জনপ্রিয় অভিনেত্রী অহনা রহমান নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেন। বিশেষ করে নাটকে তার দর্শকপ্রিয়তা তুঙ্গে। ঠিক এই সময়ে অহনা জানালেন, অভিনয়কে বিদায় জানাচ্ছেন।

কিছুদিন আগেই ওমরাহ পালন করেন অহনা। সম্প্রতি ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফিরে অহনা রহমান বলেন, “যারা কখনো হজ বা ওমরাহ করতে যাননি, তারা বুঝবে না এই অনুভূতিটা কেমন! আমার গুসবাম্পস হয়েছে। আমি আবারো ওমরাহ করতে যেতে চাই। কারণ আমার অনেক ভালো লেগেছে।”

আবারো ওমরাহ পালন করার কারণ ব্যাখ্যা করে অহনা রহমান বলেন, “আমি যদি কখনো একটু রিল্যাক্স থাকতে চাই, একা থাকতে চাই বা মানসিক প্রশান্তির খোঁজ করি, তাহলে সৌদিতেই যেতে চাই। কারণ এত সুন্দর জায়গা, আমার ওমরাহর কয়েকদিনে মন ভরেনি।”

আরো পড়ুন:

‘সবুজ গ্রাম পাথরের শহর’

তাইওয়ানের তারকা অভিনেত্রী বার্বি মারা গেছেন

গত মাসে ওমরাহ পালনের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন অহনা রহমান। ছবিতে দেখা যায়, কাবাঘরের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। এরপর দীর্ঘ এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “আমার প্রিয় ২০২৪ সাল। তুমি আমাকে এই বছরের শুরুতে অনেক কিছু দিয়েছ। আবার অনেক কিছু কেড়েও নিয়েছ এবং মানুষ যে অনেক রকমের হয়, সেটিও চিনতে সাহায্য করেছ। কিন্তু শেষের চমকটা ছিল— আমার জন্য অনেক বড় সারপ্রাইজ, যার অনুভূতি হয়তো কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। এখন বুঝলাম, জানলাম ও শিখলাম আল্লাহ কেন মানুষের পরীক্ষা নেয়। বিশ্বাস ও ঈমান আরো মজবুত হয়ে গেল।”

আল্লাহ উত্তম প্রতিদানকারী। তা স্মরণ করে এই অভিনেত্রী লেখেন, “আল্লাহ জীবন থেকে তুচ্ছ জিনিস নিয়ে উত্তম জিনসটা উপহারস্বরূপ দিয়ে দেন। আমার একটা স্বপ্ন ভেঙেছ। কিন্তু সব থেকে বড় স্বপ্নটা আবার পূরণও করেছে। তাই তোমার ওপর কোনো রাগ নেই আমার।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

লোটাস কামাল পরিবারের সম্পদ ১৬৫ কোটি, ব্যাংকে লেনদেন ৮৪৯ কোটির

আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী আবু হেনা মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল), তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ের নামে ১৬৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ পাওয়া গেছে। তাদের ১০৭টি ব্যাংক হিসাবে ৮৪৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে। অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংকে সন্দেহজনক অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে লোটাস কামাল, তার স্ত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। 

আজ বৃহস্পতিবার দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তারা কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে আলাদাভাবে মামলাগুলো দায়ের করেন। দুদক মহাপরিচালক ও মুখপাত্র মো. আক্তার হোসেন এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের মামলার বিষয় জানান।  

এজাহারে সাবেক অর্থমন্ত্রী লোটাস কামালের বিরুদ্ধে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসাধু উপায়ে বৈধ আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন ২৭ কোটি ৫২ লাখ ৫৪ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার নিজের ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে ৩২টি ব্যাংক হিসাবে ২৩৪ কোটি ৮৬ লাখ ৬৫ টাকা জমা ও ২১১ কোটি ৫৫ লাখ ৮৮ হাজার টাকা উত্তোলনসহ ৪৪৬ কোটি ৪২ লাখ ৫৩ হাজার টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। 

এজাহারে বলা হয়, লোটাস কামালের স্ত্রী কাশমিরি কামাল ৪৪ কোটি ১১ লাখ ৬২ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও নিজের নামে ২০টি ব্যাংক হিসাবে ১৮ কোটি ৭৯ লাখ টাকা জমা ও ৭ কোটি ৮৪ লাখ ৯৭ টাকা উত্তোলনসহ ২৬,৬৪,০১,১৩৩/- টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। তার স্বামী মোস্তফা কামাল এমপি ও মন্ত্রী থাকাকালে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধভাবে এ সব সম্পদ অর্জন করেছেন। এ মামলায় তার স্বামী মোস্তফা কামালকেও আসামি করা হয়েছে। 

ছেলে কাশফি কামালের বিরুদ্ধে ৩১ কোটি ৭৮ লাখ ৮৩ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। ৩৮টি ব্যাংক হিসাবে ৯০ কোটি ৬০ লাখ ৭০ হাজার টাকা জমা ও ৮৬ কোটি ৮৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন তিনি। লেনদেন করেছেন ১৭৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকার, যা অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক। 

এজাহারে আরও বলা হয়, লোটাস কামালের মেয়ে নাফিসা কামাল ৬২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের নামে ১৭টি ব্যাংক হিসাবে ১০২ কোটি ১৫ লাখ ৭২ হাজার টাকা জমা ও ৯৭ কোটি ৭ লাখ টাকা উত্তোলনসহ ১৯৯ কোটি ২ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন। লোটাস কামাল এমপি ও মন্ত্রী থাকাকালে তিনি প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে এ সব সম্পদ অর্জন করেছেন। 

আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও (৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় মামলাগুলো করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ