১৩ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাদ শেখ পরিবারের নাম
Published: 13th, February 2025 GMT
গণঅভ্যুত্থানে মুখে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা দেশের ১৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে গেজেট জারি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গেজেটটি প্রকাশ করা হয়। গেজেটে সই করেন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী। এতে বলা হয়, অধ্যাদেশটি জনসাধারণের জ্ঞাতার্থে প্রকাশ করা হলো।
এতে বলা হয়েছে, যেহেতু একাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণের জন্য একই ধরনের নাম ব্যবহারের কারণে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি ও অবস্থান নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়সংক্রান্ত আইন সংশোধন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয় এবং যেহেতু সংসদ ভেঙে যাওয়া অবস্থায় রহিয়াছে এবং রাষ্ট্রপতির কাছে এটি সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইয়াছে যে আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিস্থিতি বিদ্যমান রহিয়াছে; সেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করিলেন।
নাম পরিবর্তন হলো যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের
নেত্রকোনার শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নাম হবে ‘নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়’, কিশোরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নাম ‘কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়’, ‘নওগাঁর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় ‘নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়’, মেহেরপুর মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়’ করা হয়েছে।
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়’, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির নাম ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’, জামালপুরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ‘জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’, পিরোজপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ‘পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নাম ‘নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ‘গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’, চট্টগ্রামের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ‘মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় ‘এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ’ নামে নামকরণ করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ খ ম জ ব র রহম ন শ খ ম জ ব র রহম ন ব ইউন ভ র স ট
এছাড়াও পড়ুন:
‘দীপংকর তালুকদার কলেজের’ নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত
রাঙামাটির সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের নামে নামকরণকৃত কাউখালী উপজেলার ‘দীপংকর তালুকদার কলেজের’ নাম পরিবর্তন করে ‘বেতবুনিয়া কলেজ’ করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ। এর আগে কলেজটির নাম পরিবর্তনের দাবিতে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে কাউখালী উপজেলা বিএনপি।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা খোন্দকার মুহাম্মদ রিজাউল করিমের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চিঠির একটি কপি দেওয়া হয় কাউখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি বরাবরেও।
প্রজ্ঞাপনে জারিকৃত এ আদেশে বলা হয়, দীপংকর তালুকদার কলেজের’ নাম পরিবর্তন করে ‘বেতবুনিয়া কলেজ’ নামকরণ অবিলম্বে কার্যকর করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হলো।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিবর্গের নামে থাকা সকল স্থাপনার নাম পরিবর্তন করার জন্য ১৬ জানুয়ারি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুসারে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে।
কাউখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘‘কাউখালী উপজেলাবাসী সবাই চায় সরকারি অর্থায়নে কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির নামে হতে পারে না। সাধারণ মানুষের প্রাণের দাবি, কলেজটির নাম পরিবর্তন করে ‘বেতবুনিয়া কলেজ’ নামকরণ করা।’’ আমাদের দাবি মেনে নিয়ে সরকারি নির্দেশনা প্রদান করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। তাই সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার জানান, স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে কলেজটির নাম পরিবর্তন করে ‘বেতবুনিয়া কলেজ’ নামে কার্যক্রম চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও ২০২৪ সালের আগস্ট মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম ব্যাচ নিয়ে পথচলা শুরু করে রাঙামাটি থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের নামের এই কলেজ। প্রথম বছরে ১৬৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে যাত্রা শুরু করা এই কলেজটির মূল উদ্যোক্তা ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী। শিক্ষাবোর্ডের শর্ত মেনে ২৫ লাখ টাকা অনুদান দেয়ায় দীপংকর তালুকদারের নামে কলেজটির নামকরণ করা হয় বলে সেইসময় জানিয়েছিলেন তিনি।
৫ আগস্ট সরকার পতনের পর গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কলেজটির নাম পরিবর্তনের দাবি তোলে বিএনপি। গত ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় রাজধানীর সোবহানবাগের নিজ বাসা থেকে দীপংকর তালুকদার গ্রেপ্তার হন।
ঢাকা/শংকর/বকুল