দেড় কোটি টাকার আয় বহির্ভূত সম্পদ গোপন রাখার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় খুলনা মহানগর ডিবির এসআই মো. আলী আকবর শেখকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে তাকে তিন হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) খুলনার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো.

আশরাফুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী ইয়াসিন আলী। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত ডিবি এসআই মো. আলী আকবর আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১১ সালে এসআই আকবর দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১০ লাখ ৪১ হাজার ৮৩৬ টাকার সম্পদ থাকার ঘোষণা দেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ১ কোটি ৮২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৭ টাকার সম্পদ থাকার তথ্যাদি প্রমাণ পাওয়া যায়। এর মধ্যে হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশন থেকে ১৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং অফিস থেকে গৃহ নির্মাণ বাবদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণের তথ্য পাওয়া গেছে। 

তিনি তার বিবরণীতে ১ কোটি ৫১ লাখ ৬২ হাজার ২৫১ টাকার সম্পদ থাকার তথ্য গোপন করেছেন। যা তার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসমঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে দখলে রাখার অপরাধ করেছেন।

এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাহাতাব উদ্দিন বাদী হয়ে ২০১৬ সালের ২২ মার্চ বাদী হয়ে খুলনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার নং ২৫। ২০১৭ সালের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক নাজমুল হুসাইন এসআই মো. আকবর আলী শেখকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মজিবর রহমান জানান, মামলা চলাকালীন সময়ে ৯ জনের মধ্যে ৮ জন আদালতে স্বাক্ষ্য প্রদান করেন।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ওসিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা

চাঁদাবাজির অভিযোগে পাহাড়তলী থানার ওসি (তদন্ত) ও পুলিশের তিন কর্মকর্তাসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসেনের আদালতে মামলার আবেদন করেন মামুন আলী ওরফে কিং আলী নামের এক বিএনপি নেতা। শুনানি শেষে আদালত সিআইডিকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। 

বাদীর আইনজীবী জানান, ওসি তদন্ত বাবুল আজাদের নেতৃত্বে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা মামুন আলীর কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন।

চাঁদা না পেয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর মামুনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ১৯ অক্টোবর বিএনপি তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করে। 

মামলার আসামিরা হলেন- পাহাড়তলী থানার ওসি (তদন্ত) বাবুল আজাদ, এসআই মানিক ঘোষ, আসাদুল হক ও কিশোর মজুমদার এবং এসএস ট্রেডিংর সত্ত্বাধিকারী সাইফুল ইসলাম সুমন, ব্যবস্থাপক আরিফ মঈনুদ্দিন, উপ-ব্যবস্থাপক মো. আমান ও সুপারভাইজার দিদার হোসেন সজিব। 

বাদীর আইনজীবী আশরাফুর রহমান জানান, ওসি তদন্ত বাবুল আজাদের নেতৃত্বে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা মামুন আলীর কাছ থেকে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা মামুন আলীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে হেফাজতে নিয়ে নির্যাতন করেন। এরপর তার ডিপোর সব মালামাল লুট করে নিয়ে যান। আদালত মামলা গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। 

মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ১০ অক্টোবর বন্দর এলাকার জিএইচ এন্টারপ্রাইজ থেকে ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকায় ২০ হাজার টন পাথর কেনেন মামুন আলী। পাথরগুলো পাহাড়তলীর টোল রোডের কিং আলী গ্রুপের ডিপোতে এনে রাখেন। ১৭ অক্টোবর অভিযুক্তরা ডিপোর কার্যক্রমে বাধা দেন পাহাড়তলী থানার এসআই মানিক ঘোষ ওসির সঙ্গে দেখা করতে বলেন। সন্ধ্যায় বাদী ওসির কাছে গেলে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁকে থানায় আটকে মারধর এবং পরদিন তাঁকে একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২৪ অক্টোবর ৩০টি ট্রাক নিয়ে গিয়ে ডিপোর মালামাল লুট করে নেন অভিযুক্তরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সম্পদের হিসাব গোপন রাখার দায়ে ডিবির সাবেক এসআইয়ের কারাদণ্ড
  • পুলিশ কর্মকর্তার ৩ বছরের জেল
  • অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার এসিল্যান্ড-এসআই, গ্রেপ্তার ২
  • গৃহবন্দি দুই প্রবাসীর পরিবার
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিবি পুলিশের ২ কনস্টেবল গ্রেপ্তার
  • অবৈধ কার্তুজসহ ডিবি পুলিশের ২ কনস্টেবল গ্রেপ্তার
  • অপারেশন ডেভিল হান্ট: ফরিদপুরে দুই ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
  • চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির মামলা করলেন বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা
  • ওসিসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা