বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা দেশের ১৩টি (একটি মুজিবনগরের নামে) সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নতুন নাম হবে এলাকা এবং বাংলাদেশের নাম অনুসারে।

আজ বৃহস্পতিবার এই ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। এর আগে সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে নাম পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্ত হয়।

আরও পড়ুনশেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত১৬ জানুয়ারি ২০২৫

অধ্যাদেশ অনুযায়ী গাজীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জের নাম হবে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, চট্টগ্রামের নাম হবে বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের নাম হবে গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের নাম হবে কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুরের নাম হবে পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; নওগাঁর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে শরীয়তপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নারায়ণগঞ্জের নাম হবে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; জামালপুরে অবস্থিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; নেত্রকোনায় অবস্থিত শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেহেরপুরে অবস্থিত মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হবে মেহেরপুর বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে ৫৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে।

আরও পড়ুনশেখ পরিবারের নাম ১১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাদ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ খ ম জ ব র রহম ন ব ইউন ভ র স ট পর ব র র অবস থ ত

এছাড়াও পড়ুন:

কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রকাশ হচ্ছে ৮০ হাজার পৃষ্ঠার গোপন নথি

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মঙ্গলবার প্রায় ৮০ হাজার পৃষ্ঠার গোপন নথি জনসমক্ষে প্রকাশ করতে যাচ্ছে। ট্রাম্প সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে ১৯৬৩ সালের বহুল আলোচিত ও রহস্যঘেরা ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে এ নথি প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

ওয়াশিংটনের দ্য কেনেডি সেন্টারে সোমবার এক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, এটির জন্য লোকজন দশকের পর দশক অপেক্ষা করে আছেন। এটি খুবই কৌতূহলোদ্দীপক হতে যাচ্ছে। দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চলতি বছরের শুরুর দিকে ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছিলেন। সে আদেশে কেনেডি ও তাঁর ভাই রবার্ট কেনেডি এবং মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র হত্যা-সংশ্লিষ্ট নথিপত্র প্রকাশের পরিকল্পনা পেশ করতে ফেডারেল সরকারকে নির্দেশ দেন তিনি।

গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (এফবিআই) জানায়, কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে তারা নতুন হাজারো নথি পেয়েছে। ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ মানতে গিয়ে তারা এসব নথির অনুসন্ধান শুরু করেছিল।

ওই সময় এফবিআই জানিয়েছিল, অনুসন্ধানে প্রায় ২ হাজার ৪০০টি নতুন তালিকাভুক্ত ও ডিজিটালাইজড নথি পাওয়া গেছে। এর আগে কেনেডি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এসব নথির সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হতো না।

১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে টেক্সাসের ডালাসে হত্যা করা হয়। দশকের পর দশক তাঁর হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন জরিপে এ হত্যাকাণ্ডের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা সম্পর্কে নানা সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।
ট্রাম্পের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও রবার্ট এফ কেনেডির ছেলে রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র ২০২৩ সালে এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, তাঁর চাচার হত্যাকাণ্ডে সিআইএ জড়িত থাকার ব্যাপারে ‘অকাট্য’ ও ‘অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ রয়েছে। খবর রয়টার্সের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ