রম্য মানেই অঢেল মজা। লঘুচালে সুখপাঠ্য লেখা। আসলে কি তাই? হাসি-তামাশার আড়ালে লুকিয়ে থাকা বেদনা, গভীর কোনো বোধ, শিক্ষণীয় কথা, সমাজের অসামঞ্জস্যতাও তো ঘাপটি মেরে থাকে রম্যর পরতে পরতে। আর এই মজার হাটে যে যেমন খরিদদার সে সেটুকুই কেনেন। কেউ স্রেফ হাসেন, কেউ হাসতে হাসতে ভাবেন। কেউ আবার খুঁজে পান অমূল্য কিছু। 

এবার অমর একুশে বইমেলায় এসেছে কমলেশ রায়ের রম্য গল্পের বই ‘শাপে বর’। এতে রয়েছে পাঁচটি রম্যগল্প। টি-শার্ট, চায়ের কাপ, সেই রাতে, মেঘরাত্রির আলাপন ও শরতের একদিন। এক মলাটে সরস গল্পের অনবদ্য এক ভাণ্ডার। গল্পগুলো আমাদের হাসায়, কাঁদায়, ভাবায় এবং শেখায়।

জীবন মানেই লড়াই। বিপদে, আপদে ঘেরা। তারপরও জীবন সুন্দর। আনন্দময়। বেঁচে থাকার চেয়ে বড় ‘শাপে বর’ আর কী হতে পারে ! 

বইটি প্রকাশ করেছে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স। বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে ২৯ নম্বর প্যাভিলিয়নে। প্রচ্ছদ করেছেন মানব। অলংকরণ তাপস সরকার। দাম ১৬০ টাকা।

কমলেশ রায়ের রম্যরচনায় উইট আর হিউমার মাখামাখি করে থাকে। পাঠকের হৃদয়কে যা হাস্যরসে ভরপুর করে তোলে। রম্যগল্প যারা ভালোবাসেন তারা অনায়াসে বইটি রাখতে পারেন পছন্দের তালিকায়। রকমারি ও পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সসহ বিভিন্ন অনলাইন বুকশপে পাওয়া যাচ্ছে ‘শাপে বর’ বইটি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

এআইয়ের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে সম্মিলিত নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রয়োজন: প্রধান বিচারপতি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) পরিচালনার ক্ষেত্রে নাগরিকের ব্যক্তিগত অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি বলেছেন, এআইয়ের প্রয়োগ বৈশ্বিকভাবে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। তাই এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে একটি সম্মিলিত নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রয়োজন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ে গ্লোবাল গভর্নমেন্ট সামিট ২০২৫-এর ওয়ার্ল্ড রেগুলেটরি ফোরামে আজ বৃহস্পতিবার দেওয়া বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।  

প্রধান বিচারপতি তাঁর বক্তৃতায় আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে এআইয়ের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার বিষয়ে এবং বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে এআইয়ের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো তৈরিতে রেগুলেটরি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট এবং বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্ক আলোকপাত করেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আধুনিক বিশ্বে এআই স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, অর্থনীতি, প্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এর ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন নৈতিক ও আইনি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত হতে হবে।

রেগুলেটরি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট প্রণয়নের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সময়ের আবর্তে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তা যেন সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় সে বিষয়ে বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, এআই কিংবা এমন অন্য কোনো আধুনিক প্রযুক্তির জটিলতা মোকাবিলায় এককভাবে কোনো নির্দিষ্ট দেশীয় আইনি কাঠামো যথেষ্ট নয়। এ প্রসঙ্গে সিভিল ও কমন ল ফ্রেমওয়ার্কের সমন্বয়ে অভিযোজনযোগ্য আধুনিক আইনি কাঠামো গঠনের জন্য বিশ্বের আইনজ্ঞ ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এআইয়ের জন্য আধুনিক নিয়ন্ত্রণকাঠামো শুধু বর্তমান প্রজন্মের জন্য প্রয়োজনীয় নয়; বরং এরূপ নিয়ন্ত্রণকাঠামো ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কল্যাণও নিশ্চিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ডিজিটাল যুগের জটিলতা মোকাবিলা করে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সুবিধা গ্রহণ করতে পারলে ভবিষ্যতের বিচারব্যবস্থাও আরও সুদৃঢ় হবে। এ জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, আইনবিশেষজ্ঞ এবং প্রযুক্তিবিদদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বানও জানান প্রধান বিচারপতি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ