খালেদা জিয়ার নামে নাইকো দুর্নীতি মামলা: রায় ১৯ ফেব্রুয়ারি
Published: 13th, February 2025 GMT
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতির মামলায় যুক্তিতর্ক ও শুনানি শেষ হয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি মামলার রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক রবিউল আলম আজ বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত দেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নাইকো দুর্নীতি মামলায় আজ উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক ও শুনানি শেষ হয়েছে। এ মামলায় খালেদা জিয়াকে খালাস দিতে আবেদন করা হয়েছে।
আমিনুল ইসলাম জানান, এ মামলায় ৬৮ জনের মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।
নাইকো দুর্নীতি মামলায় ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করেন আদালত। কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক।
দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডার কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রূপগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতে বিভিন্ন মোটরযানকে ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যানজট নিরসন, লাইসেন্সবিহীন বেপরোয়া বাইকারদের দৌড়াত্ম্য ও ফিটনেসবিহীন মোটরযান ঠেকাতে সড়ক পরিবহন আইনে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে বিভিন্ন মোটরযানকে ২৩টি মামলায় ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রয়ারি) উপজেলার দড়িকান্দি-ইছাখালী সেতুর পশ্চিম পাড়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল আলম এবং পূর্বাচল রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উবায়দুর রহমান শাহেল।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উবায়দুর রহমান শাহেল বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই রূপগঞ্জে ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন যানবাহন অবাধে চলাচল করছে। পাশাপাশি বেপরোয়া বাইক চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরী করে আসছিলো কিশোরগ্যাং সদস্যরা।
আমরা সড়ক নিরাপত্তা, যানজটমুক্ত ও যানবাহনে শৃঙ্খলা রক্ষায় অবৈধভাবে চলাচলরত সকল যানবাহনগুলোকে আইনের আওতায় আনার ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।