‘দীপংকর তালুকদার কলেজের’ নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত
Published: 13th, February 2025 GMT
রাঙামাটির সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের নামে নামকরণকৃত কাউখালী উপজেলার ‘দীপংকর তালুকদার কলেজের’ নাম পরিবর্তন করে ‘বেতবুনিয়া কলেজ’ করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। এর আগে কলেজটির নাম পরিবর্তনের দাবিতে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে কাউখালী উপজেলা বিএনপি।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মুহাম্মদ রিজাউল করিমের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চিঠির একটি কপি দেওয়া হয় কাউখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি বরাবরেও।
প্রজ্ঞাপনে জারিকৃত এ আদেশে বলা হয়, দীপংকর তালুকদার কলেজের’ নাম পরিবর্তন করে ‘বেতবুনিয়া কলেজ’ নামকরণ অবিলম্বে কার্যকর করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হলো।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিবর্গের নামে থাকা সকল স্থাপনার নাম পরিবর্তন করার জন্য ১৬ জানুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুসারে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে।
কাউখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো.
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার জানান, স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে কলেজটির নাম পরিবর্তন করে ‘বেতবুনিয়া কলেজ’ নামে কার্যক্রম চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০২৪ সালের আগস্ট মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম ব্যাচ নিয়ে পথচলা শুরু করে রাঙামাটি থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের নামের এই কলেজ। প্রথম বছরে ১৬৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে যাত্রা শুরু করা এই কলেজটির মূল উদ্যোক্তা ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী। শিক্ষাবোর্ডের শর্ত মেনে ২৫ লাখ টাকা অনুদান দেয়ায় দীপংকর তালুকদারের নামে কলেজটির নামকরণ করা হয় বলে সেইসময় জানিয়েছিলেন তিনি।
৫ আগস্ট সরকার পতনের পর গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কলেজটির নাম পরিবর্তনের দাবি তোলে বিএনপি। গত ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর সোবহানবাগের নিজ বাসা থেকে দীপংকর তালুকদার গ্রেপ্তার হন।
ঢাকা/শংকর/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরক র ব এনপ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
স্বাস্থ্য-পরিবেশ খাতে ব্যাংকগুলোর সিএসআর ব্যয় বেড়েছে
দেশের ব্যাংকগুলো ২০২৪ সালের প্রথমার্ধের চেয়ে শেষ ছয় মাসে করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার-সিএসআর ব্যয় কিছুটা কমেছে। তবে বছরের শেষ ছয় মাসে আগের চেয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন জনিত প্রশমন অভিযোজন খাতের সিএসআর ব্যয় বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, দেশের ব্যাংকগুলো ২০২৪ সালে করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার-সিএসআর ব্যয় করেছে ৬১৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাস সময়ে ব্যাংকগুলোর সিএসআর ব্যয় হয়েছে ৩০৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। বছরের প্রথম ছয় মাস অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর সিএসআর ব্যয় হয়েছিল ৩০৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আগের ছয় মাসের তুলনায় বছরের শেষ দিকে সিএসআর ব্যয় কমেছে ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
খাতভিত্তিক সিএসআর ব্যয় পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে দেশের ব্যাংকগুলোর শিক্ষা খাতে সিএসআর ব্যয় হয়েছে ৪৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। একই বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে এ খাতে সিএসআর ব্যয় হয়েছিল ৬৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে শিক্ষা খাতে সিএসআর ব্যয় উল্লেখ্যযোগ্য হারে কমেছে।
শিক্ষা খাতে ব্যয় কমলেও স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যখাতে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন জনিত প্রশমন-অভিযোজন খাতে ব্যাংকগুলোর সিএসআর ব্যয় বেড়েছে। স্বাস্থ্যখাতে ব্যাংকগুলোর ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে সিএসআর ব্যয় হয়েছে ৮২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। একই বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে এ খাতে সিএসআর ব্যয় হয়েছিল ৭১ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে স্বাস্থ্যখাতের সিএসআর ব্যয় বেড়েছে।
এদিকে, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন জনিত প্রশমন-অভিযোজন খাতে ব্যাংকগুলোর ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে সিএসআর ব্যয় হয়েছে ১৫ কোটি ২ লাখ টাকা। একই বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে এ খাতে ব্যাংকগুলোর সিএসআর ব্যয় ৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এ খাতেও সিএসআর ব্যয় উল্লেখ্যযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
অন্যান্য খাতে ষান্মাসিকে সিএসআর ব্যয় কিছুটা কমেছে। জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে অন্যান্য খাতের সিএসআর ব্যয় হয়েছে ১৬৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত এ খাতে সিএসআর ব্যয় হয়েছিল ১৬৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
২০২৪ সালে ৬ টি ব্যাংক কোনো ধরনের সিএসআর ব্যয় করেনি। ব্যাংকগুলো হলো- বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক।
ঢাকা/এনএফ/টিপু