দীপু মনির ১৬ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ
Published: 13th, February 2025 GMT
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনির ১৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ২ কোটি ৩৯ লাখ ৫ হাজার ৫০২ টাকা ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। এ দিন দুদকের পক্ষে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান আবেদন করেন।
জানা গেছে, তার ১৬টি অ্যাকাউন্টে মোট জমা ছিল ৩১ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকা। এর মধ্যে তিনি উত্তোলন করেছেন ২৮ কোটি ৭০ লাখ ৫৫ হাজার ১১৫ টাকা। বর্তমানে অ্যাকাউন্টগুলোতে আছে, ২ কোটি ৩৯ লাখ ৫ হাজার ৫০২ টাকা।
১৯ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএস এলাকা থেকে দীপু মনিকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল। দীপু মনি চাঁদপুর-৩ আসন থেকে টানা চারবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হন। এর মধ্যে ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে সেই সরকারের মন্ত্রিসভায় দেশের প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন তিনি।
দশম সংসদ নির্বাচনের পর তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর তিনি শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পান। সবশেষ দ্বাদশ সংসদে আওয়ামী লীগ সরকারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী ছিলেন দীপু মনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব য ক অ য ক উন ট ব য ক অ য ক উন ট ফ র জ দ প মন মন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক এমপি ইয়াহইয়াসহ ৫ জনকে আটক করে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
সিলেট-২ (বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর) আসনে জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরীসহ তাঁর চার সহযোগীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে ছাত্র–জনতা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোডের ১৯ নম্বর বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক হওয়া অন্য চারজন হলেন- আনোয়ার হোসেন, মিলন, জনি মিয়া। বাকি একজনের নাম জানা যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির উত্তরা জোনের সহকারী কমিশনার সাদ্দাম হোসাইন। তিনি বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়াসহ পাঁচজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে ছাত্র–জনতা।
এর আগে ১২ নভেম্বর ছাত্র–জনতার ওপর গুলি ছুড়ে হত্যার অভিযোগে দুটি মামলায় ইয়াহইয়া চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই সময় মাসখানেক কারাগার ছিলেন তিনি। আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট কুমারপাড়া এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপরে হামলার অভিযোগে গত ২ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
ইয়াহইয়া চৌধুরী ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সিলেট-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসনটিতে কোনো প্রার্থী দেয়নি। এমপি নির্বাচিত হয়ে তিনি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব করেন। পরে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ওই আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিলেও নির্বাচিত হতে পারেননি ইয়াহইয়া। ওই আসনে এমপি হন গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খান।