ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা ও জজ আয়েশা আক্তার সুমি এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার চর শিবপুর গ্রামের কাজল মিয়া (৪৯), বাহেরচরের আব্দুল খালেকের ছেলে রিপন মিয়া ও নজরুল ইসলামের ছেলে রাসেল মিয়া। আদালতে রায়ের সময় রিপন মিয়া ও কাজল মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন কারাগারে  

সেনা কর্মকর্তা হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার

আদালতের অতিরিক্ত পিপি মো.

আজাদ মিয়া জানান, ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলার লঞ্চঘাট সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে ফল ব্যবসায়ী সাইদুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একদিন আগ থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। সাইদুর রহমান উপজেলার বাহেরচর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ভগ্নিপতি লোকমান মিয়া বাদী হয়ে ১ অক্টোবর রাসেল মিয়াকে আসামি করে মামলা করেন। এরপর থেকে রাসেল রাসেল মিয়া পলাতক। মামলার তদন্তে হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে কাজল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কাজল আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

আসামি পক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন সামী রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে জানান, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।

ঢাকা/রুবেল/বকুল 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সাত বছরের শিশুকে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার

নীলফামারীতে সাত বছরের এক কন্যাশিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আবু বকর সিদ্দিক (৬৫) নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ১১ মার্চ দুপুরে সদর উপজেলায় সাত বছর বয়সী এক শিশুকে প্রতিবেশী আবু বকর সিদ্দিক পেঁপে দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নেন। বাড়িতে গেলে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন তিনি। প্রথমে ঘটনা জানাজানি না হলেও শুক্রবার ভুক্তভোগী শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন সে বিষয়টি পরিবারকে জানায়। পরে তাকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয়রা অভিযুক্ত আবু বক্করকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তাকে আটক করে পুলিশে দেন এলাকাবাসী। শনিবার দুপুরে আবু বক্করকে আদালতে পাঠায় পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমআর সাঈদ জানান, অভিযুক্তি আবু বক্কর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এদিকে, দুপুরে ভুক্তভোগী শিশুকে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ