নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের লিফলেট বিতরণের অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় কলেজ শিক্ষক মুকিব মিয়াসহ পাঁচ জনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলাম রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া অন্যরা হলেন—যুবলীগের সদস্য কপিল হালদার সজল, মতিঝিল থানা যুবলীগের সদস্য কে এম সাইফুল খান, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সদস্য শেখ মোহাম্মদ হাফিজ ও মোনালিসা জুই। 

গত ৩ ফেব্রুয়ারি তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক কে এম রেজাউল করিম তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের রিমান্ডের আদেশ দেন।

মুকিব মিয়া নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক। তিনি লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের ৩১তম ব্যাচের কর্মকর্তা। 

গত ১ ফেব্রুয়ারি সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ দাবিতে আসামিরা লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কার্যক্রমকে গতিশীল করা, সরকার তথা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রের ক্ষতি করার লক্ষ্যে অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। এ ঘটনায় গত ২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ। 

ঢাকা/মামুন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বর্ণাঢ্য আয়োজনে পটুয়াখালীতে নতুন বছরকে বরণ

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পটুয়াখালীতে বর্ষবরণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ দিনটি উপলক্ষে সকাল ৮টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় সার্কিট হাউজ চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। পরে ডিসি স্কোয়ারে বেলুন উড়িয়ে বর্ষবরণ কর্মসূচির লোকজ মেলার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন।

এ সময় পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার জাহিদ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জুয়েল রানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) যাদব সরকার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ তারেক হাওলাদারসহ অন্যান্য সরকারি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বর্ষবরণের এ অনুষ্ঠানে সরকারি, বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নানান বাধ্যযন্ত্র নিয়ে এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। পরে ডিসি স্কোয়ার মাঠে বর্ষবরণের মনোজ্ঞ বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও বিকেলে শহীদ মিনারের সামনের মাঠে কাবাডি প্রতিযোগিতা ও সন্ধ্যায় ডিসি স্কোয়ার মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণের কর্মসূচি রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ