ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় গরু চুরির অভিযোগ তুলে এলাকাবাসী পিটুনি দেওয়ায় দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার ভোররাত চারটার দিকে সোনাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চাপড়ী এলাকায় এক ব্যক্তির গোয়ালঘর থেকে গরু চুরির সময় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন তজুমদ্দিন উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বালিয়াকান্দি গ্রামের নয়ন (৩০) ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়নের খাসমহল এলাকার আমির হোসেন (২৮)। তাঁদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ, গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ভোররাত চারটার দিকে ওই এলাকায় আব্দুল খালেক নামের এক ব্যক্তির গোয়ালঘরে ঢোকেন নয়ন ও আমির। সেখান থেকে গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি টের পেয়ে চিৎকার দেন খালেক। এ সময় ধাওয়া দিয়ে নয়ন ও আমিরকে ধরে পিটুনি দেন এলাকাবাসী। পরে ভোর পাঁচটার দিকে তজুমদ্দিন থানা-পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁদের উভয়কে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সদস্য মো.

খোকন জানান, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে গ্রামটিতে গরু ও মহিষ চুরি বেড়েছে। এতে গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে পাহারা বসান। এ কারণে ওই দুই ব্যক্তি সহজেই ধরা পড়েন।

এ বিষয়ে তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ ন উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নীলফামারী মেডিকেল কলেজ বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সমাবেশ

নীলফামারী মেডিকেল কলেজ বন্ধের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ও স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী ওই কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় ওই পথের সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

নীলফামারীর সর্বস্তরের জনগণ ও শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে নীলফামারী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ অংশ নেন।

আন্দোলনকারীরা চৌরঙ্গী মোড়ের চারদিকের সড়কে ব্যারিকেড তৈরি করে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন শেষে সেখানে সমাবেশ হয়। সমাবেশে বক্তৃতা করেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি মাহাবুব উর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শেফাউল জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, এই সরকারের কাজ হলো দ্রুত নির্বাচন দিয়ে ফিরে যাওয়া। তারা সেটি না করে নীলফামারীতে প্রতিষ্ঠিত মেডিকেল কলেজটি নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। নীলফামারীর জনগণ এটা কোনোভাবেই মেনে নেবেন না।

নীলফামারী মেডিকেল কলেজের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী অর্পিতা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে জানাচ্ছি যে সাম্প্রতিক বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, দেশের কিছু সরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধের আলোচনা চলছে। যেখানে আমাদের প্রতিষ্ঠানও অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু নীলফামারী মেডিকেল কলেজ কোনোভাবেই মানহীন তালিকায় আসতে পারে না।’

নীলফামারী মেডিকেল কলেজ বন্ধের ষড়যন্ত্রকারীদের কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জেলা বিএনপির সহসভাপতি মাহাবুব উর রহমান বলেন, এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে সেদিন থেকে নীলফামারী জেলা ব্লকেড ঘোষণা করে অচল করে দেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ