নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১৭২ জনের বিরুদ্ধে মামলা জাবি ছাত্রদলের
Published: 13th, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ১৫ জুলাই রাতে দুই দফায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১৭২ নেতা-কর্মী ও অজ্ঞাতনামা আরো ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে জাবি শাখা ছাত্রদল।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাবির শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলকর্মী মো. ফেরদৌস রহমান এ মামলা করেন।
মামলায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রতন বিশ্বাস, জাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক এনাম, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অভিষেক মন্ডল, জাবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিজান, সহ-সভাপতি জোবায়ের রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, আরমান খান যুব, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৪১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তারেক, জাবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন ও আর রাফি চৌধুরী, সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক চিন্ময় সরকার প্রমুখকে আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহম্মদ বাবর বলেছেন, “৫ আগস্টের পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে বড় দাবি ছিল—গত ১৪ থেকে ১৭ জুলাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর পৈশাচিক এবং বর্বর যে হামলা হয়েছিল, সেই হামলাকারী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিচার নিশ্চিত করা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্পিরিটকে ধারণ করে সেসব হামলাকারীর বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আমাদের প্রত্যাশা, তারা দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে বিচার নিশ্চিত করবে।”
ঢাকা/আহসান/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাবির ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্বে স্কুলের শিক্ষক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় কক্ষ পরিদর্শক হিসেবে কলতান বিদ্যানিকেতনের শিক্ষকদের দায়িত্ব পালন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ স্কুলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মহিলা ক্লাব দ্বারা পরিচালিত হয় বলে জানা গেছে।
গত রবিবার (৯ ফ্রেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম এসব শিক্ষকদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। বিগত বছরগুলোতে ভর্তি অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন কোন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের পরিদর্শক থাকার নজির নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় মহিলা ক্লাব দ্বারা পরিচালিত হয় কলতান বিদ্যানিকেতন। কলতান বিদ্যানিকেতনের সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সম্পর্ক নেই। এর নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বেতন-ভাতা কোনোকিছুর সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত নয়। এটা পুরোপুরি মহিলা ক্লাব নিয়ন্ত্রিত। পদাধিকারবলে এর প্রধান হন উপাচার্যের স্ত্রী।
অভিযোগে জানা গেছে, কলতান বিদ্যানিকেতনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা–কর্মচারীর সুপারিশে তাদের স্ত্রীরা চাকরি করে থাকেন। তাদের ভর্তি পরীক্ষাকেন্দ্রীক আয়ের বিশেষ সুবিধা দিতে এ ধরনের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডেপুটি রেজিস্ট্রার সৈয়দ মোহাম্মদ আলি রেজা বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য ছিল শিফট কমানো। সেজন্য তাদের একদিনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ দায়িত্বের উপযোগী করা হয়।
নিকটস্থ কলেজ থেকে শিক্ষক নেওয়ার সুযোগ থাকলেও না করার বিষয়ে তিনি বলেন, “যেহেতু কলতান আমাদের নিজস্ব ও বিশ্বস্ত, সেহেতু তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
আরো পরিদর্শক নিয়োগের প্রয়োজন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস কর্মচারীদের পরিদর্শক করা হবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে উপাচার্য মহোদয় সিদ্ধান্ত নেবেন।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী