দেশের পাঁচটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- মুন্সিগঞ্জের হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ, রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, রাজধানীর প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটি এবং চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনক্রমে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে সই করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোছা.

রোখছানা বেগম।

মুন্সিগঞ্জে অবস্থিত হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনজারুল আলম।

সিলেটের লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পরিসংখ্যান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন।

রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম মোল্যা।

রাজধানীর প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এআইইউবি) ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধ্যাপক ড. ফারহীন হাসান।

চট্টগ্রাম অবস্থিত আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী আজাদী।

উপাচার্যদের তিনটি শর্তে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শর্তের মধ্যে রয়েছে- উপাচার্য পদে তাদের নিয়োগের মেয়াদ হবে যোগদানের তারিখ হতে ৪ বছর। তবে রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজনে যে কোনো সময় এই নিয়োগ আদেশ বাতিল করতে পারবেন; তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত বেতনভাতা প্রাপ্য হবেন ও পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধাদি ভোগ করবেন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী উপাচার্য পদে তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপ চ র য র উপ চ র য হ স ব সরক র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএনএ পরীক্ষায় গণ–অভ্যুত্থানে নিহত একজনের পরিচয় মিলেছে

ডিএনএ পরীক্ষার (প্রোফাইলিং) মাধ্যমে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁর নাম মো. হাসান (১৯)। তিনি কাপ্তানবাজারে ইলেকট্রনিক পণ্যসামগ্রীর একটি দোকানের কর্মচারী ছিলেন।

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক মোরশেদ আলম বলেন, নিহত তরুণকে নিজেদের সন্তান বলে দাবি করেছিল একটি পরিবার। পরে তাদের কাছ থেকে ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। আজ মরদেহের ডিএনএর সঙ্গে এর মিল পাওয়া যায়। এতে এই তরুণের নাম হাসান বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময়ে নিহত অজ্ঞাতনামা সাত ব্যক্তির মরদেহ মর্গে রয়েছে। তাঁদের একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকি এক নারীসহ অন্যদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, জুলাই আন্দোলনের সময় থেকে নিখোঁজ স্বজনের খোঁজে দুই পরিবার এসেছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে। এর মধ্যে হাসানের পরিবার ১২ জানুয়ারি একটি মরদেহ তাদের পরিবারের সদস্যের বলে দাবি করেছিল। পরদিন তাঁর মা–বাবার ডিএনএর নমুনা নেওয়া হয়। সেই নমুনা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) পাঠানো হয়েছিল।

মর্গ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসানের পরিবার মরদেহ নেওয়ার জন্য আইনি প্রক্রিয়া শেষ করেছে। আগামীকাল মরদেহ মর্গ থেকে নেওয়া হবে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালিদ মুনসুর জানান, নিহত হাসানের মরদেহটি যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। বাকি ছয়টি মরদেহের মধ্যে একটি যাত্রাবাড়ী থানা–পুলিশ তদারক করছে, অন্য পাঁচটি মরদেহের পরিচয় শনাক্তে শাহবাগ থানা–পুলিশ কাজ করছে।

পরিচয় শনাক্ত হওয়া মো. হাসানের চাচা নুরে আলম জানিয়েছেন, ‘হাসানকে ৫ আগস্ট বিকেল থেকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে আমরা ফেসবুকে দেখি, একটি ছেলে পায়ে বিদ্যুতের তার প্যাঁচানো অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিল। তার মুখে হালকা দাড়ি ও পরনে পায়জামা-পাঞ্জাবি ছিল। তখন মর্গে এসে মরদেহ দেখে মনে হয়েছিল, সে–ই আমাদের হাসান। আজ তা–ই হলো।’

পারিবারিক সূত্র জানায়, ভোলা সদর উপজেলার বাগচির গ্রামের দিনমজুর মনির হোসেন ও মা গোলেনুর বেগমের ছেলে মো. হাসান। তিনি যাত্রাবাড়ীর সুতি খালপাড় বালুর মাঠ এলাকায় থাকতেন। কাজ করতেন কাপ্তানবাজারে ইলেকট্রনিক পণ্যের একটি দোকানে। দুই ভাই, দুই বোনের মধ্যে হাসান ছিলেন সবার বড়।

চাচা নুরে আলম প্রথম আলোকে জানান, আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাসানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ