নতুন এক বাসযোগ্য পৃথিবীর খোঁজ মিলেছে
Published: 13th, February 2025 GMT
মহাকাশ নিয়ে মানুষের জানার আগ্রহের শেষ নেই। আর তাই তো দীর্ঘদিন ধরেই আরেকটি পৃথিবীর খোঁজ পেতে মহাকাশে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এবার চিলির লা সিলা অবজারভেটরিতে হাই অ্যাকুরেসি রেডিয়াল ভেলোসিটি প্ল্যানেট সার্চার (এইচএআরপিএস) নামের স্পেকট্রোগ্রাফের পুরোনো তথ্য বিশ্লেষণ করে পৃথিবীর মতো বাসযোগ্য নতুন এক গ্রহের খোঁজ মিলেছে।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ‘আকারে বড় হলেও নতুন গ্রহটি অনেকটাই আমাদের পৃথিবীর মতো। গ্রহটি আমাদের পৃথিবী থেকে মাত্র ২০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। গ্রহটির নামকরণ করা হয়েছে এইচডি ২০৭৯৪ডি। নতুন এই গ্রহ পৃথিবীর ভরের ছয় গুণ।’ সেই গ্রহের পৃষ্ঠে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুনপৃথিবীর গভীরে কী রয়েছে০২ নভেম্বর ২০২৩অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিকস সাময়িকীতে নতুন এই গ্রহের তথ্য প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ‘আমাদের সৌরজগতের বাইরে অবস্থিত এই সুপার আর্থে বহির্জাগতিক কোনো প্রাণের সম্ভাবনা থাকতে পারে।’ এ বিষয়ে বিজ্ঞানী মাইকেল ক্রেটগনিয়ার বলেন, ‘আমরা বেশ উচ্ছ্বসিত। কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ার কারণে গ্রহটিতে ভবিষ্যতে কোনো অভিযান পরিচালনার সুযোগ আছে। পৃথিবী বৃত্তাকার কক্ষপথে ঘুরছে, সেখানে নতুন এই গ্রহ উপবৃত্তাকার পথ অনুসরণ করছে।’
আরও পড়ুনএক সেকেন্ডের জন্য পৃথিবীর ঘূর্ণন বন্ধ হলে কী হতে পারে০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪প্রথম এই গ্রহের সন্ধান মেলে ২০২২ সালে। দুই দশকের পুরোনো তথ্য পরীক্ষা করে এই গ্রহের অস্তিত্ব নিশ্চিত করা গেছে। বিজ্ঞানী ক্রেটগনিয়ার বলেন, ‘আমার জন্য এটি একটি বিশাল আনন্দ। আমরা শেষ পর্যন্ত গ্রহটিকে নিশ্চিত করতে পেরেছি। মূল সংকেতটি স্পেকট্রোগ্রাফের শনাক্তকরণ সীমার একেবারে শেষ প্রান্তে ছিল বলে নিশ্চিত হওয়া কিছুটা কঠিন ছিল।’ তিনি আরও বলেন, এই গ্রহে ভবিষ্যতে কোনো অভিযান পরিচালনা করা যাবে। তখন প্রাণের সন্ধান করা যেতে পারে।
সূত্র: এনডিটিভি
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজনে বর্ষবরণ
বর্ণাঢ্য আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ বরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ছিল নববর্ষ শোভাযাত্রা, গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতীক তৈরি, মেলা, পালা, কনসার্টসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান।
নববর্ষ উপলক্ষে ক্যাম্পাসে সাজ সাজ রব ছিল কয়েক দিন ধরেই। সোমবার সকালে চারুকলা অনুষদের আয়োজনে সূর্যমুখী ও শাপলা ফুল, অরিগামি পাখি, চরকি, তালপাতার সেপাই, লোকজ খেলনা, গরুর গাড়িসহ গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনে শোভাযাত্রা বের হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
শোভাযাত্রা শেষে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘১৪৩১ বঙ্গাব্দে দেশের মানুষের অসাধারণ ত্যাগ ও সংগ্রামের ফলে আমরা আজ ১৪৩২ বঙ্গাব্দের নববর্ষ একটি মুক্ত পরিবেশে উদ্যাপন করতে পারছি। এই অর্জনকে ধরে রাখতে আমাদের সবার সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত রাখতে হবে।’
নববর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মাঠ ও পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল মাঠে বৈশাখী মেলা এবং ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় প্রকাশনা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
বিজ্ঞান অনুষদের মাঠে দুপুরে নাট্যকলা বিভাগ মঞ্চস্থ করে জনপ্রিয় যাত্রাপালা ‘ভেলুয়া সুন্দরী’। এ ছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবৃত্তি সংসদ এবং উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী বিভিন্ন ধরনের পরিবেশনা করে। ব্যান্ড সংগীত ও কনসার্টের আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশন।