কুমিল্লার দাউদকান্দিতে কৃষি জমির মাটি ড্রেজার দিয়ে কাটার ঘটনায় অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রেদওয়ান আহমেদের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়। তবে অভিযানে গিয়ে হামলায় এসিল্যান্ড-পুলিশসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সিন্ডিকেট কৃষি জমি অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করে আসছে। অভিযোগ পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.

রেদওয়ান আহমেদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। অবৈধভাবে মাটি কাটার মেশিন উচ্ছেদ করতে গেলে ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের মুবারকপুর গ্রামের জামালের ছেলে শাহিন, লক্ষ্মীপুর গ্রামের হোসেনের ছেলে হাসেন, তার স্ত্রী সেলিনা, বোন সাথী, ওহাবের ছেলে শরীফ, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে জামিরসহ ২০-৩০ জন এসিল্যান্ড ও পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রেদওয়ান আহমেদ, এসআই মো. মোহসিন (৩২), কনস্টেবল আতিকুর রহমান, সজল, নুরুল আবসার, ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তা জয়নার আবেদিন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের সায়রাত সহকারী শাহাদাৎ হাসান আহত হন। 

দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো. জুনায়েত চৌধুরী বলেন, হামলায় জড়িত হাসেনের স্ত্রী সেলিনা ও বোন সাথীকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। 

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রেদওয়ান আহমেদ বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় হামলা চালানো হয়। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আহত সহক র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ভৈরবে ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ আদায়, ডিবির দুই সদস্য বরখাস্ত

কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সদস্য পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নেওয়া হয়। ৫ ঘণ্টা পর ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) দেলোয়ার হোসেন ও কনস্টেবল ইসমাইল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

গতকাল শনিবার কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী এক আদেশে অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেন। আজ রোববার দুপুরে মুঠোফোনে কিশোরগঞ্জ ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দেলোয়ার ও ইসমাইলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় পুলিশ সুপার শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছেন।

ভৈরব উপজেলার মানিকদী নতুন বাজারে আমির হোসেন নামের এক ব্যক্তি মুদিদোকানে ব্যবসা করেন। অভিযোগ রয়েছে, গত সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সাদা রঙের একটি মাইক্রোবাস আমির হোসেনের দোকানের সামনে থামে। মাইক্রোবাস থেকে ডিবি পুলিশের আটজন সদস্য নামেন। নেমেই আমির হোসেনের কাছে জানতে চান জ্বালানি তেল বিক্রি করেন কি না। পরে ওই দোকানে তল্লাশি শুরু করেন। একপর্যায়ে আমির হোসেনকে বাইরে নিয়ে যেতে চান। আমির হোসেন যেতে চাননি। তখন কপালে অস্ত্র ঠেকিয়ে গাড়িতে ওঠানো হয়। পরে গাড়ি দিয়ে তাঁকে ভৈরব ও কুলিয়ারচরের বিভিন্ন প্রান্তে নেওয়া হয়। চলমান অবস্থায় তাঁর কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। না দিতে পারলে এক হাজার পিস ইয়াবা দিয়ে চালান দেওয়ার কথা বলা হয়। একপর্যায়ে এসআই দেলোয়ারের মুঠোফোন দিয়ে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আমির হোসেন যোগাযোগ করেন এবং ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়। তাঁকে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়।

আমির হোসেন বলেন, ‘আমার অপরাধ আমি জানি না। গাড়ির ভেতর মারধর করা হয়েছে, টাকা দেওয়ার পর আমাকে ছাড়া হয়। বিষয়টি আমি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এসআই দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমির হোসেনের কাছে মাদক আছে—এমন অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছিল। কিন্তু ওই দিন তাঁর কাছ থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি। মনে হয়েছে, আমির হোসেনকে নিয়ে আরও কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালানো গেলে মাদক পাওয়া যেতে পারে। সেই কারণে তাঁকে গাড়িতে ওঠানো হয়। কিন্তু তাতেও আমরা সফল হইনি। শেষে দুজনকে ছেড়ে দিয়েছি। এর মধ্যে লেনদেনের কোনো বিষয় নেই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুলিশের কাছ থেকে ছাত্রলীগ নেতা ‘ছিনতাই’, গ্রেপ্তার ৪
  • ভৈরবে ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ আদায়, ডিবির দুই সদস্য বরখাস্ত
  • শ্রমিক দল নেতার হামলায় ৩ পুলিশ আহত, গ্রেপ্তার ২
  • মাদারীপুরে হাতকড়াসহ ২ আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আটক ২৭ 
  • হাতকড়াসহ ২ আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আটক ২৭