন কর্তৃত্ববাদী পদক্ষেপের কারণে ক্ষুণ্ন হয়েছে। যেভাবে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা ন্যায়বিচার, জবাবদিহি ও মানবিক মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধার নীতি থেকে বিচ্যুতি তুলে ধরেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই পরিস্থিতিতে মেঘনা আলমকে দ্রুত এবং শর্তহীন মুক্তি দেওয়ার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর কাছে জরুরিভাবে আহ্বান জানাচ্ছি, যেন কী কারণে তাঁকে আটক করা হয়েছে তা দ্রুত তদন্ত করা যায়, দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া যায় এবং মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের জন্য তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়। একই সঙ্গে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আবেদা গুলরুখ, ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, ওমর ফারুক, কাজী জাহেদ ইকবাল, মানজুর-আল-মতিন, প্রিয়া আহসান চৌধুরী, তাসলিমা ইয়াসমিন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, সব পদে জয়ী বিএনপি-জামায়াতপন্থিরা
  • মেঘনা আলমকে আটকের ঘটনায় ৩৮ নাগরিকের নিন্দা
  • পয়লা বৈশাখের আয়োজন বাধাগ্রস্ত করার কোনো অধিকার নেই
  • ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ: যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের মুখে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
  • ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভের কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের মুখে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
  • চট্টগ্রামে মনোনয়ন ফরম নিতে পারেননি আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা
  • চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা মামলায় ১১ আসামির জামিন নামঞ্জুর
  • আরেকজনকে হত্যা করতে গিয়ে আইনজীবীকে খুন, পাঁচজন কারাগারে
  • ভুল টার্গেটে খুন হন আইনজীবী সুজন: পুলিশ
  • ভুল টার্গেটে খুন আইনজীবী সুজন, গ্রেপ্তার ৫