দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় লিভারপুল কোচ স্লট
Published: 13th, February 2025 GMT
এভারটনের বিপক্ষে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে ২-২ ড্র করে লিভারপুল। ম্যাচের পর দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও হাতাহাতি ছড়িয়ে পড়ে ডাগআউটেও। এই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই রেফারির সঙ্গে অসদাচরণ করায় লিভারপুল কোচ আর্নে স্লট লাল কার্ড দেখেন।
ম্যাচ শেষে এভারটনের আব্দুলায়ে ডোকুর উসকানিমূলক উদযাপন ঘটনার সূত্রপাত করে। রেফারি মাইকেল অলিভার এরপর চারজনকে লাল কার্ড দেন—লিভারপুলের কুর্টিস জোন্স, কোচ আর্নে স্লট, সহকারী কোচ সিপকে হালশঅফ এবং এভারটনের ডোকুরকে।
স্লটের লাল কার্ডের কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, রেফারির সঙ্গে হাত মেলানোর সময় তিনি আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। লাল কার্ড দেখার পর তিনি কোনো গণমাধ্যমে কথা বলেননি এবং পোস্ট ম্যাচ সংবাদ সম্মেলনেও উপস্থিত হননি।
এই শাস্তির ফলে স্লটকে দুই ম্যাচের জন্য ডাগআউটে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এতে আগামী রোববার উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে এবং ১৯ ফেব্রুয়ারি অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে ম্যাচে তিনি দলের সঙ্গে থাকতে পারবেন না।
প্রিমিয়ার লিগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'মার্সিসাইড ডার্বি শেষে আপত্তিকর, অবমাননাকর ও অশালীন ভাষা ব্যবহারের কারণে লিভারপুলের প্রধান কোচ আর্নে স্লটকে লাল কার্ড দেখানো হয়। এ কারণে তাকে দুই ম্যাচের টাচলাইন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।'
সহকারী কোচ হালশঅফও নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন, ফলে উলভস ও ভিলার বিপক্ষে লিভারপুলের ডাগআউটে দেখা যেতে পারে আরেক সহকারী কোচ জন হেইটিঙ্গাকে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অসহায় গার্দিওলাকে কি নতুন ক্লাসিকোয় আরও ডোবাবেন সন্ত আনচেলত্তি
একজন ডাগআউটে টর্নেডোর মতো অস্থির হয়ে এদিক-সেদিক ছুটছেন। আঙুলের ইশারায় শিষ্যদের কড়া নির্দেশনা দিচ্ছেন। আবার কিছু একটা মনমতো না হলে মাথা কুটে মরছেন। কখনো কখনো আবেগ সামলাতে না পেরে সাইডলাইনে বসেও পড়ছেন, এমনকি পারলে শুয়েও পড়েন!
বিপরীতে অন্য ডাগআউটের কোচটির মধ্যে কোনো কিছুই নিয়েই যেন কোনো হেলদোল নেই। তিনি যেন শতবর্ষীয় এক সন্ত। মুখে চুইংগাম নিয়ে চোয়ালটাকে অনন্তকাল ধরে নাড়িয়েই চলেছেন। দল গোল খেলেও আবেগে কোনো তারতম্য হয় না, আবার গোল দিলেও ভাবগতিকে কোনো পরিবর্তন আসে না। অদ্ভুত এক নির্লিপ্ততা যেন।
ডাগআউটে দুই কোচের এমন বিপরীতমুখী অবস্থান গত কয়েক বছরে আমাদের সময়ের ক্ল্যাসিক চিত্রগুলোর একটি। সেই দুজন কোচের নাম বোধ হয় আলাদা করে বলে না দিলেও চলে। তা–ও অবশ্য বলে দেওয়া ভালো। অস্থির সেই কোচের নাম পেপ গার্দিওলা আর শান্ত-সুবোধ ‘বালক’টি কার্লো আনচেলত্তি।
সামনের দিনগুলোয় আধুনিক ফুটবলের ধ্রুপদি দ্বৈরথের কথা বললে ম্যানচেস্টার সিটি-রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা গার্দিওলা-আনচেলত্তির লেখা গল্পগুলো ওপরের দিকেই থাকবে। বিশেষ করে কয়েক বছর ধরে ইউরোপীয় ফুটবলের রোমাঞ্চের পারদটাকে বেশ ওপরে দিকেই নিয়ে গেছেন তাঁরা। যেখানে মুখোমুখি লড়াইগুলো ফুটবলীয় নন্দনের চিরকালীনতার সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। আজ রাতে ইতিহাদে মাঠে নামার আগে দুই দলের লড়াইকে ‘ক্লাসিকো’র মর্যাদা দিচ্ছেন রিয়াল কোচ আনচেলত্তিও। তিনি বলেছেন, ‘এটা এখন ক্লাসিকোর মতোই। কারণ, আমরা দুই দল অনেক দিন ধরে একে অপরের বিপক্ষে খেলছি।’
আরও পড়ুনসেই অর্থের ছায়াতলেই সিটির ভাগ্য বদলাতে চাইছেন গার্দিওলা২৪ জানুয়ারি ২০২৫এবারসহ গত চার মৌসুম ধরে চ্যাম্পিয়নস লিগে মুখোমুখি হয়ে আসছে সিটি-রিয়াল। তবে আগের লড়াইগুলোর সঙ্গে এবারের লড়াইয়ের মৌলিক পার্থক্যও আছে। শেষ তিন বছরের দুবার এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল সেমিফাইনালে এবং একবার কোয়ার্টার ফাইনালে। এর মধ্যে ২০২১-২২ এবং ২০২৩-২৪ মৌসুমের দ্বৈরথ অনেক দিন মনে রাখার মতো ছিল। কিন্তু এবার পরিবর্তিত সংস্করণে দুই দল মুখোমুখি হতে যাচ্ছে শেষ ষোলোতে যাওয়ার নকআউট লড়াইয়ে। অর্থাৎ আগেভাগেই বিদায় নিতে হবে দুই পরাশক্তির একটিকে।
রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণভাগের চার খেলোয়াড় (বাঁ থেকে) এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস, বেলিংহাম ও রদ্রিগো