বিপিএলের ডামাডোলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি সেভাবে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। ওয়ানডে না খেললেও টি-টোয়েন্টিতে ব্যস্ত ছিলেন ক্রিকেটাররা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে ফরম্যাট ওয়ানডে। টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্রিকেটাররা।

মূল আসর শুরুর আগে হাতে অবশ্য সময় আছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ সুযোগ পাচ্ছে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলারও। বাংলাদেশের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি। পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।

আইসিসি জানিয়েছে, ম্যাচটি হবে দিবারাত্রির। তবে পাকিস্তান শাহিনস একইসঙ্গে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গেও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে, যার ফলে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে মূল দলের পরিবর্তে মাঠে নামবে মোহাম্মদ হারিসের নেতৃত্বাধীন একটি দল। দলে থাকবেন আমের জামাল, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, উসামা মীর ও সাহিবজাদা ফারহানদের মতো খেলোয়াড়রা।  

আফগানিস্তান দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে-একটি পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে ও অন্যটি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা মুখোমুখি হবে পাকিস্তানের আরেকটি দল, মোহাম্মদ হুরাইরার নেতৃত্বাধীন শাহিনদের।  

বিশ্বকাপ কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো বড় টুর্নামেন্টের আগে সাধারণত প্রতিটি দল এক বা একাধিক প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে। তবে এবার ভারত, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে না। ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই প্রথম ভারত কোনো আইসিসি টুর্নামেন্টে প্রস্তুতি ম্যাচ ছাড়াই অংশ নিতে যাচ্ছে।  

সব মিলিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে চারটি প্রস্তুতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দুটি ম্যাচ খেলবে আফগানিস্তান, একটি করে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আফগ ন স ত ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঈদযাত্রা: ২৬ মার্চের ট্রেনের টিকিট মিলছে আজ

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গত শুক্রবার (১৪ মার্চ)। রবিবার (১৬ মার্চ) তৃতীয় দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে সকাল ৮টায়। অগ্রিম টিকিটের শতভাগই বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে।

সকাল ৮টা থেকে মিলছে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট। আর পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে দুপুর ২টা থেকে। আজ যারা টিকিট কিনবেন তারা আগামী ২৬ মার্চ ভ্রমণ করতে পারবেন।

এর আগে, গত ৯ মার্চ রেল মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৬ মার্চের টিকিট ১৬ মার্চ, ২৭ মার্চের টিকিট ১৭ মার্চ, ২৮ মার্চের টিকিট ১৮ মার্চ, ২৯ মার্চের টিকিট ১৯ মার্চ ও ৩০ মার্চের টিকিট ২০ মার্চ পাওয়া যাবে। এছাড়া, চাঁদ দেখার ওপর ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে।

আরো পড়ুন:

ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আজ, ফিরতি টিকিট ২৪ মার্চ

কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রাবিরতি

ঈদযাত্রায় এবার প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৩৫ হাজার ৩১৫টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। বিগত বছরগুলোতে ঈদযাত্রায় ৮ থেকে ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালাত বাংলাদেশ রেলওয়ে। কিন্তু, এবার সেটি কমিয়ে পাঁচ জোড়া করা হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ১ ও ২ নামে দুটি এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে; ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ৩ ও ৪ নামে একজোড়া ট্রেন চালানো হবে; ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৫ ও ৬ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে; ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৭ ও ৮ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে এবং জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল ৯ ও ১০ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে।

এছাড়া, ঈদে অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ৪৪টি (পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ২৮টি মিটারগেজ ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ৩৬টি ব্রডগেজ) যাত্রীবাহী কোচ সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ১৯টি (মিটারগেজ ১৪টি ও ব্রডগেজ থেকে ৫টি) লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেন ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের ডে-অফ (সাপ্তাহিক ছুটি) বাতিল করা হয়েছে। ২৭ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এসব ট্রেনের কোনো ডে-অফ থাকবে না। ঈদের পর যথারীতি সাপ্তাহিক ডে-অফ কার্যকর থাকবে। এছাড়া ঈদের দিন কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।

ঢাকা/হাসান/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ