জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে সিলেট বিভাগকে প্রদেশ হিসেবে না রাখার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বৃহত্তর সিলেট গণদাবি পরিষদ নামের একটি সংগঠন। সংগঠনটির নেতারা বলছেন, বৃহত্তর সিলেটের চার জেলা নিয়ে পৃথক প্রদেশ ঘোষণার দাবি সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের। অথচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশে সিলেটের নাম নেই। প্রাদেশিক ব্যবস্থা চালু হলে সেখানে সিলেটকে পৃথক প্রদেশ রাখতেই হবে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট নগরের সুরমা মার্কেট এলাকায় সংগঠনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সভায় বক্তারা এ দাবি জানিয়েছেন। সভায় বক্তারা সিলেট বিভাগে হাইকোর্টের বেঞ্চ জরুরি ভিত্তিতে স্থাপনের দাবি জানান। এ ছাড়া সিলেটের মানুষের চাহিদা পূরণ করে এখানে উৎপাদিত গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের দাবিও তাঁরা করেছেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো.

বদরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর। বক্তব্য দেন আইনজীবী আবদুর রকিব, আনোয়ার হোসেন ও আবদুল অদুদ, সংগঠক কামরুজ্জামান তারা, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব মারিয়ান চৌধুরী মাম্মি, চিকিৎসক হাবিবুর রহমান, সাংবাদিক এম এ হান্নান, আইনজীবী মামুন উর রশিদ, সংগঠক ইকবাল হোসেন আফাজ, আবদুল মুমিন লাহিন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সিলেট-আখাউড়া ডাবল রেললাইন এবং সিলেট-ছাতক রেললাইন জরুরি ভিত্তিতে চালু করার পাশাপাশি দীর্ঘদিন কেন তা বন্ধ রাখা হলো, তা তদন্ত করে বের করা উচিত। একই সঙ্গে রেলওয়ে লাইনের উভয় পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বাসাবাড়ি, দোকান, বিপণিবিতান উচ্ছেদ করাও প্রয়োজন। পাশাপাশি সিলেট নগরের বিভিন্ন রাস্তা জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার ও মেরামত করা দরকার।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মেঘনা আলমকে আটকের ঘটনায় ৩৮ নাগরিকের নিন্দা

মডেল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন দেশের ৩৮ নাগরিক। একই সঙ্গে মেঘনা আলমকে দ্রুত ও নিঃশর্ত মুক্তি দিতে এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আইনজীবী, আইনের শিক্ষক ও মানবাধিকারকর্মী রয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের পর ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় তাঁর কোনো হদিস ছিল না। পরে ১০ এপ্রিল রাতে তাঁকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনে হাজির করা হয় বলে জানা গেছে। গ্রেপ্তারের সময় তাঁকে তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করতে দেওয়া হয়নি।

বিবৃতিতে ৩৮ নাগরিক বলেন, এই পদক্ষেপের বিস্তৃত প্রভাব নিয়ে তাঁরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো নিপীড়নমুক্ত করার যে লক্ষ্য ছিল, তা এমন কর্তৃত্ববাদী পদক্ষেপের কারণে ক্ষুণ্ন হয়েছে। যেভাবে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তা ন্যায়বিচার, জবাবদিহি ও মানবিক মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধার নীতি থেকে বিচ্যুতি তুলে ধরেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই পরিস্থিতিতে মেঘনা আলমকে দ্রুত এবং শর্তহীন মুক্তি দেওয়ার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর কাছে জরুরিভাবে আহ্বান জানাচ্ছি, যেন কী কারণে তাঁকে আটক করা হয়েছে তা দ্রুত তদন্ত করা যায়, দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া যায় এবং মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের জন্য তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়। একই সঙ্গে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আবেদা গুলরুখ, ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, ওমর ফারুক, কাজী জাহেদ ইকবাল, মানজুর-আল-মতিন, প্রিয়া আহসান চৌধুরী, তাসলিমা ইয়াসমিন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে
  • আমাকে হয়রানির জন্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে: টিউলিপ
  • ভারতে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত সন্দেহভাজন নীরব মোদির সহযোগী চোকসি বেলজিয়ামে গ্রেপ্তার
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ’ ইউনিটে ভর্তিতে নতুন করে এমসিকিউ পরীক্ষা হবে
  • আদালতপাড়ায় এক হয়ে যুবককে পেটালেন সাবেক দুই স্ত্রী
  • ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আবার হবে
  • মডেল মেঘনা আলমের আটকাদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
  • প্রতিদ্বন্দ্বী নেই, সব পদে জয়ী বিএনপি-জামায়াতপন্থিরা
  • মেঘনা আলমকে আটকের ঘটনায় ৩৮ নাগরিকের নিন্দা
  • পয়লা বৈশাখের আয়োজন বাধাগ্রস্ত করার কোনো অধিকার নেই