ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ
Published: 13th, February 2025 GMT
২০২৫ সালের বসন্তকালীন সেমিস্টারের নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করল ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আফতাবনগরে বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই সেমিস্টারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪টি বিভাগে প্রায় ১ হাজার ৮৫০ শিক্ষার্থীকে বরণ করা হয়।
নবীনবরণ অনুষ্ঠানের প্রথম ভাগে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শামস রহমান ও সভাপতি হিসেবে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি অনুষদের ডিনরা নবীনদের উদ্দেশে নিজ নিজ অনুষদের সম্ভাবনা নিয়ে বক্তব্য দেন। এ ছাড়া নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে একজন শিক্ষার্থী তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করেন।
বক্তারা নবীন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবনে কঠোর অধ্যবসায়ের পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লাব, গবেষণাগার ও লাইব্রেরিতে সক্রিয় হয়ে একজন দক্ষ মানবসম্পদ রূপে নিজেকে গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, সহ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরা অংশ নেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
‘ভিউ বাণিজ্যে ক্ষতি হয় ক্রিকেটারদের’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত কনটেন্ট ও নেতিবাচক উপস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় দলের ব্যাটার লিটন কুমার দাস। সম্প্রতি সমকালের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মাঠে ব্যাটিংটা সুন্দর বলেই সবাই ধরে নেয় আমি নামলেই রান করব। কিন্তু আমি তো মানুষ, সব সময় তো রান করা সম্ভব না।’
২০১৯ সালে লিটনের ব্যাটিং দেখে ভীষণ মুগ্ধ হয়েছিলেন ইয়ান বিশপ। সেবার বিশ্বকাপে এই ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ধারাভাষ্য দেয়ার সময় লিটনের প্রতিটি শটকে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির আঁকা বিখ্যাত চিত্রকর্ম মোনালিসার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তার মতে ইতালিয়ান চিত্রকর দ্য ভিঞ্চি তুলির আঁচড়ে মোনালিসার যে চিত্র ফুটিয়ে তুলেছিলেন লিটনের ব্যাট যেন ঠিক তার তুলির মতোই।
এমন ছবির মত ব্যাটিংয়ের কথা জিজ্ঞেস করতেই আপত্তি তুললেন লিটন। জানালেন, এমন প্রশংসা আমার জন্য নেতিবাচক। আমার ব্যাটিং সুন্দর দেখে প্রতিদিন রান করতে হবে, এই জিনিসটি সবার ভেতরে গেঁথে গেছে। সবাই ভাবে আমি মাঠে গেলেই রান করব। কেউ রান করুক বা নাই করুক, আমাকে রান করতে হবে। কিন্তু আমি তো মানুষ, ফেল হতেই পারি। একজন বোলারের একটি ভালো বলে আউট হতেই পারি। একটি ভালো ক্যাচ নিতে পারে বা আমি একটি বাজে শট খেলতে পারি; কারণ আমি মানুষ।
লিটন ক্ষোভ ঝেড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ার ভিউ বাণিজ্য নিয়েও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার খারাপ মুহূর্তগুলো বারবার তুলে ধরা হয় উল্লেখ করে লিটন বলেন, যারা নিউজ পোর্টাল চালায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় রিলস বানায়, তাদের উপস্থাপনায় থাকে আমি কেন রান করছি না। আমাকে নিয়ে দিনের পর দিন তারা কনটেন্ট বানিয়েই যাচ্ছে। এটি শুধু চাপই নয়, বরং মানসিকভাবে ‘হ্যাম্পার’ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা রিল বানায়, ইউটিউবে কনটেন্ট দেয়, তারা নিজেদের মতো করে উপস্থাপন করে—কিন্তু সেটি নৈতিক জায়গা থেকে না। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্যও ভুল বার্তা যাচ্ছে। একজন খেলোয়াড়ের খারাপ দিন থাকতেই পারে। কিন্তু একাধিকবার সেই খারাপ মুহূর্ত প্রচার করায় দর্শক বিভ্রান্ত হয়। এই কনটেন্ট কিছু মানুষের জন্য ভালো—ভিউ বাড়ে, লাভ হয়। কিন্তু আমাদের জন্য তা হতাশাজনক।’