রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ‘জয় বাংলা বাংলার জয়, জয় বাঙালির জয়’ গানের সঙ্গে এক শিক্ষার্থীর নাচের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ‘অসংগতিপূর্ণ গানে নৃত্য পরিবেশন করায়’ দেওয়ালী বথুনদিয়া পাঁচুরিয়া (ডিবিপি) উচ্চবিদ্যালয়েরর প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ রিজাউল ইসলামকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

আজ বৃহস্পতিবার দেওয়া নোটিশে বলা হয়েছে, দেওয়ালী বথুনদিয়া পাঁচুরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান চলাকালে ছাত্র–জনতার বিপ্লবের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ গানে নৃত্য পরিবেশন করা হয়, যা ছাত্র–জনতার বিপ্লবকে হতাশ করেছে। এই কার্যকলাপে কেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানাতে তিন কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান মঞ্চে সাউন্ড বক্সে বাজছে গান ‘দে তালি, বাঙালি, আজ নতুন করে স্বপ্ন দেখার দিন। জয় বাংলা বাংলার জয়, জয় বাঙালির জয়’। জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে এ গানের সঙ্গে মঞ্চে নৃত্য করছে এক ছাত্রী।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী এজাজ কায়সার প্রথম আলোকে বলেন, ‘১১ ফেব্রুয়ারি বেলা দেড়টা থেকে সোয়া দুইটা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত ছিলাম। সোয়া দুইটার দিকে জরুরি কাজ থাকায় চলে আসার পর বেলা তিনটার দিকে সাউন্ড বক্সে ওই গানের সঙ্গে এক ছাত্রী নৃত্য পরিবেশন করে বলে জানতে পারি। যার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শনোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ১১ ফেব্রুয়ারি বেলা ৩টার দিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে এক ছাত্রী তার নিজের মুঠোফোনে ওই গান বাজিয়ে নৃত্য শুরু করে। এ সময় বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষক অনুষ্ঠান পরিচালনা করছিলেন। তিনি বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ছিলেন। গান বাজার সঙ্গে সঙ্গেই মঞ্চে থাকা ওই শিক্ষক দ্রুত গান বন্ধ করে দেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক অন ষ ঠ ন ল র জয়

এছাড়াও পড়ুন:

সৌদি ক্রিকেট লিগ কি আইপিএলকে টেক্কা দিতে পারবে?

ফুটবল, গলফ, ফর্মুলা ওয়ান এবং টেনিসের মতো ব্যয়বহুল এবং অভিজাত খেলাধুলায় বিশাল বিনয়োগ করেছে সৌদি আরব। এবার মরুর বুজের দেশটি চোখ দিয়েছে ক্রিকেটে। তারা বিশাল বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে একটি গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগের জন্য, যা একটি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটর প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব নিল ম্যাক্সওয়েলর মাঠা থেকে এসেছে।

দ্য এজে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত লিগটি টেনিসের গ্র্যান্ড স্ল্যামগুলোর মতো হবে, যেখানে আটটি দল বছরে চারটি ভিন্ন স্থানে ম্যাচ খেলবে।

এসআরজি স্পোর্টস ইনভেস্টমেন্টস, সৌদি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (পিআইএফ) এর স্পোর্টস শাখা, প্রস্তাবিত লিগটি সমর্থন করছে। যা সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার নিল ম্যাক্সওয়েলের একটি চিন্তা-ভাবনা। এই সাবেক ক্রিকেটার আবার রতমান অজি কাপ্তান প্যাট কামিন্সের ম্যানেজার।

আরো পড়ুন:

সৌদি আরবে ২১ হাজার অবৈধ প্রবাসীকে গ্রেপ্তার

রিয়াদে মহান শহীদ দিবস পালিত

এসআরজি এই লিগটি নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সঙ্গে আলোচনা চলছে। এই লিগটি আবার অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাথে যৌথভাবে তৈরি হচ্ছে, যার একজন সাবেক বোর্ড সদস্য ম্যাক্সওয়েল।

প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে যে, সৌদি সোভেরেন ওয়েলথ ফান্ড লিগে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৬০০০ কোটি টাকা) পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। এখন এটি দেখার বিষয় যে, নতুন এই লিগটি কীভাবে ভীষণ ব্যস্ত ক্রিকেট ক্যালেন্ডারে জায়গা করে। যেখানে ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) দুই মাস ধরে একাধিক কার্যক্রমে জায়গা দখল করে রাখে।

আইপিএল ছাড়াও, বিগ ব্যাশ লিগ (অস্ট্রেলিয়া), দ্য হান্ড্রেড (ইংল্যান্ড) এবং এসএটি-টোয়েন্টি (দক্ষিণ আফ্রিকা) সহ অন্যান্য লিগ রয়েছে যা ক্যালেন্ডারের বেশ বড় অংশ দখল করে থাকে।

তবে, প্রস্তাবিত সৌদি সমর্থিত লিগ দাবি করেছে যে, এটি বিদ্যমান লিগগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতার বদলে তাদের পরিপূরক হতে চায়। এটি বিশেষত ছোট দেশগুলোর জন্য একটি বিকল্প রাজস্ব উৎস তৈরি করার উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করছে। বর্তমান আর্থিক মডেলের মূলত ‘বিগ থ্রি’, ভারতের, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডকে বেশি সুবিধা দেয়।

তবে, লিগটির ভবিষ্যত নির্ভর করছে আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহের উপর। যিনি বিসিসিআই এর সেক্রেটারি ছিলেন। এছাড়া বিসিসিয়াইকে তাদের ক্রিকেটারদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে, যাতে তারা বিদেশী টী-টোয়েন্টি লিগে অংশগ্রহণ করতে পারে।

ঢাকা/নাভিদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ