জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে ফতুল্লার দাপা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শুরুতে পবিত্র কুরআন হতে সূরা তিলওয়াত ও পরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। সেই সাথে অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপরই উপস্থিত অতিথিদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অপূর্ব কুমার সাহা। অনুষ্ঠানে ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম লিটনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আজাদ রিফাত গ্রুপের পরিচালক তাজুল ইসলাম রাজীব।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, বিগত সময়ে এই স্কুলটিকে বেশকিছু মহল নিজ স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে আর্থিক সুবিধা ও ক্ষমতার দাপট দেখাতে গিয়ে স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম এবং মূল স্রােতকে ধ্বংস করে ফেলেছে। আমি এই স্কুল সম্বন্ধ্যে অনেক আগে থেকেই জানি।

একটি সমাজ ব্যবস্থার মূল শক্তি হলো শিক্ষা। যেখানে মানুষ গড়ার কারিগড় সেখানে মূল ভিত্তি হলো ডিসিপ্লিন এবং নৈতিকতা। আমরা চাই, এই স্কুলটি রেজাল্ট ও সুনাম দিয়ে আগের সেই ঐতিহ্যে আবার ফিরে আসুক। সেই লক্ষ্যে আপনারা সম্মিলিতভাবে কাজ করবেন।

অভিভাবক ও শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে শিক্ষকদের ভূমিকাও অনেক। স্কুলে বাচ্চারা যখন আসবে, তখন শিক্ষকের দায়িত্ব হলো যত্নসহকারে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও গাইড করা। এতে করে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করতে পারবে।

মূলত, অভিভাবক ও শিক্ষক প্রত্যেকেই শিক্ষার্থীর জীবনে ভূমিকা রাখলে তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হবে। পাশাপাশি আমি বলবো, শিক্ষার্থীকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আজাদ রিফাত গ্রুপের পরিচালক তাজুল ইসলাম রাজীব বলেন, শিক্ষার্থীদের ভালো শিক্ষার্থী হতে হবে। বেশি জানতে হবে। জ্ঞানের তৃষ্ণা থাকতে হবে। আমি আপনাদের পাশে সবসময় আছি। আমাকে যখন ডাকবেন, তখনই আপনাদের পাশে পাবেন। আপনাদের যেকোন ভালো কাজে আমি আপনাদের পাশে আছি।

পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, ফতুল্লা থানা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক আব্দুল খালেক টিপু, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আলহাজ¦ মোঃ তৈয়বুর রহমান, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুর রহিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ সেলিম মুন্সী, সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ মাসুম, বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সভাপতি হাজ¦ী ডিএম সামছুদ দোহা, সাধারণ সম্পাদক হাজ¦ী আলতাফ হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির ছাত্র-বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকী, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি জুয়েল আরমান, ফতুল্লা থানা তাতী দলের সাধারণ সম্পাদক হানিফুর রহমান ইমন, প্রাক্তন শিক্ষক মোঃ ফকরুল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক নজরুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিন প্রমুখ। এছাড়াও অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, স্কুলের অভিভাবক সদস্য কামরুল ইসলাম ও শিক্ষক প্রতিনিধি সালমা আক্তার।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অন ষ ঠ ন উপস থ ত আপন দ র ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েল-হামাস চুক্তি আবারও সঠিক পথে

গাজার যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার ইসরায়েলের তিন জিম্মিকে মুক্তি দেবে তারা। ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি মানছে না– এমন অভিযোগে দেশটির জিম্মিদের মুক্তি দিতে নারাজ ছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। 

আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার ইসরায়েলি তিন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা খলিল আল-হাইয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য কায়রো পৌঁছানোর এক দিন পর এই বিবৃতি এলো।

বৃহস্পতিবার কায়রোতে মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠকের পর হামাস জানিয়েছে, মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা চুক্তি বাস্তবায়নের পথে যে কোনো বাধা দূর করার আশ্বাস দিয়েছেন। এ বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে মিসর ও কাতারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মধ্যস্থতাকারীরা দু’পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য কমিয়ে এনেছেন এবং উভয় পক্ষ চুক্তি বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ইসরায়েল মঙ্গলবার জানিয়েছিল, শনিবারের মধ্যে হামাস জিম্মিদের মুক্তি না দিলে যুদ্ধবিরতি শেষ হবে। হামাস দাবি করেছে, ইসরায়েল চুক্তির শর্তভঙ্গ করেছে এবং পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা প্রবেশ করতে দেয়নি। তবে ইসরায়েল এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

রয়টার্স জানায়, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ বুধবার গাজার বিষয়ে তাদের দেশের ‘ঐক্যবদ্ধ’ অবস্থানের ওপর জোর দিয়েছেন। 

গাজায় দখলদার দেশটির হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ১৪ জনের মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। এখনও অনেক ভুক্তভোগী ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন। এ নিয়ে ফিলিস্তিনি উপত্যকায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় নিহতের সংখ্যা ৪৮ হাজার ২৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হাতে নিহত হয়েছেন শতাধিক ফিলিস্তিনি। ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো সরাসরি হামলায় প্রাণ গেছে ৯২ জনের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ