১০ মিনিটে অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়া যাবে: জাহাঙ্গীর চৌধুরী
Published: 13th, February 2025 GMT
বাংলাদেশের অন-অ্যারাইভাল ভিসা মাত্র ১০ মিনিটে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, ১৪টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের অন-অ্যারাইভাল ভিসা চুক্তি রয়েছে। এসব দেশের মানুষ আবেদনের পর ডলারে ভিসা ফি পরিশোধ করে ১ মাসের অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাবেন।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এসবি ইমিগ্রেশন বিদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা অন–অ্যারাইভাল/ট্রানজিট ভিসা আবেদনের জন্য অনলাইন অ্যাপ উদ্বোধন, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন সহজীকরণ ও পাসপোর্ট আবেদনকারীর জটিলতা/অভিযোগ ৯৯৯-এ অবহিতকরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দেশে বিশ্বের অনেক দেশ অন–অ্যারাইভাল ভিসা পায়। এ ভিসা পেতে অনেক সময় লেগে যায়। অনেক সময় ৪৫ মিনিট বা ১ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। আমরা নতুন যে ব্যবস্থা করেছি, সেটা হলে সেবাগ্রহীতা মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে অন-অ্যারাইভাল ভিসা পেয়ে যাবেন।’
মো.
সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যে সময় লাগবে, শুধু সেই সময়ই ব্যয় হবে। ভিসার যে মূল্য পরিশোধ, সেটা কার্ড ও নগদে করা যাবে বলে জানিয়েছেন।
বাতিল হতে পারে পুলিশ ভেরিফিকেশন
জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, পাসপোর্ট যাতে সহজে পাওয়া যায়, সে জন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন বাদ দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। ভেরিফিকেশন থাকলেও যাতে আরও সহজে পাসপোর্ট পাওয়া যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে ভেরিফিকেশন বাদ দেওয়ার চেষ্টাই থাকবে বেশি।
জাতিসংঘের র্যাব বিলুপ্তির প্রস্তাবসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘একটা প্রস্তাব তারা দিয়েছে, আমরা সবাই বসব। বসার পর আমাদের যা সিদ্ধান্ত, সেটা আমরা জানাব। তাদের এই তদন্তের বিষয়ে আমরা তো সবাই স্বাগত জানিয়েছি। তারা একটা ভালো কাজ করেছে। আমরা বসে একটা সিদ্ধান্ত নেব।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১০ ম ন ট
এছাড়াও পড়ুন:
লোটাস কামাল পরিবারের সম্পদ ১৬৫ কোটি, ব্যাংকে লেনদেন ৮৪৯ কোটির
আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী আবু হেনা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল), তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ের নামে ১৬৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ পাওয়া গেছে। তাদের ১০৭টি ব্যাংক হিসাবে ৮৪৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংকে সন্দেহজনক অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে লোটাস কামাল, তার স্ত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
আজ বৃহস্পতিবার দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তারা কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে আলাদাভাবে মামলাগুলো দায়ের করেন। দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের মামলার বিষয় জানান।
এজাহারে সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামালের বিরুদ্ধে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসাধু উপায়ে বৈধ আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন ২৭ কোটি ৫২ লাখ ৫৪ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার নিজের ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে ৩২টি ব্যাংক হিসাবে ২৩৪ কোটি ৮৬ লাখ ৬৫ টাকা জমা ও ২১১ কোটি ৫৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকা উত্তোলনসহ ৪৪৬ কোটি ৪২ লাখ ৫৩ হাজার টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
এজাহারে বলা হয়, লোটাস কামালের স্ত্রী কাশমিরি কামাল ৪৪ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও নিজের নামে ২০টি ব্যাংক হিসাবে ১৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা জমা ও ৭ কোটি ৮৪ লাখ ৯৭ টাকা উত্তোলনসহ ২৬,৬৪,০১,১৩৩/- টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। তার স্বামী মোস্তফা কামাল এমপি ও মন্ত্রী থাকাকালে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে এ সব সম্পদ অর্জন করেছেন। এ মামলায় তার স্বামী মোস্তফা কামালকেও আসামি করা হয়েছে।
ছেলে কাশফি কামালের বিরুদ্ধে ৩১ কোটি ৭৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। ৩৮টি ব্যাংক হিসাবে ৯০ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার টাকা জমা ও ৮৬ কোটি ৮৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন তিনি। লেনদেন করেছেন ১৭৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকার, যা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক।
এজাহারে আরও বলা হয়, লোটাস কামালের মেয়ে নাফিসা কামাল ৬২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে ১৭টি ব্যাংক হিসাবে ১০২ কোটি ১৫ লাখ ৭২ হাজার টাকা জমা ও ৯৭ কোটি ৭ লাখ টাকা উত্তোলনসহ ১৯৯ কোটি ২ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। লোটাস কামাল এমপি ও মন্ত্রী থাকাকালে তিনি প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে এ সব সম্পদ অর্জন করেছেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও (৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলাগুলো করা হয়।