জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১৬৫ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আ হ ম মুস্তফা কামালের বিরুদ্ধে ২৭ কোটি ৫২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। তাঁর নিজের ও ব্যবসায়িক ৩২টি ব্যাংক হিসাবে ৪৪৬ কোটি ৪২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮৮ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্যও পাওয়া গেছে।

আক্তার হোসেন জানান, আ হ ম মুস্তফা কামালের স্ত্রী কাশমিরি কামালের বিরুদ্ধে ৪৪ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার ১৪৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। কাশমিরি কামালের ২০টি ব্যাংক হিসাবে ২৬ কোটি ৬৪ লাখ ১ হাজার ১৩৩ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। এ মামলায় কাশমিরির সঙ্গে মুস্তফা কামালকেও আসামি করা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, প্রায় ৯৪ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মুস্তফা কামালের দুই মেয়ে কাশফি কামাল ও নাফিসা কামালের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। তাঁদের মধ্যে ৩১ কোটি ৭৮ লাখ ৮৩ হাজার ১৯৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কাশফি কামালের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাঁর নিজের ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে খোলা ৩৮টি ব্যাংক হিসাবে ১৭৭ কোটি ৪৮ লাখ ২৩ হাজার ৫৪৮ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। আর ৬২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫১৬ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নাফিসা কামালের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। তাঁর নিজ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে খোলা ১৭টি ব্যাংক হিসাবে ১৯৯ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৪৭ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। কাশফি কামাল ও নাফিসা কামালের বিরুদ্ধে করা মামলায় তাঁদের বাবা মুস্তফা কামালকে আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুনবিদেশি ‘নাগরিকত্ব’ নিয়ে মন্ত্রী-এমপি হন ২৪ জন ০৫ নভেম্বর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রীসহ হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে মামলা

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও তাঁর স্ত্রী আফরোজা হকের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ রোববার তাঁদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করা হয়। এদিকে দুর্নীতির অভিযোগে গোপালগঞ্জ–২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সেলিমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

মো. আক্তার হোসেন বলেন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ৪ কোটি ৮৪ লাখ ২৫ হাজার ৫০৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁর চারটি ব্যাংক হিসাবে ১১ কোটি ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ১৯ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। আরেক মামলায় হাসানুল হক ইনুর স্ত্রী আফরোজা হকের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭৪ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। হাসানুল হক ইনুর উপার্জিত অর্থ দিয়ে তাঁর স্ত্রী সম্পদশালী হয়েছেন।

গত বছরের ২৬ আগস্ট হাসানুল হক ইনুকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে কমিশন নিতেন শেখ সেলিম

এদিকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিমের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতর মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার টেন্ডার কাজ পছন্দের ঠিকাদারদের পাইয়ে দিয়ে সেখান থেকে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে কমিশন নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

গত বছরের ২০ আগস্ট ফজলুল করিম সেলিম (শেখ সেলিম) ও তাঁর পরিবারের ৯১টি ব্যাংক হিসাব ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সব হিসাব তলব করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাহবুব উল আলম হানিফ ও নাজমুল হাসান পাপনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
  • স্ত্রীসহ হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে মামলা