মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গৃহযুদ্ধের কারণে সেখানে খাদ্যের সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে সেখানে খাদ্যশষ্যের চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবিসহ দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর থাকার নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ‘খাদ্যশস্য চোরাচালান প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারকরণ’ বিষয়ক সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন। সভা শেষে দুপুর ১টার দিকে সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।  

এ সময় খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, “রাখাইন রাজ্যে খাদ্য সংকট দেখা দিলে বাংলাদেশ থেকে কিছুটা চোরাচালান হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আগে থেকে সার এবং জ্বালানি তেল চোরাচালানের একটা প্রবণতা এখানে ছিল। তাই নজরদারি অব্যাহত রাখা এবং প্রয়োজনে আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যাতে কোনো অবস্থাতেই চোরাচালান না হতে পারে।’’

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
অপারেশন ডেভিল হান্টে আশানুরূপ অস্ত্র উদ্ধার হয়নি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক ১৫ ফেব্রুয়ারি

দেশে বর্তমানে খাদ্যশষ্যের সরকারি মজুদ এবং আমদানি ব্যবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে মন্তব্য করে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, “সামনে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চালের যে কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছিল, সেটি কেটে যাবে এবং চালের দামও সহনশীল পর্যায়ে থাকবে।’’

আগামী রমজান মাসকে ঘিরে যাতে দাম সহনশীল থাকে, সেই বিষয়েও সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘‘আগামী রমজান মাসে দেশের ৫০ লাখ পরিবার কেজি ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল পাবে। এ ছাড়া আগামী ঈদ উপলক্ষে এক কোটি পরিবারকে এক লাখ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হবে উপহার হিসেবে। এ-সবই হচ্ছে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির অংশ হিসেবে। বর্তমান সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে।’’ 

এর আগে জেলা চোরাচালান প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশসহ জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/তারেকুর/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট খ দ য উপদ ষ ট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দুই প্রস্তাবে ব্যয় ৩৬৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ‘রিজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট’ ও ‘জলবায়ু ও দুর্যোগ সহনশীল ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগের দুটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এই দুই প্রকল্পের জন্য পরামর্শক সেবা ক্রয়ে মোট ব্যয় হবে ৩৬৮ কোটি ৯৫ লাখ ৯৫ হাজার ৮৮২ টাকা।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সচিবালয়ে এক ভার্চুয়াল সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির সভায় প্রস্তাব দুটিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভায় কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তারা যোগ দেন। সরকারি কাজে অর্থ উপদেষ্টা বিদেশে অবস্থান করা তিনি সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন।

সভা সূত্রে জানা গেছে, ‘রিজিলিয়েন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় ‘কনসালট্যান্সি সার্ভিস ফর ডিজাইন, সুপারিভিশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট’ পরামর্শক সেবা ক্রয়ের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ৭টি প্রতিষ্ঠানের কাছে অনুরোধ প্রস্তাব পাঠানো হলে ৭টি প্রতিষ্ঠান কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব দাখিল করে। তার মধ্যে ৫টি প্রস্তাব কারিগরিভাবে যোগ্য বিবেচিত হয়।

প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে পিইসির নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী  রেসপনসিভ দরদাতা প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে ইপটিসা সার্ভিসিওস ডি ইনজেনিরা,এস,এল, স্পেন, অ্যাকোয়া কনসালট্যান্টস অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড বাংলাদেশ, ডেভকনসালট্যান্ট লিমিটেড বাংলাদেশ, ডিজাইন, প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্টস লিমিটেডকে নিয়োগের সুপারিশ করা হলে কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৭২ কোটি ৮৬ লাখ ৪৯ হাজার ৩৩৩ টাকা।

সভায়, ‘জলবায়ু ও দুর্যোগ সহনশীল ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা (বিশেষ সংশোধন)’ প্রকল্পের আওতায় প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টাশন সাপোর্ট কনসালট্যান্ট নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাকে অনুমোদন দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় যৌথভাবে নর্থওয়েস্ট হাইড্রলিক কনসালট্যানটস লিমিটেড, মেটামেটা রিসার্চ, রিসোর্স প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কনসালট্যান্টস প্রাইভেট লিসিটেডকে নিয়োগের সুপারিশ করে দরপ্রস্তাব মূল্যায়ন কমিটি। ১৯৬ কোটি ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫৪৯ টাকায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হয়।

প্রকল্পের ডিপিপিতে পর্যাপ্ত অর্থের সংস্থান না থাকায় ডিপিপি সংশোধন করে পরবর্তীতে এ কমিটিতে প্রস্তাব করার জন্য সুপারিশ করা হয়। সেই নির্দেশনা অনুসারে ডিপিপি সংশোধন করা হয়। এ অবস্থায়, প্রস্তাবের সব প্রক্রিয়া শেষে পিইসির নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে সুপারিশকৃত সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী যৌথভাবে ওই দরদাতা প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগের সপারিশ করা হলে কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। এতে ব্যয় হবে ১৯৬ কোটি ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫৪৯ টাকা।

ঢাকা/হাসনাত/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দুই প্রস্তাবে ব্যয় ৩৬৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা