যশোরের কেশবপুরে শিক্ষা সফরফেরত ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। ওই শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে তালা দেয় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। 

ভুক্তভোগী সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর বাবা বুধবার মেয়ের শ্লীলতাহানির বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দেন। 

এতে বলা হয়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি কানাইডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা সফরে নাটোর যায় শিক্ষার্থীরা। রাতে সেখান থেকে ফেরার পর বিদ্যালয়ের হিন্দু ধর্মীয় শিক্ষক বিশ্বনাথ আইচ (৪৫) সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে বাড়ি পৌঁছে দিতে যান। পথে মেয়েটির শ্লীলতাহানি ঘটান তিনি। ভুক্তভোগী বিষয়টি কয়েকদিন পর তাঁর অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়। 

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে শিক্ষক বিশ্বনাথ আইচের মোবাইল ফোন নম্বরে কল দিয়েও সংযোগ পাওয়া যায়নি। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর বলেন, বুধবার ছাত্রীর অভিভাবকের অভিযোগ পেয়েই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ করেন। তাদের নির্দেশনায় ওই শিক্ষককে সেদিনই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এলাকাবাসী তাঁর স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ কারণে পাঠদান বন্ধ হয়ে যায়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে শ্রেণিকক্ষের তালা খুলে ফেলা হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এএসএম জিল্লুর রশীদ বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে সহকারী শিক্ষক বিশ্বনাথ আইচকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, ক্লাস শুরু ৪ মে 

সংঘর্ষের জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার রাতে কুয়েটের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া সভায় শিক্ষার্থীদের জন্য ২ মে হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে ৪ মে। 

কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখ জানান, সোমবার রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ১৯ ফেব্রুয়ারি গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানো নির্দেশ দেওয়া হয়।

তিনি জানান, সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম ৪ মে থেকে শুরু এবং সকল আবাসিক হল ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে এতে সন্তুষ্ট হয়নি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। 

হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের: তবে হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। রোববার বেলা ৩টা থেকে তারা সেখানে অবস্থান করছেন। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের দাবি ছিল আজ সোমবার রাত থেকেই হল খুলে দেওয়ার। এছাড়া সিন্ডিকেট সভা শেষে তারা অপেক্ষা করছিলেন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো তাদের জানাবে। কিন্তু কেউ তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তগুলো জানাননি। হল খোলা ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর অনেক দিন দেরি রয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া হলে থাকতে না পারায় তাদের টিউশনি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।  

প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ