মৌলভীবাজার আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ নেতার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্ষুব্ধ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের তোপের মুখে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা থাকলে আগের রাতে নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেয় জেলা আইনজীবী নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।

জেলা আইনজীবী সমিতি গঠিত নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট বকসী জুবায়ের আহমেদ অনিবার্য কারণবশত নির্বাচন স্থগিতের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

জানা যায়, মৌলভীবাজার আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের নির্বাচনের লক্ষ্যে জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি মামুনুর রশীদকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করে চার সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়। কমিশন গত ৭ জানুয়ারি তপশিল ঘোষণা করে। গত মাসের ২৩ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র গ্রহণ শেষে আজ ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। এ নির্বাচনে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১৫ পদে ২১ আইনজীবী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে সভাপতি পদে প্রার্থী হন কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক এস এম আজাদুর রহমান। এ খবর জানার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ও জেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীরা প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠেন। 

বুধবার সন্ধ্যার দিকে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সভাপতি পদে আজাদুর রহমানকে নির্বাচন করতে না দেওয়ার দাবি জানান জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। 

আইনজীবী সমিতির নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির জেলা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল হোসাইন, শাহাব উদ্দিন বাবলু, শফিকুল ইসলাম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাকারিয়া ইমন, মঞ্জুর আহমেদ, জাবেদ আহমেদ প্রমুখ। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন তাৎক্ষণিক জরুরি সভার আহ্বান করে নির্বাচন স্থগিত করে। পরে বুধবার রাত ৮টার দিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার স্বাক্ষরিত এক নোটিশে অনিবার্য কারণবশত নির্বাচন স্থগিতের কথা জানানো হয়।

জাতীয় নাগরিক কমিটি জেলা প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল হোসাইন জানান, জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জেলার প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়টি নির্বাচনের আগের দিন জানতে পারেন তারা। এর পর কঠোর প্রতিবাদ জানালে আইনজীবী সমিতি গঠিত নির্বাচন কমিশন নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দেয়। এতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির অবসান হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ আইনজ ব আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিনা ভোটে জয়ী হচ্ছেন সবাই

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকসহ ২১টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা। আগামী ১৬ এপ্রিল সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণার প্রক্রিয়া চলছে। 

আওয়ামী সমর্থিত প্রার্থীদের অভিযোগ, নির্বাচনে অংশ নিতে তারা ফরম নিতে পারেননি। ফরম নিতে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন বলেও জানান তারা।

গতকাল শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ছিল চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এই দিন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সবগুলো পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পাওয়া যায়নি।

আরো পড়ুন:

নির্বাচনী প্রচারে পোস্টার না রাখার কথা ভাবছে ইসি

বাপ ডাইক্কা নির্বাচন দেওন লাগব, বললেন বিএনপির ফজলুর রহমান

মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট তারিক আহমদ জানান, ২১টি পদের জন্য ২১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাইয়ে সবগুলোই উৎরে গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় সবাইকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

মনোননয়ন জমা দেওয়া ২১টি পদের মধ্যে ১৪টি পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি কাজী মো. সিরু, অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, পাঠাগার সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আশরাফী বিনতে মোতালেব, ক্রীড়া সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন এবং সদস্য আহসান উল্লাহ, আসমা খানম, বিবি ফাতেমা, মেজবাহ উল আলম, রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী, রাহিলা গুলশান ও সাজ্জাদ কামরুল হোসেন।

সাতটি পদে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা হলেন- সহ-সভাপতি আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুস, সহ-সম্পাদক ফজলুল বারী, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুল জব্বার এবং সদস্য শাহেদ হোসেন, হেলাল উদ্দিন, রোবায়তুল করিম ও মোহাম্মদ মোরশেদ।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী আইনজীবী মো. আবদুর রশীদ লোকমান বলেন, “নির্বাচনে অংশ নিতে আমরা ফরম নিতে পারিনি। দুপুর ও বিকেলে আমরা দুই দফায় সমিতির লাইব্রেরি থেকে মনোনয়ন ফরম কিনতে গিয়ে বাধার শিকার হয়েছি।” 

বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার বলেন, “আমরা ২১ জন ফরম নিয়েছি। অন্যরা ফরম না নিলে আমাদের তো কিছু করার নেই। তাদের সৎ সাহস নেই। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সময় যারা ছাত্র-জনতার ওপর লাঠি নিয়ে হামলা করেছিল, তারা নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে।”

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ’ ইউনিটে ভর্তিতে নতুন করে এমসিকিউ পরীক্ষা হবে
  • আদালতপাড়ায় এক হয়ে যুবককে পেটালেন সাবেক দুই স্ত্রী
  • ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আবার হবে
  • মডেল মেঘনা আলমের আটকাদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
  • প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, সব পদে জয়ী বিএনপি-জামায়াতপন্থিরা
  • মেঘনা আলমকে আটকের ঘটনায় ৩৮ নাগরিকের নিন্দা
  • পয়লা বৈশাখের আয়োজন বাধাগ্রস্ত করার কোনো অধিকার নেই
  • চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিনা ভোটে জয়ী হচ্ছেন সবাই
  • ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ: যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের মুখে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী
  • ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভের কারণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের মুখে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী