গাইবান্ধায় শিশুকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন
Published: 13th, February 2025 GMT
টাকা চুরির অভিযোগ এনে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় এক শিশুকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
গত মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের দশলিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
শিশুটি রানা মিয়া (৯) সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের দশলিয়া গ্রামের আনছার আলীর ছেলে। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে গতকাল বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে গণমাধ্যম কর্মীদের নজরে আসে।
খুঁটিতে বেঁধে রাখার ৫৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, শিশুটির দুই হাত পিছনে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা। পিঠ ও বাঁধা দুই হাতের মাঝখানে খুঁটি। কয়েকজন নারী-পুরুষ তাকে ঘিরে রয়েছে। স্থানীয়রা তাকে নানা প্রশ্ন করছে।
এসময় শিশুটিকে বলতে শোনা যায়, “হাত খুলে দেন ঝিনঝি (ব্যথা) লাগছে।” সেসময় শিশুটিকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। ঠোঁট ফ্যাকাসে হয়ে গিয়েছিল।
শিশুটির মা রেখা বেগম জানান, দু’দিন আগে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের দশলিয়া গ্রামের বিকাশ ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ি থেকে মোবাইল ও কিছু টাকা হারিয়ে যায়। এই ঘটনায় জড়িত মনে করে শিশুটিকে মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে সন্দেহজনকভাবে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী স্থানীয় বাজারের একটি মুদি দোকানের সামনের রড সিমেন্টের তৈরি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। এসময় তাকে নির্যাতন করে মারধর করে ওই ব্যবসায়ী ও তার লোকজন। এক পর্যায়ে বাচ্চাটির হাতে সুঁচ ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার পর মঙ্গলবার রাতেই তাকে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আজ বৃহস্পতিবারও (১৩ ফেব্রুয়ারি) শিশুটি হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের ৮ নম্বর শয্যায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। শিশুটি বাম হাত ও বাম পায়ে আঘাত পেয়েছে। উঠেও দাঁড়াতে পারছে না।
সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সুরঞ্জন কুমার বলেন, “শিশুটি বাম হাত ও বাম পায়ে আঘাত পেয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
শিশুটির মা রেখা বেগম অভিযোগ করে বলেন, “টাকা চুরির অভিযোগ এনে ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে জোর করে ধরে নিয়ে যায়। তারপর আমার শিশু ছেলেকে বিনা অপরাধে খুঁটির সাথে বেঁধে রেখে নির্যাতন করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমার ছেলেকে ছেড়ে দেয় তারা। আমার ছেলে কোন দোষ করেনি। আমি এই নির্যাতনের বিচার চাই। কিন্তু আমাকে মীমাংসার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।”
এসব বিষয় জানতে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। প্রথমে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। কিছুক্ষণ পর তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজ উদ্দিন খন্দকার জানান, শিশুটিকে খুঁটিতে বেঁধে রাখার কথা শুনেছি। আমি স্বশরীরে হাসপাতালে তাকে দেখতে গিয়েছি। শিশুটির অভিভাবককে মামলা দেওয়ার কথা বলেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/মাসুম/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স দ ল ল প র উপজ ল ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
জার্মানি-ইতালি ম্যাচে ফিরে আসছে ২০০৬ বিশ্বকাপের স্মৃতি
উয়েফা ন্যাশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে রবিবার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাতে ইতালির মুখোমুখি হচ্ছে জার্মানি। প্রথম লেগে ইতালির মাঠ থেকে ২-১ ব্যবধানে জিতে আসায় বেশ ফুরফুরে থাকার কথা জার্মান কোচ জুলিয়ান নাগেলসম্যানের। তবে এই ৩৭ বছর বয়সী কোচ আজ রাতের মহারণের আগে সংবাদ সম্মেলনেও বেশ সতর্ক।
নাগেলসম্যানের স্পষ্ট কথা। আমি এমন কিছুই বলব না যাতে প্রতিপক্ষ কোচ লিসিয়ানো স্পালেত্তি কোন বাড়তি সুবিধা পান। এই জার্মানের স্পষ্ট জানালেন নিজেদের ইতিহাস নিজেরাই লিখবেন, তাই ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ সেমি ফাইনালের ইতিহাস মনে করতে চাইছেন না।
ঘরের মাঠ সান সিরোতে ইতালি প্রথম লেগে জার্মানির বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে হেরে বসে। আজ রাতে আজ্জুরিদের খেলতে হবে জার্মান্দের ডেরায়। স্বাভাবিকভাবেই পিছিয়ে থাকার কথা স্পালেত্তির দলের। তবে ম্যাচটা যে সিগনাল ইদুনা পার্কে। এই মাঠেই ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে, স্বাগতিক জার্মানিকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে যায় ইতালি।
আরো পড়ুন:
হালান্ডকে টপকে রেকর্ডের পাতায় কেইন
জার্মান দলে চমক ৩২ বছরের ওতের্গা
সেই স্মৃতি ফিরে আসতেই নাগেলসম্যান বলেন, “আমার ২০০৬ সালের ব্যাপরটা মনে আছে। জার্মানি জিততে পারেনি এই ব্যাপারটা আমাকে এখনও পোড়ায়। কিন্তু বর্তমান নিয়ে কথা বলা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, অতীত সম্পর্কে নয়। আমরা আমাদের নিজস্ব ইতিহাস লিখতে চাই। আমি ইতালিকে নিয়ে মোটেই শঙ্কিত নই। আমাদের আগামীদিনের (আজ) জন রাস্তা (ম্যচ জয়ের) আছে। আশা করি আমরা ম্যাচটি জিতব।”
ঢাকা/নাভিদ