কুমিল্লায় দাউদকান্দি উপজেলায় অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় দাউদকান্দি সহকারী কমিশনার (এসি ল্যান্ড, ভূমি) রেদওয়ান ইসলামের উপর হামলা করা হয়েছে। এতে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও পুলিশের এক কর্মকর্তা আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়াটগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের লক্ষীপুর এলাকায় হামলা করা হয়। দাউদকান্দি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা ইসলাম হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হামলায় আহতরা হলেন, দাউদকান্দি উপজেলার সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন ও দাউদকান্দি থানার উপপুলিশ পরিদর্শক মহসীন হোসেন। 

আরো পড়ুন:

সিরাজদিখান থানায় হামলা, ৪ গাড়ি ভাঙচুর

গাজীপুরে হামলার ঘটনায় ২৩৯ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ৩৪

সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম জানান, ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের লক্ষীপুর এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে— এমন তথ্যের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এই সময় কয়েকজন এসে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে হামলা করে। এতে সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন ও দাউদকান্দি থানার উপপুলিশ পরিদর্শক মহসীন হোসেন আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েদ চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা ইসলাম জানান, দূর্বৃত্তরা সরকারি কাজে বাধা দিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ঢাকা/রুবেল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত ইসল ম উপজ ল সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএনএ পরীক্ষায় গণ–অভ্যুত্থানে নিহত একজনের পরিচয় মিলেছে

ডিএনএ পরীক্ষার (প্রোফাইলিং) মাধ্যমে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাঁর নাম মো. হাসান (১৯)। তিনি কাপ্তানবাজারে ইলেকট্রনিক পণ্যসামগ্রীর একটি দোকানের কর্মচারী ছিলেন।

যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক মোরশেদ আলম বলেন, নিহত তরুণকে নিজেদের সন্তান বলে দাবি করেছিল একটি পরিবার। পরে তাদের কাছ থেকে ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। আজ মরদেহের ডিএনএর সঙ্গে এর মিল পাওয়া যায়। এতে এই তরুণের নাম হাসান বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময়ে নিহত অজ্ঞাতনামা সাত ব্যক্তির মরদেহ মর্গে রয়েছে। তাঁদের একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকি এক নারীসহ অন্যদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, জুলাই আন্দোলনের সময় থেকে নিখোঁজ স্বজনের খোঁজে দুই পরিবার এসেছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে। এর মধ্যে হাসানের পরিবার ১২ জানুয়ারি একটি মরদেহ তাদের পরিবারের সদস্যের বলে দাবি করেছিল। পরদিন তাঁর মা–বাবার ডিএনএর নমুনা নেওয়া হয়। সেই নমুনা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) পাঠানো হয়েছিল।

মর্গ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসানের পরিবার মরদেহ নেওয়ার জন্য আইনি প্রক্রিয়া শেষ করেছে। আগামীকাল মরদেহ মর্গ থেকে নেওয়া হবে।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালিদ মুনসুর জানান, নিহত হাসানের মরদেহটি যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। বাকি ছয়টি মরদেহের মধ্যে একটি যাত্রাবাড়ী থানা–পুলিশ তদারক করছে, অন্য পাঁচটি মরদেহের পরিচয় শনাক্তে শাহবাগ থানা–পুলিশ কাজ করছে।

পরিচয় শনাক্ত হওয়া মো. হাসানের চাচা নুরে আলম জানিয়েছেন, ‘হাসানকে ৫ আগস্ট বিকেল থেকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে আমরা ফেসবুকে দেখি, একটি ছেলে পায়ে বিদ্যুতের তার প্যাঁচানো অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিল। তার মুখে হালকা দাড়ি ও পরনে পায়জামা-পাঞ্জাবি ছিল। তখন মর্গে এসে মরদেহ দেখে মনে হয়েছিল, সে–ই আমাদের হাসান। আজ তা–ই হলো।’

পারিবারিক সূত্র জানায়, ভোলা সদর উপজেলার বাগচির গ্রামের দিনমজুর মনির হোসেন ও মা গোলেনুর বেগমের ছেলে মো. হাসান। তিনি যাত্রাবাড়ীর সুতি খালপাড় বালুর মাঠ এলাকায় থাকতেন। কাজ করতেন কাপ্তানবাজারে ইলেকট্রনিক পণ্যের একটি দোকানে। দুই ভাই, দুই বোনের মধ্যে হাসান ছিলেন সবার বড়।

চাচা নুরে আলম প্রথম আলোকে জানান, আগামীকাল শুক্রবার জুমার নামাজের পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাসানের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ