‘কাউকে ভালবাসতে হলে এক বুক যন্ত্রণা সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হবে'
Published: 13th, February 2025 GMT
বসন্তের শুরুতে অসংখ্য ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি। ২০১২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় শক্তিমান এই অভিনেতার। হুমায়ুন ফরীদির জীবদ্দশায় অসংখ্য সিনেমায় অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি নাটকেও অভিনয় করেছেন। নিজের জীবনে অসংখ্যবার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় দিয়েছেন ইন্টারভিউ। তিনি যেমন অভিনেতা ছিলেন ঠিক তেমন ছিলো তার জীবন নিয়ে বলে যাওয়া বিভিন্ন উক্তি।
হুমায়ুন ফরীদির কিছু উক্তি তুলে ধরা হলো-
১.
২. কেন প্রেমে পড়লাম, কেন ভালোবাসলাম এর কারণ যদি তুমি খুঁজতে যাও, দেখবে তুমি কিছুই খুঁজে পাচ্ছো না। অন্ধকার ঘরে তুমি কালো বিড়ালকে খুঁজছো– কিন্তু বিড়ালটি সেই ঘরে নেই, ভালোবাসাটি এমন।
৩.প্রেমের আর একটা দিক হচ্ছে না বুঝা, আপনি কেন প্রেমে পড়েছেন? সেইটার মানে যদি খুঁজতে যান তাহলে অন্ধকার ঘরে কালো বিড়াল খোঁজার মতোই সমান।
৪. ভালোবাসা এমন এক বদ অভ্যাস, যেটার কারণে মানুষ এক মুহূর্ত আনন্দ পাবার জন্যে– সারা জীবন কষ্ট সইতে দ্বিধা বোধ করে না।
৫.তুমি বলেছিলে মানুষ বদলায় তাই তুমি বদলে গেলে কিন্তু আমি বদলায় নি তবে আমি কি মানুষ নই?
৬. কাউকে ভালবাসলে এক বুক সমুদ্র নিয়ে ভালবাসতে হবে
৭.কাউকে ভালোবাসার অনেক পথ আছে, কিন্তু তাকে ভোলার কোন পথ নেই!
৮.কাউকে এতটাও ভালোবাসো না, যতটা ভালোবাসলে মানুষটা তোমাকে ছেড়ে চলে গেলে, তুমি নিঃস্ব ও অসহায় হয়ে যাবে! বরং ভালোবাসা হোক গিভ এন্ড টেক পলিসি। তুমি যতটুকু দেবে ততটুকুই পাবে। এর বেশি ভালোবাসা দিলে তুমি পাবে অবহেলা আর অপমান
৯.প্রথম প্রেম সত্যি হয়, তবে সেটা ভুল মানুষের সাথে, ভুল সময়ে হয়।
১০. আমি যাকে আঁকড়ে ধরতে চেয়েছি, সে আমাকে ফেলে গেছে। আমাদের জীবনেও প্রায়ই এমনটা হয়। যাদেরকে আমরা একান্তই খুব কাছের মানুষের মত প্রাধান্য দেই। নিয়তির দোষে তাদের সাথেই আমাদের বেশি ছাড়াছাড়ি হয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে বর্ণাঢ্য র্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বর্ষবরণ উদযাপন
পহেলা বৈশাখ বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে ময়মনসিংহে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসন ও বাংলা ১৪৩২ বর্ষবরণ উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে পৃথক পৃথক বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। এছাড়াও বিভিন্ন দল-মত ও প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
বর্ষবরণ সফল করতে বিভাগীয় নগরী ময়মনসিংহে সকাল ৮ টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নগরীর ময়মনসিংহ মহাবিদ্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। এদিকে নববর্ষ উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া প্রাঙ্গণ থেকে আরেকটি বিশাল বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা দুটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শিল্পচার্য জয়নুল আবেদিন পার্কের বৈশাখী মঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালি শেষে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ, অতিরিক্ত রেঞ্জ ডিআইজি আবু বকর সিদ্দিক, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম, সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলাম, জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর কামরুল হাসান মিলন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, মাহবুবুর রহমানসহ রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
র্যালি শেষে উপস্থিত সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ বেলুন উড়িয়ে শুভ নববর্ষের ঘোষণা করেন। শোভাযাত্রা দেখতে রাস্তার দু’ধারে শতশত উৎসুক নগরবাসী ভিড় জমান। পরে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন উদ্যানে বৈশাখী মঞ্চে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এছাড়াও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের উদ্যোগে পদযাত্রা ও নানা আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। সকালে উপস্থিত ক্লাব সদস্যদেরকে বিনামূল্যে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিকেলে সার্কিট হাউজ মাঠে বাংলার ঐতিহ্য ঘুড়ি উড়ানো, লাঠি খেলা, রশি টানাটানি ও হা-ডু-ডু প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হবে।