‘৯৯৯’–এ ইংরেজিতে সেবা পাবেন কূটনৈতিক মিশন ও বিদেশি পর্যটকেরা
Published: 13th, February 2025 GMT
এখন থেকে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশন, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনসহ ভ্রমণরত বিদেশি পর্যটকেরা ইংরেজি ভাষায় জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’-এ কল করে সেবা নিতে পারবেন।
আজ বৃহস্পতিবার ‘৯৯৯’–এর প্রধান পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ তবারক উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশন, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার দেশি বা বিদেশি নাগরিক এবং বাংলাদেশে বসবাসরত বা ভ্রমণরত বিদেশি পর্যটকেরা এখন বাংলাদেশের মোবাইল অপারেটরদের সিম বা ল্যান্ডফোন ব্যবহার করে ইংরেজি ভাষায় ৯৯৯-এ কল করে জরুরি পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিতে পারবেন। পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) নির্দেশনায়, বিদেশি নাগরিকদের জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সেবা ১২ জানুয়ারি চালু হয়েছে। ইংরেজিভাষী জরুরি সেবাপ্রার্থীদের সহায়তার জন্য প্রতিদিন তিনটি ডিউটি শিফটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডেডিকেটেড (সুনির্দিষ্ট) ডিউটি ডেস্ক বরাদ্দ করা হয়েছে। ৯৯৯ নম্বরে ডায়াল করার পর ইংরেজি ভাষায় সেবা পেতে ‘২’ চাপতে হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এমআরটি পুলিশ-মেট্রো কর্মচারীদের হাতাহাতি, ট্রেন বন্ধের হুঁশিয়ারি
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) চারজন কর্মীকে এমআরটি পুলিশ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে অভিযোগ করে বিচার দাবি করেছে মেট্রোরেলের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী দায়ী পুলিশ সদস্যদের একদিনের মধ্যে স্থায়ী বরখাস্ত না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি তথা ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে ১৭ মার্চ সোমবার সকাল থেকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে।
রোববার রাত দুইটার দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে মেট্রোরেলের কর্মীরা। ‘ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এর সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ’ এর ব্যানারে বিজ্ঞপ্তিতে ঘটনা তুলে ধরে ৬ দফা দাবি জানানো হয়। এগুলো হলো, এক কার্যদিবসের মধ্যে ঘটনার মূল হোতা পুলিশের উপপরিদর্শক মাসুদকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত এবং পরিদর্শক রঞ্জিত, কন্সটেবল শাস্তি দিতে হবে। তাদেরকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। এমআরটি পুলিশ বিলোপ করে মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় নিজস্ব বাহিনী গঠন করতে হবে। স্টেশনে দায়িত্ব পালন করা মেট্রো কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পরিচয়পত্র এবং অনুমতি ছাড়া কোন ব্যক্তি স্টেশনের পেইড জোনে প্রবেশ করতে পারবে না। আহত কর্মীর চিকিৎসার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত মেট্রোরেলের সব স্টাফ কর্মবিরতি পালন করবে। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। একাধিক কর্মী জানান, ১৭ মার্চ সকাল থেকে ট্রেন চালানো হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, রোববার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে দুজন মহিলা পরিচয়পত্র না দেখিয়ে বিনা টিকিটে ভ্রমণ করে, স্টেশনের সুইং গেইট ব্যবহার করে পেইড জোন থেকে বের হতে চান। নির্ধারিত পোশাক পরিহিত না হওয়ায় তাদের পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা সুইং গেইট দিয়ে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট পুলিশের কর্মকর্তারা উত্তেজিত হয়ে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে এমআরটি পুলিশের কন্ট্রোল রুমে চলে যান। পরবর্তীতে পুলিশের এপিবিএন দুইজন সদস্য সুইং গেইট ব্যবহার করে, তা না লাগিয়ে চলে যান। মেট্রোর কর্মীরা কারণ জানতে চাইলে, তারা এবং কন্ট্রোল রুম থেকে আরও কয়েকজন পুলিশ এসে তর্কে জড়ান। কর্মরত কর্মীর কাঁধে বন্ধুক দিয়ে আঘাত করে। আরেকজন কর্মীকে এমআরটি পুলিশ বক্সে তুলে নিয়ে মারধর করে। এছাড়াও বন্দুক তাক করে গুলি করার হুমকি দেয়। পরে উপস্থিত অন্যান্য কর্মী ও যাত্রীরা এমআরটি পুলিশের হাত থেকে কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে।