বইমেলায় কমলেশ রায়ের রম্যগল্পের বই ‘শাপে বর’
Published: 13th, February 2025 GMT
রম্য মানেই অঢেল মজা। লঘুচালে সুখপাঠ্য লেখা। আসলে কি তাই? হাসি-তামাশার আড়ালে লুকিয়ে থাকা বেদনা, গভীর কোনো বোধ, শিক্ষণীয় কথা, সমাজের অসামঞ্জস্যতাও তো ঘাপটি মেরে থাকে রম্যর পরতে পরতে। আর এই মজার হাটে যে যেমন খরিদদার সে সেটুকুই কেনেন। কেউ স্রেফ হাসেন, কেউ হাসতে হাসতে ভাবেন। কেউ আবার খুঁজে পান অমূল্য কিছু।
এবার অমর একুশে বইমেলায় এসেছে কমলেশ রায়ের রম্য গল্পের বই ‘শাপে বর’। এতে রয়েছে পাঁচটি রম্যগল্প। টি-শার্ট, চায়ের কাপ, সেই রাতে, মেঘরাত্রির আলাপন ও শরতের একদিন। এক মলাটে সরস গল্পের অনবদ্য এক ভাণ্ডার। গল্পগুলো আমাদের হাসায়, কাঁদায়, ভাবায় এবং শেখায়।
জীবন মানেই লড়াই। বিপদে, আপদে ঘেরা। তারপরও জীবন সুন্দর। আনন্দময়। বেঁচে থাকার চেয়ে বড় ‘শাপে বর’ আর কী হতে পারে !
বইটি প্রকাশ করেছে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স। বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে ২৯ নম্বর প্যাভিলিয়নে। প্রচ্ছদ করেছেন মানব। অলংকরণ তাপস সরকার। দাম ১৬০ টাকা।
কমলেশ রায়ের রম্যরচনায় উইট আর হিউমার মাখামাখি করে থাকে। পাঠকের হৃদয়কে যা হাস্যরসে ভরপুর করে তোলে। রম্যগল্প যারা ভালোবাসেন তারা অনায়াসে বইটি রাখতে পারেন পছন্দের তালিকায়। রকমারি ও পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্সসহ বিভিন্ন অনলাইন বুকশপে পাওয়া যাচ্ছে ‘শাপে বর’ বইটি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদযাত্রা: ২৬ মার্চের ট্রেনের টিকিট মিলছে আজ
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে গত শুক্রবার (১৪ মার্চ)। রবিবার (১৬ মার্চ) তৃতীয় দিনের মতো অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে সকাল ৮টায়। অগ্রিম টিকিটের শতভাগই বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে।
সকাল ৮টা থেকে মিলছে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট। আর পূর্বাঞ্চলের ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাবে দুপুর ২টা থেকে। আজ যারা টিকিট কিনবেন তারা আগামী ২৬ মার্চ ভ্রমণ করতে পারবেন।
এর আগে, গত ৯ মার্চ রেল মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৬ মার্চের টিকিট ১৬ মার্চ, ২৭ মার্চের টিকিট ১৭ মার্চ, ২৮ মার্চের টিকিট ১৮ মার্চ, ২৯ মার্চের টিকিট ১৯ মার্চ ও ৩০ মার্চের টিকিট ২০ মার্চ পাওয়া যাবে। এছাড়া, চাঁদ দেখার ওপর ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে।
আরো পড়ুন:
ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আজ, ফিরতি টিকিট ২৪ মার্চ
কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাত্রাবিরতি
ঈদযাত্রায় এবার প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৩৫ হাজার ৩১৫টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে। বিগত বছরগুলোতে ঈদযাত্রায় ৮ থেকে ১০ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালাত বাংলাদেশ রেলওয়ে। কিন্তু, এবার সেটি কমিয়ে পাঁচ জোড়া করা হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল ১ ও ২ নামে দুটি এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে; ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল ৩ ও ৪ নামে একজোড়া ট্রেন চালানো হবে; ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ-ভৈরববাজার রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৫ ও ৬ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে; ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল ৭ ও ৮ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে এবং জয়দেবপুর-পার্বতীপুর-জয়দেবপুর রুটে পার্বতীপুর ঈদ স্পেশাল ৯ ও ১০ নামে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে।
এছাড়া, ঈদে অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ৪৪টি (পাহাড়তলী ওয়ার্কশপ থেকে ২৮টি মিটারগেজ ও সৈয়দপুর ওয়ার্কশপ থেকে ৩৬টি ব্রডগেজ) যাত্রীবাহী কোচ সার্ভিসে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য মোট ১৯টি (মিটারগেজ ১৪টি ও ব্রডগেজ থেকে ৫টি) লোকোমোটিভ যাত্রীবাহী ট্রেন ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করা সব আন্তঃনগর ট্রেনের ডে-অফ (সাপ্তাহিক ছুটি) বাতিল করা হয়েছে। ২৭ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এসব ট্রেনের কোনো ডে-অফ থাকবে না। ঈদের পর যথারীতি সাপ্তাহিক ডে-অফ কার্যকর থাকবে। এছাড়া ঈদের দিন কোনো আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে না।
ঢাকা/হাসান/রাজীব