ডিআরইউ শীতকালীন ব্যাডমিন্টনের পুরস্কার বিতরণী
Published: 13th, February 2025 GMT
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত শীতকালীন ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট-২০২৫ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ডিআরইউ কার্যালয়ে জাকজমকপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডিআরইউয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। ক্রীড়া সম্পাদক মো.
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “গত ১৫ বছর নানাবিধ কারণে সাংবাদিকতা নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন ছিল। বিশেষ করে সাংবাদিকতার মানের ক্ষেত্রে। তাই অনুরোধ থাকবে আমরা যারা সাংবাদকিতা করি তারা যেন এই পেশার মর্যাদা রেখে সততার সাথে কাজ করি।”
পাশাপাশি তিনি ডিআরইউয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “আমি সব সময় ডিআরইউয়ের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবে।”
পুরুষ এককের চ্যাম্পিয়ন আবদুল্লাহ শাফী, রানার আপ শামীম আহমেদ ও তৃতীয় সোহেল হোসেন পাটোয়ারী। নারী এককে চ্যাম্পিয়ন মাকসুদা লিসা, রানার আপ জাহিদা পারভেজ ছন্দা ও তৃতীয় তাসকিনা ইয়াসমিন।
স্টাফদের এককে চ্যাম্পিয়ন জসিম উদ্দিন, রানার আপ জাকির হোসেন বাবুল ও তৃতীয় ফিরোজ হাওলাদার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অর্থ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজান চৌধুরী, কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. জুনায়েদ হোসাইন (জুনায়েদ শিশির) ও সুমন চৌধুরী।
৯ দিনব্যাপী প্রতিযোগিতায় ডিআরইউয়ের ৬৫ জন সদস্য ও ১৬ জন স্টাফ অংশগ্রহণ করেন। বিজয়ীদের ট্রফি ছাড়াও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
ঢাকা/এএএম/এসবি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাগর-রুনি হত্যার বিচার হতেই হবে, না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
আওয়ামী লীগ সরকার যে ফ্যাসিস্ট ছিল, তার বড় প্রমাণ সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার বিচার না করা। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হতেই হবে। বিচার না করলে কেউ পার পাবেন না। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরবর্তী তারিখে (২ মার্চ) প্রতিবেদন জমা না হলে রাজপথে আন্দোলনে নামা হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করে ডিআরইউ।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আজ সেই খুনের ১৩ বছর পূর্ণ হলো।
সমাবেশে ডিআরইউর সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, আওয়ামী লীগ যে ফ্যাসিস্ট দল ছিল, তার প্রমাণ সাগর-রুনি হত্যার বিচার না করা এবং কারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের নাম প্রকাশ না করা। পাশাপাশি তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করা। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত থাকায় নাম প্রকাশ করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পরবর্তী তারিখ ২ মার্চ। আবু সালেহ আকন বলেন, ওই তারিখেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া না হলে তাঁরা একটি সংগ্রাম পরিষদ গঠন করবেন। ওই কমিটির মাধ্যমে আবারও তাঁরা রাজপথে আন্দোলনে নামবেন। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে আগামীকাল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পরও সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে কেন সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে, এ প্রশ্ন তোলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান। তিনি বলেন, ২ মার্চের পরও সময়ক্ষেপণ করা হলে তাঁরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেবেন।
ডিআরইউর সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা বলেন, সাগর-রুনিকে যে বাড়িতে হত্যা করা হয়েছিল, ওই বাড়িটি সিসিটিভির আওতায় ছিল। কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, এটা পুলিশের জানার কথা। তিনি আরও বলেন, কারও বেডরুমে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের নয়—সংসদে দাঁড়িয়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য দেওয়ার পর বোঝা গেছে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার পাওয়া যাবে না। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে এই হত্যার বিচার হবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুনসাগর-রুনি হত্যার ১৩ বছর: ৬ বছর মামলার কার্যত কোনো তদন্ত হয়নি ১০ ঘণ্টা আগেসাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে গত ছয় মাসে আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু ঘটেছে কি না, এমন প্রশ্ন রেখে সাংবাদিক নেতা ইলিয়াস হোসেন বলেন, তদন্তের দায়িত্ব যাদের হাতে ছিল, তাদের জবাবদিহির আওতায় আনা উচিত।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, অন্তত অভিযোগপত্র দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। বিচার না করার পেছনে যারা দায়ী, তাদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে মত দেন তিনি।
ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেলের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন সাংবাদিক নেতা মানোয়ারুল ইসলাম, রাজু আহমেদ, সালেহ বিপ্লব, গাজী আনোয়ার, বাবুল তালুকদার, এম এম বাদশা, আজমল হক হেলালী প্রমুখ।
সংহতি জানিয়ে সমাবেশে বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব এ এম এম আনিসুল আউয়াল।
আরও পড়ুনসাগর-রুনি হত্যা: ১৩ বছরে হত্যা মামলার তদন্ত পিছিয়েছে ১১৫ বার৩ ঘণ্টা আগে