উন্নয়নের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে এ যাবৎ আর্থিক সাহায্য দিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি)। সম্প্রতি তা স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বিশ্বের অন্তত ৫০টি দেশ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই তথ্য জানিয়েছে। 

ডব্লিউএইচওর প্রধান ড.

টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বিদেশি সহায়তা স্থগিত করার কারণে এইচআইভি, পোলিও, এমপক্স এবং বার্ড ফ্লু মোকাবিলায় চলমান নানা কর্মসূচি প্রভাবিত হয়েছে। অন্য কোনো সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসনকে সাহায্য তহবিল পুনরায় চালু করার বিষয়টি বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। 

বুধবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ৫০টি দেশে এইচআইভি চিকিৎসা ও অন্যান্য সেবা ব্যাহত হয়েছে। বিবিসি।
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু ক্যান্সারের ওষুধ বিনামূল্যে দেবে ডব্লিউএইচও

নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয় ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভা শহরে অবস্থিত ডব্লিউএইচওর কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে এ-সংক্রান্ত কর্মসূচি শুরু হয়ে গেছে। এদিন মঙ্গোলিয়া ও উজবেকিস্তানের ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুদের জন্য ওষুধের চালান পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে। এর পর ইকুয়েডর, জর্ডান, নেপাল ও জাম্বিয়াতেও পাঠানো হবে ওষুধের চালান। এই ছয়টি দেশের হাসপাতালগুলোয় ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু রয়েছে প্রায় ৫ হাজার। তাদের সবার কাছেই বিনামূল্যে পৌঁছাবে ওষুধ। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাইলট পর্যায়ে যে ছয়টি দেশ বেছে নেওয়া হয়েছে, সেগুলোয় মানসম্পন্ন এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ওষুধের সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। শিগগিরই এ তালিকায় যুক্ত হবে আরও নতুন দেশ। 

বিশ্বে এখনও ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় উচ্চ আয়ের দেশগুলোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে মাঝারি ও নিম্ন আয়ের দেশগুলো। এই ব্লকের দেশগুলোয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর সেরে ওঠা শিশুদের হার ৩০ শতাংশেরও কম। অন্যদিকে, ‍উন্নত দেশগুলোয় এ হার প্রায় ৮০ শতাংশ। ডব্লিউএইচওর হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় অন্তত ৪ লাখ শিশু। কিন্তু ওষুধের দুর্মূল্য ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে এই শিশুদের ৭০ শতাংশই মারা যায়। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে ৫০টি দেশে এই কর্মসূচি বিস্তারের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। যদি তা সফল হয়, তাহলে বিশ্বের প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার শিশুরোগী বিনামূল্যে ক্যান্সারের ওষুধ পাবে। 


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসএইড তহবিল স্থগিত, বিপাকে ৫০টি দেশ
  • শিশু ক্যান্সারের ওষুধ বিনামূল্যে দেবে ডব্লিউএইচও
  • ট্রাম্প-ইলনের সিদ্ধান্ত দরিদ্র রাষ্ট্রে যে পরিণতি বয়ে আনছে