তিন ব্রোকারেজ হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন দিল ডিএসই
Published: 13th, February 2025 GMT
এপিআই সংযোগের মাধ্যমে নিজস্ব ওএমএস চালু করণের লক্ষ্যে আরো তিন ব্রোকারেজ হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন দিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ৷
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ডিএসইর বোর্ডরুমে ফিক্স সার্টিফিকেশন দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খায়রুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদ এবং মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান পরিচালক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো.
ডিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
যুক্তরাজ্যের বাজারে রেনাটার ওষুধ
মিউচুয়াল ফান্ড-মার্জিন রুলস নিয়ে পুঁজিবাজার টাস্কফোর্সের সুপারিশ
সার্টিফিকেশন গ্রহণকারী ব্রোকারেজ হাউজগুলো হলো- ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ লিমিটেড, গ্রিন ডেল্টা সিকিউরিটিজ লিমিটেড এবং এনবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড।
সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ লিমিটেড-এর সিইও সুমন দাস, গ্রিন ডেল্টা সিকিউরিটিজ লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ওয়াফি শফিক মেনহাজ খান এবং এনবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুবায়েদ আল-মামুন হাসান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর আইসিটি ডিভিশনের জেনারেল ম্যানেজার ও সিটিও (ইনচার্জ) মো. তারিকুল ইসলাম, প্রোডাক্ট অ্যান্ড মার্কেট ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক সাইদ মাহমুদ জুবায়ের, আইসিটি ডিভিশনের উপ-মহাব্যবস্থাপক হাসানুল করিম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস) ভিত্তিক বিএইচওএমএস চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করেন ২০২০ সাল থেকে। এরই প্রেক্ষিতে ৫৯টি ব্রোকারেজ হাউজ নাসডাক ম্যাচিং ইঞ্জিনে এপিআই সংযোগ নিয়ে নিজস্ব অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে লেনদেন করার জন্য ডিএসইতে আবেদন করেন।
ইতোমধ্যে ২৪টি ব্রোকার হাউজকে ফিক্স সার্টিফিকেশন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৯টি ব্রোকার হাউজ ফিক্স সার্টিফিকেশন পাওয়ার পর তারা এপিআই সংযোগের মাধ্যমে নিজস্ব ওএমএস চালু করেছে।
ঢাকা/এনটি/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
১২ দিন পর কারখানা বন্ধের খবর প্রকাশ, তবুও বাড়ছে শেয়ারের দাম
কোম্পানির উৎপাদন বন্ধের খবরেও শেয়ারবাজারে দাম বাড়ছে শেয়ারের। আর এ ঘটনা ঘটেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি সাফকো স্পিনিং মিলসের শেয়ার নিয়ে। আজ বুধবার লেনদেন শুরুর প্রথম এক ঘণ্টায় প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ১০ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ টাকা ৪০ পয়সায়।
এদিকে ডিএসইর মাধ্যমে আজই কোম্পানিটি তাদের কারখানা বন্ধের কথা জানিয়েছে বিনিয়োগকারীদের। কোম্পানিটি জানায়, লোকসান কমাতে পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কারখানার উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ হয়েছে। আপাতত দুই মাসের জন্য কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিচালনা পর্ষদ। দুই মাসের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হলেও নির্ধারিত সময় পর কোম্পানিটি আবার উৎপাদনে ফিরবে কি না, বিষয়টি নিশ্চিত করেনি কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। ডিএসইতে দেওয়া তথ্যে কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দ্রুততম সময়ে আবারও উৎপাদন শুরুর চেষ্টা করা হচ্ছে।
কোম্পানির পক্ষ থেকে কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানোর আগে ডিএসইর একটি দল ৩ ফেব্রুয়ারি সরেজমিন কারখানা বন্ধের খবর জানতে পারে। এরপরই তা ডিএসইর পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। ডিএসইর প্রতিনিধিদলের সরেজমিন পরিদর্শনের পাওয়া তথ্য প্রকাশের এক সপ্তাহের বেশি সময় পর কোম্পানির পক্ষ থেকে কারখানা বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কারখানা বন্ধ থাকলেও কোম্পানির পক্ষ থেকে সেই তথ্য গোপন রাখা হয়।
সাফকো স্পিনিংয়ের সবশেষ আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটি লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। সর্বশেষ গত অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটি দেড় কোটি টাকার বেশি লোকসান করেছে। আগের বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল সাড়ে সাত কোটি টাকার বেশি। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির লোকসান ছয় কোটি টাকার মতো কমেছে। তারপরও লোকসানের ধাক্কা সামলাতে না পেরে কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।
২০০০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সাফকো স্পিনিং ২০২২ সালের পর বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। এ কারণে কোম্পানিটি বর্তমানে দুর্বল মানের কোম্পানি হিসেবে জেড শ্রেণিভুক্ত।