কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফির বাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় মামলা, জড়িতদের বিচারের দাবিতে আলটিমেটাম
Published: 13th, February 2025 GMT
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর নুরুজ্জামান কাফির বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে কাফি বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কলাপাড়া থানায় মামলাটি করেন। এদিকে ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আগামী সাত দিনের মধ্যে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন কাফি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় কাফি এ দাবি জানান। কাফির বাড়ি জেলার কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবা এ বি এম হাবিবুর রহমান রজপাড়া দ্বীন-ই-ইলাহী দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট।
নুরুজ্জামান কাফি বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে রাজপথে থেকে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়েছি। আমি দেশ ও দেশের মানুষের দাবি আদায়ের জন্য কথা বলেছি। সর্বশেষ বুলডোজারের ওপরে অবস্থান করে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙার ঘোষণা দিয়েছি। হয়তো এটাই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় ১১ ফেব্রুয়ারি কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী গ্রামের বাড়িটি টার্গেট করে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের লোকজন পুড়িয়ে দেন। দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে নিমেষেই বাড়িটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়ির আঙিনায় এখন শুধু কয়লার স্তূপ। আমি সাত দিনের মধ্যে এর ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।’
কাফি আরও বলেন, ‘আজ আমি শিকার হয়েছি। আগামীকাল জুলাই-আগস্টে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নেওয়া আমার সহযোদ্ধাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিতে পারে। এই ভয় থেকে আমি বর্তমান সরকারকে আলটিমেটাম দিতে চাই যে জুলাই-আগস্টে অংশ নেওয়া আমার মতো কোনো সহযোদ্ধা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এই জীবন বাজি রেখে সরকারকে আমরা ক্ষমতায় বসিয়েছি। তাই সরকারকে আমি ও আমার সহযোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আজ আমি পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁদের কাছে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছি। আগামী সাত দিনের মধ্যে যদি প্রশাসন জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আমি একাই রাজপথে লড়াই করে বিপ্লবী সরকারের ডাক দেব।’
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বাইরে থেকে দরজা আটকে বাড়ি পুড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন কাফির বাবা এ বি এম হাবিবুর রহমান। তবে আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ার আগেই ঘরে থাকা পরিবারের ছয় সদস্য দরজা ভেঙে অক্ষত অবস্থায় বের হতে সক্ষম হন। আগুনে টাকা, মূল্যবান কাগজপত্র, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় কলাপাড়া থানায় মামলা করেন কাফি। মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে ‘জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও ধানমন্ডি ৩২-এ গুমের আস্তানা ধ্বংসে জনগণের সঙ্গে ফ্রন্টে থাকায় পরিকল্পিতভাবে বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে’ বলে উল্লেখ করেছেন নুরুজ্জামান কাফি।
কলাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ল ই আগস ট কল প ড় ঘটন য় সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় চরমপন্থি নেতা শাহীনকে গুলি করে হত্যা
খুলনায় চরমপন্থি নেতা শেখ শাহীনুল হক শাহীনকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে খুলনা থানার বাগমারা ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহীন নগরীর দৌলতপুর থানার কার্তিককুল এলাকার শেখ আব্দুর রশিদের ছেলে। সে খুলনা নগরীর দৌলতপুরের আলোচিত শহীদ ওরফে হুজি শহীদ হত্যা মামলাসহ ৩টি মামলার আসামি।
খুলনা থানার ওসি সানোয়ার হোসেন মাসুম বলেন, ‘রাতে সন্ত্রাসীরা গুলি করে শাহীনকে হত্যা করেছে। তার মাথায় গুলির দুটি চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। তবে কারা এবং কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা এখনও জানা যায়নি।’
তিনি আরও জানান, দৌলতপুর থেকে শাহীনকে ডেকে বাগমারা এলাকায় নিয়ে তার পরিচিত কেউ তাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
এর আগে রাত ১০টার দিকে নগরীর শের-এ-বাংলা রোডের হাজীবাড়ি এলাকায় রনি নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।