প্রায় এক যুগ ধরে এদেশে ক্রিকেটের যথেচ্ছ অপব্যবহার হয়েছে। দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতির কাঁটায় বিদ্ধ হয়েছে খেলা। ক্রিকেট আর ক্রিকেটারদের ভবিষ্যৎ হয়েছে অন্ধকারাচ্ছন্ন। ক্ষমতার পালাবদলে সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন ভবিষ্যৎ পেরিয়ে আলোর অপেক্ষায়।

নাজমুল হোসেন পাপনের বোর্ড ভোট বাণিজ্য ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে ‘ক্লাব বাণিজ্য’ গড়ে তোলে। ঢাকা লিগের চারটি বিভাগে (তৃতীয়, দ্বিতীয়, প্রথম বিভাগ ও প্রিমিয়ার লিগ) ‘ক্লাব বাণিজ্য’ গড়ে উঠে নষ্ট করেছে ক্রিকেটার উঠে আসার পথ। এতোটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলেন যে, তৃতীয় বিভাগ বাছাই লিগের রেজিস্ট্রেশন ফি ৫ লাখ টাকা করেন। তাতে বন্ধ হয়ে যায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ক্লাবগুলোর উঠে আসার পথ। তাদের এই সিদ্ধান্তের কারণে ঢাকার একাধিক একাডেমি, ক্লাব ও ব্যক্তি পর্যায়ের গড়ে উঠা কোচিংগুলো বন্ধ হয়ে যায়। সঙ্গে শর্ত দেওয়া হয় সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের নিবন্ধনের।

অথচ আগে প্রতি মৌসুমে তৃতীয় বিভাগ বাছাই ক্রিকেট খেলত একাডেমি পর্যায়ের ৫০-৬০টি দল। হাজার–বারো’শ উঠতি ক্রিকেটার সুযোগ পেত। সবশেষ তিন মৌসুমে তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে অংশ নিয়েছে মাত্র দুটি করে দল। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তৃণমূলের অনেক ক্লাব বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারেনি। ফলে টসের মাধ্যমে নির্ধারণ হয়ে যেত চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সঅপ।

আরো পড়ুন:

জয়ের পর জরিমানা গুনলেন পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার

পন্টিংয়ের মন্তব্য ও বুমরাহর না থাকা নিয়ে বাংলাদেশের ভাবনা

সব অচলায়তন ভেঙে ফারুক আহমেদের বোর্ড আলো ফিরিয়েছে তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে। এবার আর পাঁচ লাখ নয়, এক লাখেই করা যাবে রেজিস্ট্রেশন। সঙ্গে সরকারের নিবন্ধনের সিদ্ধান্তও বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নীতি নির্ধারকরা। এবার অন্তত ৪৮টি দলকে প্রতিযোগিতায় রাখার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সিসিডিএম।

সিসিডিএমের শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ৪৮টি দল রাখা। তবে আগ্রহ বেশি থাকলে সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করব। সব দলকেই ঢাকাভিত্তিক হতে হবে এবং কোনও ক্রিকেট একাডেমির নামে আবেদন গ্রহণ করা হবে না। শিগগিরই পত্রিকার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিক ঘোষণা জানিয়ে দেওয়া হবে।’’

প্রতিভাবান ক্রিকেটাররা যেন অচিরেই হারিয়ে না যায় সেজন্য বেশিসংখ্যক ক্লাবের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই এন্ট্রি ফি কমানো হয়েছে উল্লেখ করে সিসিডিএমের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে ৫ লাখ টাকার এন্ট্রি ফি অনেক ক্লাবের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমরা ২০১৩ সালের মতো ফি ১ লাখ টাকায় নামিয়ে এনেছি। এতে বেশি ক্লাবের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যাবে।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বেতারকে শক্তিশালী করতে ব্যবস্থা নেবে সরকার: তথ্য সচিব

বাংলাদেশ বেতারকে শক্তিশালী করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বেতার প্রাঙ্গণে বিশ্ব বেতার দিবস-২০২৫ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ বেতারকে ঐতিহ্যবাহী গণমাধ্যম উল্লেখ করে সচিব বলেন, “বেতার তথ্য, বিনোদন ও সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে মানুষের অতি প্রয়োজনীয় সঙ্গী হয়ে উঠেছে। জনগণের সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা অর্জনের অন্যতম উৎস হচ্ছে বাংলাদেশ বেতার।”

আরো পড়ুন:

সাংবাদিক বেলাল হত্যার পুনঃতদন্ত করে হত্যাকারীদের শাস্তি দাবি

‘সাংবাদিক সমাজ ভালো কাজে জনমত গঠনে ভূমিকা রাখবে’

ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরাসহ যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বেতারের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “দুর্যোগের সময় যখন অন্যান্য যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তখন বেতারের মাধ্যমেই মানুষ জরুরি বার্তা পেয়ে থাকে।”

বেতারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সরকার বেতারের কর্মপরিধি ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে। বেতারের পদসোপান সৃষ্টিতেও ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

মাহবুবা ফারজানা বলেন, “বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও অনুষ্ঠান প্রচারের পাশাপাশি অপপ্রচার প্রতিরোধে বেতারের কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষ সবসময় যেন বেতার শুনতে পায়, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের কাজ করতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে বেতারকে নিউ মিডিয়ার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে।”

এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য তিনি বেতারের কর্মকর্তা, কলাকুশলী, শিল্পীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রশিক্ষণ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

‘বেতার ও জলবায়ু পরিবর্তন' প্রতিপাদ্যে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বেতার দিবসের আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ আলতাফ-উল-আলম এবং ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. সুসান ভায়েজ।

বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক এ এস এম জাহীদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বেতারের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অনুষ্ঠান) মু. আনোয়ার হোসেন মৃধা।

আলোচনা সভার শুরুতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিচারণমূলক ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এরপর জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ফারহান ফাইয়াজের পিতা শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং গণঅভ্যুত্থানে আহত মাসুদুর রহমানকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।

বিশ্ব বেতার দিবসের এই অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থাসমূহের প্রধানসহ বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিল্পী ও কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ