বিদেশিদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা সেবা সহজ করতে একটি অ্যাপ উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, “অন-অ্যারাইভাল ভিসা পেতে অনেক সময় লাগে; ৪৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা সময় লাগে। যে সিস্টেম (অ্যাপ) করা হচ্ছে, সেটা কার্যকরী হলে ৫-১০ মিনিটে অন-অ্যারাইভাল ভিসা পেয়ে যাবেন।”

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিদেশিদের জন্য অন-অ্যারাইভাল ভিসা বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “কিছু দেশ আছে, যারা অন-অ্যারাইভাল ভিসা পায়। কিন্তু, এই ভিসা পেতে কারো ৪৫ মিনিট বা ১ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। আমরা নতুন যে সিস্টেম করেছি, সেটা হলো—সেবাগ্রহীতা মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে অন-অ্যারাইভাল ভিসা পেয়ে যাবেন। এই ভিসা পেতে তারা আমাদের অনলাইনে আবেদন করে যাবতীয় তথ্য দিয়ে রাখবেন। পরে একটি কোড পাবেন তারা। এই কোড এয়ারপোর্টে দেখিয়ে ডলারে পেমেন্ট করলেই তিনি ৫ থেকে ১০ মিনিটের ভিসা পাবেন। এ সিস্টেমই আজ চালু হলো। এই ভিসার মেয়াদ হবে ১ মাস।”

তিনি বলেন, “সোনালী ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যে সময়টুকু লাগবে, শুধু সে সময়টাই ব্যয় হবে। কার্ড এবং ক্যাশে ভিসার জন্য পেমেন্ট করা যাবে।”

উপদেষ্টা আরো বলেন, “পাসপোর্ট যাতে সহজে পাওয়া যায়, সেজন্য পুলিশ ভেরিফিকেশন তুলে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে। ভেরিফিকেশন থাকলেও যাতে আরো সহজে পাসপোর্ট পাওয়া যায়, সে চেষ্টা করছি। তবে, ভেরিফিকেশন বাদ দেওয়ার চেষ্টাই থাকবে।”

র‌্যাব বিলুপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “একটা প্রস্তাব তারা (জাতিসংঘ) দিয়েছে। আমরা সবাই বসব। বসার পর আমাদের যা ডিসিশন (সিদ্ধান্ত), সেটা আমরা জানাব।”

প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো.

খোদা বখস চৌধুরী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম, অতিরিক্ত আইজিপি (এসবি) মো. গোলাম রসুলসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১০ ম ন ট

এছাড়াও পড়ুন:

‘বিপাশার সঙ্গে বিচ্ছেদের সময়টা ভীষণ কঠিন ছিল’

একসময়ের চর্চিত তারকা জুটি ডিনো মরিয়া ও বিপাশা বসু। এ যুগলের পর্দার রসায়ন ব্যক্তিগত জীবনেও গড়িয়েছিল। কিন্তু এ প্রেম ভেঙে যায়। আর সেই বিচ্ছেদ ঘটেছিল ‘রাজ’ সিনেমার শুটিং সেটে। কয়েক দিন আগে পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ডিনো মরিয়া।

স্মৃতিচারণ করে ডিনো মরিয়া বলেন, “আমরা ব্রেকআপ করেছিলাম। সত্যি বলতে, কিছু সমস্যার কারণে বিপাশার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছিল। পরিস্থিতিটা তার কাছে খুব কঠিন ছিল। প্রতিদিন আমি তাকে শুটিং সেটে দেখতাম। তার মন খারাপ থাকত। যার প্রতি এত বেশি যত্নবান ছিলাম, তাকে এভাবে দেখাও আমার জন্য ভীষণ কঠিন ছিল।”
 
টিকিয়ে রাখার সবরকম প্রচেষ্টা করার পরও তাদের সম্পর্ক ভাঙনের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এ তথ্য উল্লেখ করে ডিনো মরিয়া বলেন, “ইতোমধ্যে আমরা ভিন্ন পথ বেছে নিয়েছিলাম। যদিও আমরা কিছু কাজ করার চেষ্টা করেছি, তবে তাতে কাজ হয়নি। তারপর আমরা সামনে এগিয়ে যাই।”

বিচ্ছেদের সময়টি ভীষণ চ্যালেঞ্জিং ছিল বলে মন্তব্য করেন ডিনো। তার ভাষায়, “এটি খুবই চ্যালেঞ্জিং সময় ছিল। কারণ এমন একজনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হলো, যার সঙ্গে আপনি বছরের পর বছর কাটিয়েছেন। অথচ কঠোর পরিশ্রম করে আপনি এটি তৈরি করেছিলেন।”

বিপাশার সঙ্গে বিচ্ছেদ, হৃদয় ভেঙেছিল ডিনোর। কিন্তু সময় সব ক্ষত সারিয়ে তুলতে পারে। এ বিষয়ে ডিনো মরিয়া বলেন, “আমাদের দুজনেরই মন খারাপ হয়েছিল। তারপরও আমাদের আলাদা হতে হয়েছিল। এটি আমাদের করতেই হয়েছিল। এটা খুব কঠিন ছিল। কিন্তু সময়ের মতো অন্য কোনো কিছুই অতটা সারিয়ে তুলতে পারে না। সময় সবকিছু সারিয়ে তোলে; আপনাকে শুধু এটাকে বয়ে যেতে দিতে হবে। আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি, সময়ের সঙ্গে সবকিছুই ঠিক হয়ে যায়।”

সম্পর্ক ভাঙার পর যত সময় গড়ায় ততই তিক্ততা কমে যায়। ফলে বন্ধুত্বের পথ সুগম হয়। এ বিষয়ে ডিনো মরিয়া বলেন, “এরপরও আমরা সেরা বন্ধু হয়ে উঠি। সেই মুহূর্তটি খুব কঠিন ছিল। রাগ, আবেগ, ক্রোধ ছিল। কিন্তু সময় আপনাকে বুঝিয়ে দেবে, এটি কেবল একটি মুহূর্ত ছিল। আমি সত্যিই তাকে উপভোগ করি, সেও আমাকে উপভোগ করে। এজন্য অন্তত বন্ধু হয়ে উঠি।”

সম্পর্ক ভাঙার সময়ের নানা অনুভূতি ব্যাখ্যা করলেও কারণ জানাননি ডিনো। তবে ‘রাজ’ সিনেমার পরিচালক বিক্রম ভাট নিউজ১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমার মনে আছে, সিনেমাটির শুটিং সেটে একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছিল। সিনেমাটির ‘ম্যায় আগার সামনে’ শিরোনামে একটি বিয়ের গানের শুটিং করছিলাম। গানটির এক জায়গায় রয়েছে— ‘বিয়ের বেশি দিন বাকি নেই’। এ দৃশ্যের শুটিং যখন চলছিল, তখন বিপাশা ও ডিনো মারামারি শুরু করে। আমার মনে আছে বিপাশা খুব কেঁদেছিল আর ডিনোর মন খারাপ ছিল।”

এ পরিস্থিতি কীভাবে সামলেছিলেন বিক্রম ভাট? সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এই পরিচালক বলেন, “আমি তাদের বলেছিলাম, তোমরা এভাবে মারামারি করতে পারো না। আমরা বিয়ের গানের শুটিং করছি। তোমরা কেন দুই দিনের জন্য এই যুদ্ধ বন্ধ রাখছো না? এরপর আমরা একসঙ্গে দুপুরের খাবার খাই। কিন্তু হ্যাঁ, এরপর তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।”

কী কারণে মারামারি করেছিলেন ডিনো-বিপাশা? এ প্রশ্নের উত্তরে বিক্রম ভাট বলেন, “আমি এমন মানুষ নই যে, কারো ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলাব। সত্যি আমি জানি না।”

প্রেমের সম্পর্ক ভাঙার পরও ‘গুনাহ’, ‘ইশক হ্যায় তুমসে’ সিনেমায় একসঙ্গে অভিনয় করেন বিপাশা-ডিনো জুটি। ডিনোর সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর জন আব্রাহামের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান বিপাশা। যদিও এ সম্পর্কও টিকেনি। সর্বশেষ করণ সিং গ্রোভারের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন এই অভিনেত্রী। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘বিপাশার সঙ্গে বিচ্ছেদের সময়টা ভীষণ কঠিন ছিল’