কামরাঙ্গীরচরে ব্লক রেইড, গ্রেপ্তার ১৬
Published: 13th, February 2025 GMT
‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর অংশ হিসেবে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় বিশেষ ‘ব্লক রেইড’ পরিচালনা করেছে পুলিশ। এতে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কামরাঙ্গীরচর থানা।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা থেকে দিনগত রাত ২টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- জুম্মান (২৪), মো.
কামরাঙ্গীরচর থানার বরাত দিয়ে তালেবুর রহমান বলেন, ‘‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে কামরাঙ্গীরচরের বিভিন্ন অপরাধপ্রবণ এলাকায় ব্লক রেইড অভিযান পরিচালনা করে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে চিহ্নিত মাদক কারবারি, পেশাদার সক্রিয় ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, চোর, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি এবং বিভিন্ন অপরাধে জড়িতরা।
গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা/মাকসুদ/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লোটাস কামাল পরিবারের সম্পদ ১৬৫ কোটি, ব্যাংকে লেনদেন ৮৪৯ কোটির
আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী আবু হেনা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল), তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ের নামে ১৬৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ পাওয়া গেছে। তাদের ১০৭টি ব্যাংক হিসাবে ৮৪৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংকে সন্দেহজনক অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে লোটাস কামাল, তার স্ত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।
আজ বৃহস্পতিবার দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তারা কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে আলাদাভাবে মামলাগুলো দায়ের করেন। দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের মামলার বিষয় জানান।
এজাহারে সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামালের বিরুদ্ধে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসাধু উপায়ে বৈধ আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন ২৭ কোটি ৫২ লাখ ৫৪ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার নিজের ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে ৩২টি ব্যাংক হিসাবে ২৩৪ কোটি ৮৬ লাখ ৬৫ টাকা জমা ও ২১১ কোটি ৫৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকা উত্তোলনসহ ৪৪৬ কোটি ৪২ লাখ ৫৩ হাজার টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
এজাহারে বলা হয়, লোটাস কামালের স্ত্রী কাশমিরি কামাল ৪৪ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও নিজের নামে ২০টি ব্যাংক হিসাবে ১৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা জমা ও ৭ কোটি ৮৪ লাখ ৯৭ টাকা উত্তোলনসহ ২৬,৬৪,০১,১৩৩/- টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। তার স্বামী মোস্তফা কামাল এমপি ও মন্ত্রী থাকাকালে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে এ সব সম্পদ অর্জন করেছেন। এ মামলায় তার স্বামী মোস্তফা কামালকেও আসামি করা হয়েছে।
ছেলে কাশফি কামালের বিরুদ্ধে ৩১ কোটি ৭৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। ৩৮টি ব্যাংক হিসাবে ৯০ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার টাকা জমা ও ৮৬ কোটি ৮৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন তিনি। লেনদেন করেছেন ১৭৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকার, যা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক।
এজাহারে আরও বলা হয়, লোটাস কামালের মেয়ে নাফিসা কামাল ৬২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে ১৭টি ব্যাংক হিসাবে ১০২ কোটি ১৫ লাখ ৭২ হাজার টাকা জমা ও ৯৭ কোটি ৭ লাখ টাকা উত্তোলনসহ ১৯৯ কোটি ২ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। লোটাস কামাল এমপি ও মন্ত্রী থাকাকালে তিনি প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে এ সব সম্পদ অর্জন করেছেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও (৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলাগুলো করা হয়।