‘কোনোটাই অন্তরঙ্গ দৃশ্য না, সেভাবেই শিল্পীদের প্রস্তুত করি’
Published: 13th, February 2025 GMT
৭৬তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে আলোচনায় আসে ভারতের সিনেমা ‘আগ্রা’। সিনেমায় একাধিক অন্তরঙ্গ দৃশ্য ছিল, গল্পের প্রয়োজনে পরিচালক কানু বেহেল রাখঢাক ছাড়াই তুলে ধরেছিলেন যৌন দৃশ্যগুলো। এসব দৃশ্য নিয়ে পরিচালক চলচ্চিত্রবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেইউরোপার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বিস্তারিত কথা বলেন। তিনি মনে করেন, পরিচালক হিসেবে কোনো দৃশ্যই আলাদা নয়।
‘আগ্রা’ সিনেমায় বড় একটা অংশজুড়েই ছিল অন্তরঙ্গ দৃশ্য। এমনটা ভারতীয় সিনেমায় দেখে খোদ সমালোচকেরা অবাক হয়ে যান। তবে এসব দৃশ্য নিয়ে সেই সময়ে সাক্ষাৎকারে কানু বেহেল বলেছিলেন, ‘আমি টিমের কাছে এটা নিশ্চিত করে বুঝিয়েছিলাম যে আমরা যে দৃশ্যে শুটিং করতে যাচ্ছি, তার কোনোটিই যৌন দৃশ্য নয়। এটাকে আলাদা করে ট্রিট করা যাবে না। এগুলো অন্য দৃশ্যের মতোই। কোনোটিই যৌন দৃশ্য নয়।’
‘আগ্রা’ সিনেমাটি কান উৎসবে সেবার ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট বিভাগে প্রদর্শিত হয়। ছবি: আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কলকাতায় দোল উৎসবে ডেকে এনে তৃণমূলের ছাত্রনেতাকে হত্যা
পশ্চিমবঙ্গে কলকাতার উপকণ্ঠ উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহে আজ শুক্রবার দোল উৎসবে ডেকে এনে তৃণমূলের এক ছাত্রনেতাকে ক্ষুরের আঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ছাত্রনেতার নাম অমর চৌধুরী। তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পবন রাজভর নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আজ দুপুরে যখন দোল উৎসবের আনন্দে রং নিয়ে খড়দহে জয়শ্রী কেমিক্যালসের সামনে সবাই হোলি উৎসবে মেতে উঠেছিলেন, তখনই খুন হন অমর চৌধুরী ওরফে আকাশ চৌধুরী। দোল খেলতে তাঁকে ডেকে আনা হয়েছিল। একপর্যায়ে তাঁকে মারধর করা হয়। পরে ক্ষুরের আঘাতে তাঁকে মারা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
রক্তাক্ত অবস্থায় অমর চৌধুরীকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হলে বিকেলেই তাঁকে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্মরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের ঘাড়ের কাছে গভীর ক্ষত রয়েছে। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
জানা গেছে, হত্যাকারীরা মোটরসাইকেলে চড়ে ঘটনাস্থলে আসে। এর মধ্যে পবন রাজভর নামের এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কানাইয়া নামের অপর এক যুবককে ধরতে চেষ্টা করছে পুলিশ। পবন রাজভর সম্প্রতি কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হয়েই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
অমর চৌধুরীর পরিবারের দাবি, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তিন ব্যক্তি জড়িত। পুলিশ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশের ধারণা, পূর্বশত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহত অমর চৌধুরী স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বিকাশ সিংহের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।